শিরোনাম :
Logo ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার Logo বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে আটক ৪৪৮ জন Logo ফ্রান্সে ভয়াবহ দাবানল, আহত শতাধিক মানুষ Logo জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা Logo বীরগঞ্জে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা Logo দিনমজুরি করেও স্বপ্ন দেখেছে আইনজীবী হওয়ার, পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হলেও পড়ালেখার ভবিষ্যৎ টাকার অভাবে অনিশ্চিৎ Logo কুবিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপনের দায়িত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা! Logo মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী” শিশু শিল্পী টুনটুনির জন্মদিন উদযাপন Logo রাবিতে ডাইনিং সংকটসহ ৫ দফা দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৫:৫৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • ৭১৬ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও টেসলা-স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার) এ তিনি ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে এই নতুন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার কথা জানান।

মাস্কের এই ঘোষণা এসেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বিরোধের প্রেক্ষাপটে। গত সপ্তাহে তিনি ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে “অমানবিক” বলে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছিলেন, যা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বিবাদই মাস্ককে বিকল্প রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

‘আমেরিকা পার্টি’র মূল লক্ষ্য হিসেবে মাস্ক তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন:
১. প্রযুক্তি বান্ধব নীতি
২. অভিবাসন সংস্কার
৩. অর্থনৈতিক স্বাধীনতা

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে “অকার্যকর ও অতিমাত্রায় বিভাজনমূলক” বলে অভিহিত করেছেন। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, মাস্কের এই নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃতীয় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের দুই-দলীয় ব্যবস্থায় এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।রাজনৈতিক মহলে এই ঘোষণা মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। রিপাবলিকান নেতারা একে “অভিজাত শ্রেণীর রাজনৈতিক অভিযান” বলে আখ্যায়িত করলেও কিছু প্রগতিশীল নেতা এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ৪২% ভোটার নিজেদের স্বতন্ত্র হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন।

ঘোষণার পরপরই ‘আমেরিকা পার্টি’র ওয়েবসাইটে স্বেচ্ছাসেবক নিবন্ধন শুরু হয়েছে। মাস্ক আগামী সপ্তাহে দলের বিস্তারিত কর্মসূচি ও কাঠামো প্রকাশ করার কথা জানিয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. সারা উইলিয়ামস বলেন, “মাস্কের জনপ্রিয়তা ও প্রযুক্তি খাতে প্রভাব নতুন দলটিকে প্রাথমিক সুবিধা দিলেও, স্থানীয় পর্যায়ে শক্ত ভিত্তি গড়ে তোলা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া কঠিন হবে।”

এদিকে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “মাস্কের এই উদ্যোগ রিপাবলিকান ভোট বিভাজনের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে, যা ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের জন্য সহায়ক হতে পারে।”

প্রসঙ্গত, ইলন মাস্ক ২০২২ সালে এক্স (সাবেক টুইটার) ৪৪ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেন। তারপর থেকে তিনি এই প্ল্যাটফর্মটিকে তার রাজনৈতিক মতামত ও বার্তা প্রচারের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। তার এই নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ মার্কিন রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে, সে বিষয়ে বিশ্লেষকগণ সতর্ক পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠন

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:৫৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও টেসলা-স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার) এ তিনি ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে এই নতুন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার কথা জানান।

মাস্কের এই ঘোষণা এসেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বিরোধের প্রেক্ষাপটে। গত সপ্তাহে তিনি ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে “অমানবিক” বলে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছিলেন, যা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বিবাদই মাস্ককে বিকল্প রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

‘আমেরিকা পার্টি’র মূল লক্ষ্য হিসেবে মাস্ক তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন:
১. প্রযুক্তি বান্ধব নীতি
২. অভিবাসন সংস্কার
৩. অর্থনৈতিক স্বাধীনতা

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে “অকার্যকর ও অতিমাত্রায় বিভাজনমূলক” বলে অভিহিত করেছেন। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, মাস্কের এই নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃতীয় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের দুই-দলীয় ব্যবস্থায় এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।রাজনৈতিক মহলে এই ঘোষণা মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। রিপাবলিকান নেতারা একে “অভিজাত শ্রেণীর রাজনৈতিক অভিযান” বলে আখ্যায়িত করলেও কিছু প্রগতিশীল নেতা এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ৪২% ভোটার নিজেদের স্বতন্ত্র হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন।

ঘোষণার পরপরই ‘আমেরিকা পার্টি’র ওয়েবসাইটে স্বেচ্ছাসেবক নিবন্ধন শুরু হয়েছে। মাস্ক আগামী সপ্তাহে দলের বিস্তারিত কর্মসূচি ও কাঠামো প্রকাশ করার কথা জানিয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. সারা উইলিয়ামস বলেন, “মাস্কের জনপ্রিয়তা ও প্রযুক্তি খাতে প্রভাব নতুন দলটিকে প্রাথমিক সুবিধা দিলেও, স্থানীয় পর্যায়ে শক্ত ভিত্তি গড়ে তোলা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া কঠিন হবে।”

এদিকে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “মাস্কের এই উদ্যোগ রিপাবলিকান ভোট বিভাজনের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে, যা ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের জন্য সহায়ক হতে পারে।”

প্রসঙ্গত, ইলন মাস্ক ২০২২ সালে এক্স (সাবেক টুইটার) ৪৪ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেন। তারপর থেকে তিনি এই প্ল্যাটফর্মটিকে তার রাজনৈতিক মতামত ও বার্তা প্রচারের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। তার এই নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ মার্কিন রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে, সে বিষয়ে বিশ্লেষকগণ সতর্ক পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন।