শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

শীতে যে ফলগুলো স্বাস্থ্যকর !

  • আপডেট সময় : ০৪:০৭:০৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৭৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি শীতে ত্বকের বাড়তি যত্নের জন্য কিছু ফল খাওয়া উচিত। যে ফলগুলো ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রেখে ত্বক উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে।

পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে ফ্রুট স্যালাড বানান কিংবা ফ্রুট সিরাপ মিশিয়ে খান। জেনে নিন কোন ফলের কী গুণাগুণ।

কিউয়ি : কিউয়ি’তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ফলে শরীরে কোলাজেন তৈরি করতে কিউয়ি কাজে লাগে খুব। ভিটামিন ই’ও থাকে এই ফলে। সুতরাং আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতেও কিউয়ি উপকারী।

অ্যাভোকাডো : শীতকালে ত্বক বা চুলের রুক্ষ্মভাব দূর হবে, যদি নিয়মিত অ্যাভোকাডো রাখেন ডায়েটে। ফেসপ্যাক বা হেয়ারপ্যাক হিসেবেও অ্যাভোকাডোর জবাব নেই! অ্যাভোকাডোর ভিটামিন ই ত্বক নরম আর পরিষ্কার রাখার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতাও জোগায় শরীরে।

বেদানা : এই ফলে যে পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, আর কোনো কিছুতেই পাবেন না! ভিটামিন সি’ও ঠাসা বেদানায়। যাদের ব্রণর সমস্যা রয়েছে, তারা শীতে একটু বেশিই সমস্যায় পড়েন। ফাটা ত্বকে ধুলোবালি ঢুকে গিয়ে সংক্রমণ বাড়িয়ে তোলে। বেদানার ভিটামিন সি ত্বকের পোরগুলোকে টাইট রাখে। ফলে ময়লা জমে না, আবার রিঙ্কলও পড়ে না। ব্রেকফাস্টের পর এক গ্লাস বেদানার রস খান নিয়মিত।

আমলকি : ডিটক্স করার জন্য আমলকির দোসর হয় না। রক্ত পরিশ্রুতও করে আমলকি। তাছাড়া বিভিন্ন ভিটামিনের সমাহার ত্বক এবং চুলে পুষ্টিও জোগায়। দরকার পড়লে জুস বানিয়ে খান। বাজার চলতি প্যাকেড ড্রিংক এড়িয়ে গিয়ে বরং বাড়িতেই রস করে নিন।

পাকা পেঁপে : ভিটামিন এ ভর্তি এই ফলে। তাছাড়া নানা রকম ফ্রুট এনজাইম রয়েছে, যেগুলো ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। খাওয়ার সময় এক টুকরো মুখে মেখেও নিতে পারেন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। উজ্জ্বল হয়ে উঠবেন! পেঁপে হজম হওয়ার সময় কিন্তু তাড়াতাড়ি ভাঙে এবং প্রোটিন ফ্যাক্টরগুলো দ্রুত রক্তে মিশে তার পরিশোধনও ঘটায়।

আতা : ভিটামিন এ ও সি- দুটোই রয়েছে আতা ফলে। ত্বকে আর্দ্রতা ধরে তো রাখেই, তার সঙ্গে ন্যাচারাল স্ক্রাবারের কাজটাও করে। সংক্রমণও দূরে রাখে। আবার আতা যদি রস করে খাওয়া যায় নিয়মিত, তাহলে মরা কোষ ঝরে গিয়ে নতুন ঝকঝকে ত্বক তৈরি হবে ভেতর থেকে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

শীতে যে ফলগুলো স্বাস্থ্যকর !

আপডেট সময় : ০৪:০৭:০৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি শীতে ত্বকের বাড়তি যত্নের জন্য কিছু ফল খাওয়া উচিত। যে ফলগুলো ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রেখে ত্বক উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে।

পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে ফ্রুট স্যালাড বানান কিংবা ফ্রুট সিরাপ মিশিয়ে খান। জেনে নিন কোন ফলের কী গুণাগুণ।

কিউয়ি : কিউয়ি’তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ফলে শরীরে কোলাজেন তৈরি করতে কিউয়ি কাজে লাগে খুব। ভিটামিন ই’ও থাকে এই ফলে। সুতরাং আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতেও কিউয়ি উপকারী।

অ্যাভোকাডো : শীতকালে ত্বক বা চুলের রুক্ষ্মভাব দূর হবে, যদি নিয়মিত অ্যাভোকাডো রাখেন ডায়েটে। ফেসপ্যাক বা হেয়ারপ্যাক হিসেবেও অ্যাভোকাডোর জবাব নেই! অ্যাভোকাডোর ভিটামিন ই ত্বক নরম আর পরিষ্কার রাখার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতাও জোগায় শরীরে।

বেদানা : এই ফলে যে পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, আর কোনো কিছুতেই পাবেন না! ভিটামিন সি’ও ঠাসা বেদানায়। যাদের ব্রণর সমস্যা রয়েছে, তারা শীতে একটু বেশিই সমস্যায় পড়েন। ফাটা ত্বকে ধুলোবালি ঢুকে গিয়ে সংক্রমণ বাড়িয়ে তোলে। বেদানার ভিটামিন সি ত্বকের পোরগুলোকে টাইট রাখে। ফলে ময়লা জমে না, আবার রিঙ্কলও পড়ে না। ব্রেকফাস্টের পর এক গ্লাস বেদানার রস খান নিয়মিত।

আমলকি : ডিটক্স করার জন্য আমলকির দোসর হয় না। রক্ত পরিশ্রুতও করে আমলকি। তাছাড়া বিভিন্ন ভিটামিনের সমাহার ত্বক এবং চুলে পুষ্টিও জোগায়। দরকার পড়লে জুস বানিয়ে খান। বাজার চলতি প্যাকেড ড্রিংক এড়িয়ে গিয়ে বরং বাড়িতেই রস করে নিন।

পাকা পেঁপে : ভিটামিন এ ভর্তি এই ফলে। তাছাড়া নানা রকম ফ্রুট এনজাইম রয়েছে, যেগুলো ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। খাওয়ার সময় এক টুকরো মুখে মেখেও নিতে পারেন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। উজ্জ্বল হয়ে উঠবেন! পেঁপে হজম হওয়ার সময় কিন্তু তাড়াতাড়ি ভাঙে এবং প্রোটিন ফ্যাক্টরগুলো দ্রুত রক্তে মিশে তার পরিশোধনও ঘটায়।

আতা : ভিটামিন এ ও সি- দুটোই রয়েছে আতা ফলে। ত্বকে আর্দ্রতা ধরে তো রাখেই, তার সঙ্গে ন্যাচারাল স্ক্রাবারের কাজটাও করে। সংক্রমণও দূরে রাখে। আবার আতা যদি রস করে খাওয়া যায় নিয়মিত, তাহলে মরা কোষ ঝরে গিয়ে নতুন ঝকঝকে ত্বক তৈরি হবে ভেতর থেকে।