শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

হালতিবিলে বোরো ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৫৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৭১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

উত্তরের জেলা নাটোরের হালতিবিলে বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। ধান ঘরে তোলার শেষ মুহূর্তে এ রোগের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা।
এবার বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হবে বলে জানান কৃষকরা। কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগ রোগ প্রতিরোধে পরামর্শ দিলেও তা কাজে আসছে না।

এদিকে চলতি মাসে গত দুই দফায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে আধা-পাকা ধান জমিতে লুটিয়ে পড়েছে। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
সরেজমিনে হালতিবিল ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার হালতি, বাঁশিলা, খোলাবাড়িয়া, খাজুরা, করেরগ্রাম, কুচকরি, পাটুল, তেঘড়িয়া, একডালা, সোনাপাতিল এলাকার অধিকাংশ মাঠে বোরো ধানের শীষে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ রোগের কারণে ধানের পুরো শিষ মরে চিটা হয়ে যাচ্ছে। ধান পাকার শেষ সময়ে হঠাৎ করে এই রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা।

কথা হয় বাঁশিলা এলাকার কৃষক খলিলুর রহমানেরর সঙ্গে। এবার তিনি সাত বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করেন। এর মধ্যে খাটো- ১০ (স্থানীয় ভাষায়) জাতের ধান রোপন করেন পাঁচ বিঘা জমিতে। কিন্তু শেষ সময়ে এসে দেখা যায় ধানের শিষ মরে সাদা হয়ে যাচ্ছে। পুরো শিষ মরে চিটা হয়ে যাওয়ায় ধান ঘরে তোলা নিয়ে সংশয় রয়েছে তার।

Image result for ধান ব্লাস্ট রোগ

খলিলুর রহমান জানান, হালতিবিলে প্রতিবছর এমন রোগের কারণে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কিন্তু কৃষি বিভাগ রোগ প্রতিরোধে কোনো পদক্ষেপ নেয় না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হালতিবিলের উপজেলার বাঁশিলা ও সোনাপাতিল এলাকার অন্তত ২৫-৩০ জন কৃষকের শত শত বিঘা বোরো ধানের শীষে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।

এ ছাড়া ওই গ্রামের সালাম প্রামানিকের ৫ বিঘা, রফিক ইসলামের ৪ বিঘা, আলাল হোসেনের ৩ বিঘা, খলিলুর রহমানের ৫ বিঘা, জালাল হোসেনের ৩ বিঘা, আব্দুল মান্নানের ৬ বিঘা, জয়নাল আবেদিনের ২ বিঘা, আবুল কাশেমের ২ বিঘা, এনতাজ আলীর ৩ বিঘা জমির খাটো -১০ জাতের ধানে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

বাঁশিলা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবুল কামাল জানান, ১৮ বিঘার মধ্যে ৮ বিঘা জমির খাটো-১০ জাতের ধানে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।

আরেক কৃষক আলাল হোসেন বলেন, হালতিবিলে বছরে একটি মাত্র ফসল বোরো ধানের আবাদ হয়। কিন্তু সেই জমিতেও যদি রোগের আক্রমণ হয়, তাহলে পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। অনেক টাকা খরচ করেও এবার হয়ত ফসল ঘরে তুলতে পারব না। বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, বীজ এবং আবহাওয়াজনিত কারণে বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে। কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী মাত্র এক হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তবে প্রতিরোধে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কীটনাশক প্রয়োগের পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জমিগুলোর ব্যাপারে কিছু করা সম্ভব নয়, বাকি জমিগুলো যাতে আক্রান্ত না হয় সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

হালতিবিলে বোরো ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত !

আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৫৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

উত্তরের জেলা নাটোরের হালতিবিলে বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। ধান ঘরে তোলার শেষ মুহূর্তে এ রোগের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা।
এবার বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হবে বলে জানান কৃষকরা। কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগ রোগ প্রতিরোধে পরামর্শ দিলেও তা কাজে আসছে না।

এদিকে চলতি মাসে গত দুই দফায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে আধা-পাকা ধান জমিতে লুটিয়ে পড়েছে। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
সরেজমিনে হালতিবিল ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার হালতি, বাঁশিলা, খোলাবাড়িয়া, খাজুরা, করেরগ্রাম, কুচকরি, পাটুল, তেঘড়িয়া, একডালা, সোনাপাতিল এলাকার অধিকাংশ মাঠে বোরো ধানের শীষে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ রোগের কারণে ধানের পুরো শিষ মরে চিটা হয়ে যাচ্ছে। ধান পাকার শেষ সময়ে হঠাৎ করে এই রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা।

কথা হয় বাঁশিলা এলাকার কৃষক খলিলুর রহমানেরর সঙ্গে। এবার তিনি সাত বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করেন। এর মধ্যে খাটো- ১০ (স্থানীয় ভাষায়) জাতের ধান রোপন করেন পাঁচ বিঘা জমিতে। কিন্তু শেষ সময়ে এসে দেখা যায় ধানের শিষ মরে সাদা হয়ে যাচ্ছে। পুরো শিষ মরে চিটা হয়ে যাওয়ায় ধান ঘরে তোলা নিয়ে সংশয় রয়েছে তার।

Image result for ধান ব্লাস্ট রোগ

খলিলুর রহমান জানান, হালতিবিলে প্রতিবছর এমন রোগের কারণে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কিন্তু কৃষি বিভাগ রোগ প্রতিরোধে কোনো পদক্ষেপ নেয় না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হালতিবিলের উপজেলার বাঁশিলা ও সোনাপাতিল এলাকার অন্তত ২৫-৩০ জন কৃষকের শত শত বিঘা বোরো ধানের শীষে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।

এ ছাড়া ওই গ্রামের সালাম প্রামানিকের ৫ বিঘা, রফিক ইসলামের ৪ বিঘা, আলাল হোসেনের ৩ বিঘা, খলিলুর রহমানের ৫ বিঘা, জালাল হোসেনের ৩ বিঘা, আব্দুল মান্নানের ৬ বিঘা, জয়নাল আবেদিনের ২ বিঘা, আবুল কাশেমের ২ বিঘা, এনতাজ আলীর ৩ বিঘা জমির খাটো -১০ জাতের ধানে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

বাঁশিলা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবুল কামাল জানান, ১৮ বিঘার মধ্যে ৮ বিঘা জমির খাটো-১০ জাতের ধানে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।

আরেক কৃষক আলাল হোসেন বলেন, হালতিবিলে বছরে একটি মাত্র ফসল বোরো ধানের আবাদ হয়। কিন্তু সেই জমিতেও যদি রোগের আক্রমণ হয়, তাহলে পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। অনেক টাকা খরচ করেও এবার হয়ত ফসল ঘরে তুলতে পারব না। বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, বীজ এবং আবহাওয়াজনিত কারণে বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে। কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী মাত্র এক হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তবে প্রতিরোধে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কীটনাশক প্রয়োগের পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জমিগুলোর ব্যাপারে কিছু করা সম্ভব নয়, বাকি জমিগুলো যাতে আক্রান্ত না হয় সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।