শিরোনাম :
Logo রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী Logo ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব Logo অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ;বেরোবি উপাচার্য Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এর কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন Logo কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা Logo জাবিতে “সংগ্রামের শত রঙ” নামে জুলাই-বিপ্লবের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ছাত্রদল Logo আমরণ অনশনে বসেছেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবি

টেকনাফে পূর্ব শক্রতার জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ: প্রতি পক্ষের গুলিতে দুই জন গুলিবিদ্ধ, আহত ১০

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৩:৪৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

হাবিবুল ইসলাম হাবিব,  টেকনাফ:  টেকনাফে জায়গা জমি সংক্রান্ত ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘবদ্ধ হয়ে একদল সন্ত্রাসী প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘর ভাংচুর, সাধারণ জনতার উপর                           গুলিবর্ষণ। গুলিবিদ্ধ ২, আহত হয়েছে ১০-১৫ জন। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়া এলাকায়।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, ৩০ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে দ্রুতগামী একটি টমটম গাড়ী ছাপায় পড়ে গুরুতর আহত হয় সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়া এলাকার নুর আহম্মদ (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ। এর পর নুর আহম্মদের ছেলে শফিকের সাথে টমটম গাড়ীর ড্রাইভারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এবং একপর্যায়ে ঘটনাটি সমাধান হয়। কিন্তু দুই এক ঘন্টা যেতে না যেতেই একই এলাকার আবদুল গফুরের পুত্র শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী বহু মামলার পলাতক আসামী শফিকের নেতৃত্বে দুধর্ষ একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নুর আহম্মদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এর পর দুই পক্ষের লোকজন মুখোমুখি হলে সংষর্ঘ বড় আকার ধারন করে। তার পর সন্ত্রাসীদের অতর্কিত গুলিবর্ষণে নুর আহম্মদের ছেলে মো: হাফেজ (৩৮) ও হাফেজ উল্লাহ (৩৪) গুলিবিদ্ধ হয়। আরও গুরুতর আহত হয়েছে ১০-১৫ জন  ব্যক্তি। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুই জনের অবস্থা বেশি আশংকাজনক হওয়ায়  তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার ডি ওয়াই লুনা আক্তার। এদিকে গুলিবিদ্ধ মো: হাফেজের ছোট ভাই মো: শফিক বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।


সংঘটিত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গুলিবিদ্ধ হাফেজের ছোট ভাই মো: শফিক বলেন, একই এলাকার আবদুল গফুরের ছেলে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও দৃধর্ষ সন্ত্রাসী মো: শফিকের সাথে একটি জায়গা জমি সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে   দীর্ঘ দিন ধরে আমার পিতা নুর আহম্মদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। সেই পূর্ব শক্রতাকে পুজিঁ করে টমটম চালকের পক্ষ নিয়ে তার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সস্ত্রাসী আমাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর, হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে আমার দুই বড় ভাই। আর আহত হয়েছে প্রায় ১০-১৫ জন সাধারণ মানুষ। মামলার বাদি আরো বলেন, আমরা আইনের প্রতি সম্মান রেখে থানায় এজাহার দায়ের করেছি। মামলা প্রক্রিয়া চলছে, যে সমস্ত সন্ত্রাসীরা অপরাধ কর্মকান্ড সংঘঠিত করে আমার দুই ভাইয়ের উপর গুলিবর্ষণ করেছে। তাদেরকে আইনের আওয়াতাই না আনলে এলাকার কোন সাধারণ মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না। কারন তারা ইয়াবা ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। টাকার বিনিময়ে তারা অপরাধ সংঘঠিত করে যাচ্ছে। তাই আমাদের দাবি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী শফিককে আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসলে আমাদের এলাকা থেকে অপরাধ কমে যাবে।
মামলার এজাহারের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দিন খাঁন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি এজাহার দায়ের করেছে। ঘটনার সত্যতা যাছাই করার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অপরাধি যত বড় শক্তিশালী হোক তাদেরকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। ঘটনাটির সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী

টেকনাফে পূর্ব শক্রতার জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ: প্রতি পক্ষের গুলিতে দুই জন গুলিবিদ্ধ, আহত ১০

আপডেট সময় : ০৯:৩৩:৪৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৭

হাবিবুল ইসলাম হাবিব,  টেকনাফ:  টেকনাফে জায়গা জমি সংক্রান্ত ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘবদ্ধ হয়ে একদল সন্ত্রাসী প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘর ভাংচুর, সাধারণ জনতার উপর                           গুলিবর্ষণ। গুলিবিদ্ধ ২, আহত হয়েছে ১০-১৫ জন। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়া এলাকায়।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, ৩০ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে দ্রুতগামী একটি টমটম গাড়ী ছাপায় পড়ে গুরুতর আহত হয় সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়া এলাকার নুর আহম্মদ (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ। এর পর নুর আহম্মদের ছেলে শফিকের সাথে টমটম গাড়ীর ড্রাইভারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এবং একপর্যায়ে ঘটনাটি সমাধান হয়। কিন্তু দুই এক ঘন্টা যেতে না যেতেই একই এলাকার আবদুল গফুরের পুত্র শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী বহু মামলার পলাতক আসামী শফিকের নেতৃত্বে দুধর্ষ একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নুর আহম্মদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এর পর দুই পক্ষের লোকজন মুখোমুখি হলে সংষর্ঘ বড় আকার ধারন করে। তার পর সন্ত্রাসীদের অতর্কিত গুলিবর্ষণে নুর আহম্মদের ছেলে মো: হাফেজ (৩৮) ও হাফেজ উল্লাহ (৩৪) গুলিবিদ্ধ হয়। আরও গুরুতর আহত হয়েছে ১০-১৫ জন  ব্যক্তি। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুই জনের অবস্থা বেশি আশংকাজনক হওয়ায়  তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার ডি ওয়াই লুনা আক্তার। এদিকে গুলিবিদ্ধ মো: হাফেজের ছোট ভাই মো: শফিক বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।


সংঘটিত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গুলিবিদ্ধ হাফেজের ছোট ভাই মো: শফিক বলেন, একই এলাকার আবদুল গফুরের ছেলে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও দৃধর্ষ সন্ত্রাসী মো: শফিকের সাথে একটি জায়গা জমি সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে   দীর্ঘ দিন ধরে আমার পিতা নুর আহম্মদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। সেই পূর্ব শক্রতাকে পুজিঁ করে টমটম চালকের পক্ষ নিয়ে তার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সস্ত্রাসী আমাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর, হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে আমার দুই বড় ভাই। আর আহত হয়েছে প্রায় ১০-১৫ জন সাধারণ মানুষ। মামলার বাদি আরো বলেন, আমরা আইনের প্রতি সম্মান রেখে থানায় এজাহার দায়ের করেছি। মামলা প্রক্রিয়া চলছে, যে সমস্ত সন্ত্রাসীরা অপরাধ কর্মকান্ড সংঘঠিত করে আমার দুই ভাইয়ের উপর গুলিবর্ষণ করেছে। তাদেরকে আইনের আওয়াতাই না আনলে এলাকার কোন সাধারণ মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না। কারন তারা ইয়াবা ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। টাকার বিনিময়ে তারা অপরাধ সংঘঠিত করে যাচ্ছে। তাই আমাদের দাবি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী শফিককে আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসলে আমাদের এলাকা থেকে অপরাধ কমে যাবে।
মামলার এজাহারের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দিন খাঁন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি এজাহার দায়ের করেছে। ঘটনার সত্যতা যাছাই করার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অপরাধি যত বড় শক্তিশালী হোক তাদেরকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। ঘটনাটির সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।