কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে চলমান আমরণ অনশন কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে বসে অনশন শুরু করেন।

এসময় অনশনে যোগ দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের ইবি শাখার সভাপতি সাদেক আহমদসহ আরো বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

অনশনে শিক্ষার্থীরা বলেন ‘কুয়েটের ভিসি যে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছিলো তার প্রতিবাদে আমরা ভিসির পদত্যাগ দাবি করেছিলাম। কিন্তু প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো কর্ণপাত করেনি। এর প্রতিবাদে আমাদের কুয়েটের ভাইয়েরা অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করে হাসপাতালে পৌঁছালেও তিনি পদত্যাগ করেননি। আমরা আমাদের ভাইদের এই কর্মসূচির সাথে সংহতি জানাচ্ছি।

 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সমন্বয়ক বলেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ওপর ধারাবাহিক ভাবে অন্যায় সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন। এতে কুয়েট শিক্ষার্থী মনে করেন সেই উপাচার্য তার নৈতিক দায়িত্ব থেকে দূরে সরে গেছে এবং উপাচার্যের চেয়্যারে বসার যোগ্যতা হারিয়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের ১ দফা দাবিতে দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টা ধরে অনশনে বসে আছেন। কুয়েটে অনশনে বসা অধিকাংশ শিক্ষার্থীই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। জুলাই বিপ্লবে ফলেই যে ভিসি তার চেয়ার পেয়েছেন, সেই চেয়ার নির্লজ্জের মতো আঁকড়ে ধরে শিক্ষাঙ্গনে এমন অস্থির পরিবেশ তৈরি করে রাখাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। অচলাবস্থা নিরসনে ভিসির পদত্যাগ জরুরি। শিক্ষা উপদেষ্টাকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গত ২১ এপ্রিল বিকাল পৌনে ৪টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন কুয়েটের ৩২ শিক্ষার্থী। গত ৪৮ ঘন্টায় ছয়জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কুয়েটের উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

ট্যাগস :

সব আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল

কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা

আপডেট সময় : ০৭:৫৭:৩৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে চলমান আমরণ অনশন কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে বসে অনশন শুরু করেন।

এসময় অনশনে যোগ দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের ইবি শাখার সভাপতি সাদেক আহমদসহ আরো বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

অনশনে শিক্ষার্থীরা বলেন ‘কুয়েটের ভিসি যে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছিলো তার প্রতিবাদে আমরা ভিসির পদত্যাগ দাবি করেছিলাম। কিন্তু প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো কর্ণপাত করেনি। এর প্রতিবাদে আমাদের কুয়েটের ভাইয়েরা অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করে হাসপাতালে পৌঁছালেও তিনি পদত্যাগ করেননি। আমরা আমাদের ভাইদের এই কর্মসূচির সাথে সংহতি জানাচ্ছি।

 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সমন্বয়ক বলেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ওপর ধারাবাহিক ভাবে অন্যায় সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন। এতে কুয়েট শিক্ষার্থী মনে করেন সেই উপাচার্য তার নৈতিক দায়িত্ব থেকে দূরে সরে গেছে এবং উপাচার্যের চেয়্যারে বসার যোগ্যতা হারিয়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের ১ দফা দাবিতে দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টা ধরে অনশনে বসে আছেন। কুয়েটে অনশনে বসা অধিকাংশ শিক্ষার্থীই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। জুলাই বিপ্লবে ফলেই যে ভিসি তার চেয়ার পেয়েছেন, সেই চেয়ার নির্লজ্জের মতো আঁকড়ে ধরে শিক্ষাঙ্গনে এমন অস্থির পরিবেশ তৈরি করে রাখাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। অচলাবস্থা নিরসনে ভিসির পদত্যাগ জরুরি। শিক্ষা উপদেষ্টাকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গত ২১ এপ্রিল বিকাল পৌনে ৪টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন কুয়েটের ৩২ শিক্ষার্থী। গত ৪৮ ঘন্টায় ছয়জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কুয়েটের উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।