শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহকে আইইবি স্বীকৃতি প্রদানের দাবি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:০৪:৩৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • ৭৮১ বার পড়া হয়েছে

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন,বাংলাদেশ’র (আইইবি) স্বীকৃতি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ ও ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ও সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৩ই মে) দুপর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. কুদরত ই খুদা একাডেমিক বিল্ডিংয়ের সামনে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং বিক্ষোভ শেষে স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।

এমসয় শিক্ষার্থীরা বলেন,”দীর্ঘদিন ধরে আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও আমরা ইঞ্জিনিয়াররা আমাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত, আমাদের যে প্রাপ্য সম্মান,সুযোগ-সুবিধা সেগুলো থেকেও আমরা বঞ্চিত। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদগুলো আছে, দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও আমরা আমাদের যে ক্লাসরুম সংকট তা নিরসন হয়নি। এখনও আমাদের ৪/৫ টি ব্যাচকে মাত্র দুইটি রুমে ক্লাস করতে হয় ৷ আমাদের যে ল্যাবের সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা সেটি আমরা এখনও পাইনি। ইউটিউবে ভিডিও দেখে আমাদের ল্যাব ক্লাস করতে হয়।”

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “শুধু তাই নয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমাদের অনুষদ বা বিভাগগুলোতে শিক্ষক সংকট এটা যেনো আমাদের গলার কাটা। প্রতিটি বিভাগে মাত্র ৪/৫ জন শিক্ষক। ফলে এই ৪/৫ জন শিক্ষককে একই সাথে ৩ থেকে ৪ টি কোর্স নিতে হয়। সব থেকে বড় কথা আমরা একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েও আমাদের আইইবি মেম্বারশীপ নেই। যার ফলে চার পাঁচ বছর পড়াশুনা শেষ করে আমরা নিজেদেরকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দিতে পারি না। তাই আমাদের দাবি আমাদের যে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলো আছে এগুলোকে আইইবি’র আওতাভুক্ত করতে হবে।আর তা করার জন্য যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা সেই সব ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) বাংলাদেশের প্রকৌশল পেশাজীবীদের জাতীয় সংগঠন।IEB হলো বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারদের অভিভাবক সংস্থা। এই সংস্থা টি সোসাইটিস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৮৬০ দ্বারা নিবন্ধিত। আইইবিতে বর্তমানে সকল প্রকৌশল বিভাগ অন্তর্ভুক্ত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহকে আইইবি স্বীকৃতি প্রদানের দাবি

আপডেট সময় : ০৪:০৪:৩৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন,বাংলাদেশ’র (আইইবি) স্বীকৃতি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ ও ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ও সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৩ই মে) দুপর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. কুদরত ই খুদা একাডেমিক বিল্ডিংয়ের সামনে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং বিক্ষোভ শেষে স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।

এমসয় শিক্ষার্থীরা বলেন,”দীর্ঘদিন ধরে আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও আমরা ইঞ্জিনিয়াররা আমাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত, আমাদের যে প্রাপ্য সম্মান,সুযোগ-সুবিধা সেগুলো থেকেও আমরা বঞ্চিত। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদগুলো আছে, দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও আমরা আমাদের যে ক্লাসরুম সংকট তা নিরসন হয়নি। এখনও আমাদের ৪/৫ টি ব্যাচকে মাত্র দুইটি রুমে ক্লাস করতে হয় ৷ আমাদের যে ল্যাবের সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা সেটি আমরা এখনও পাইনি। ইউটিউবে ভিডিও দেখে আমাদের ল্যাব ক্লাস করতে হয়।”

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “শুধু তাই নয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমাদের অনুষদ বা বিভাগগুলোতে শিক্ষক সংকট এটা যেনো আমাদের গলার কাটা। প্রতিটি বিভাগে মাত্র ৪/৫ জন শিক্ষক। ফলে এই ৪/৫ জন শিক্ষককে একই সাথে ৩ থেকে ৪ টি কোর্স নিতে হয়। সব থেকে বড় কথা আমরা একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েও আমাদের আইইবি মেম্বারশীপ নেই। যার ফলে চার পাঁচ বছর পড়াশুনা শেষ করে আমরা নিজেদেরকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দিতে পারি না। তাই আমাদের দাবি আমাদের যে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলো আছে এগুলোকে আইইবি’র আওতাভুক্ত করতে হবে।আর তা করার জন্য যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা সেই সব ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) বাংলাদেশের প্রকৌশল পেশাজীবীদের জাতীয় সংগঠন।IEB হলো বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারদের অভিভাবক সংস্থা। এই সংস্থা টি সোসাইটিস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৮৬০ দ্বারা নিবন্ধিত। আইইবিতে বর্তমানে সকল প্রকৌশল বিভাগ অন্তর্ভুক্ত।