শিরোনাম :
Logo জামালপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতির বিরুদ্ধে কলেজ আহ্বায়ককে মারধরের অভিযোগ Logo পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বিএনপি নেতা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করলেন Logo অর্থের অভাবে যেন থেমে না যায় স্বপ্ন-শিক্ষার্থীদের পাশে ছাত্রদল নেতা রবিউল আউয়াল Logo বাজেট বৃদ্ধি না হলে ‘লং মার্চ টু যমুনা’র হুঁশিয়ারি জবি ছাত্র-শিক্ষকদের Logo সেভেন সিস্টার্সসহ নেপাল-ভুটানের সঙ্গে যৌথ উন্নয়ন কৌশলের আহ্বান Logo নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে জরুরি বৈঠকে ইসি Logo আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি Logo ববি উপাচার্যকে মঙ্গলবার দুপুর ২টার মধ্যে পদত্যাগ করতে আলটিমেটাম Logo চিকিৎসাখাতে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা প্রয়োজন, বললেন প্রধান উপদেষ্টা Logo জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার প্রতিবাদে সমবেত কন্ঠে গাইলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

জামালপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতির বিরুদ্ধে কলেজ আহ্বায়ককে মারধরের অভিযোগ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:১৪:৪২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • ৭০৬ বার পড়া হয়েছে

জামালপুর জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোশাররফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মেলান্দহ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান মিশুর পক্ষ থেকে।

মিশুর দাবি, গত ৮ মে জামালপুরে ছাত্রদলের একটি অনুষ্ঠানে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিমের প্রতিনিধি—ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাকের আহমেদ এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিসালাত ইসলাম সজীবের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে তিনি ইসলামপুর ডাক বাংলোয় যান। সেখানে গেটে মোশাররফ সিদ্দিকীকে দেখে সালাম দিতে এগিয়ে গেলে, তিনি সালামের উত্তর না দিয়ে উল্টো প্রশ্ন করেন, “তুই জেলার নেতা হয়েছিস, জেলা কমিটি ভাঙার চেষ্টা করছিস কেন?”

মেহেদী তার জবাবে বলেন, “আমি কলেজ শাখার নেতা, আমি কিভাবে জেলা কমিটি ভাঙার চেষ্টা করব?” এ কথার পর মোশাররফ অভিযোগ তোলেন যে, মেহেদী দুইবার কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকা গিয়েছিল। মেহেদী জানান, তিনি কেবল সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন।

তবুও মোশাররফ সিদ্দিকী ও তার অনুসারীরা তাকে মারধর করতে করতে ডাক বাংলো থেকে বটতলা মোড় পর্যন্ত নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন মিশু।

ঘটনার পর উল্টো মেহেদীকেই কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়ে শোকজ করে জেলা ছাত্রদল, বলে জানিয়েছেন তিনি।

মেলানন্দ কলেজের আহ্বায়ক মিশুকে মারধরের বিষয়কে অস্বীকার করে জামালপুর জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোশাররফ সিদ্দিকী বলেন, “মিশুর সাথে মূলত জেলা কমিটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইমরানের তর্কবিতর্ক হয়েছে। এর মাঝেই ওদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে আমি ওকে ধমক দিয়ে শাসিয়ে ওখান থেকে সরিয়ে দিয়েছি, মারধর করার তো কোনো প্রশ্নই আসে না।”

জেলা কমিটি ভাঙ্গার বিষয়ে মিশুকে মারধর করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এরকম কোনো ঘটনার সত্যতা নেই। আর ওই সময় মিশুর আচরণ উগ্র ছিলো, সেখানে সেন্ট্রাল নেতারাও ছিলো। যার ফলে তাকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শোকজও করা হয়েছে।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতির বিরুদ্ধে কলেজ আহ্বায়ককে মারধরের অভিযোগ

জামালপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতির বিরুদ্ধে কলেজ আহ্বায়ককে মারধরের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:১৪:৪২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

জামালপুর জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোশাররফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মেলান্দহ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান মিশুর পক্ষ থেকে।

মিশুর দাবি, গত ৮ মে জামালপুরে ছাত্রদলের একটি অনুষ্ঠানে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিমের প্রতিনিধি—ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাকের আহমেদ এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিসালাত ইসলাম সজীবের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে তিনি ইসলামপুর ডাক বাংলোয় যান। সেখানে গেটে মোশাররফ সিদ্দিকীকে দেখে সালাম দিতে এগিয়ে গেলে, তিনি সালামের উত্তর না দিয়ে উল্টো প্রশ্ন করেন, “তুই জেলার নেতা হয়েছিস, জেলা কমিটি ভাঙার চেষ্টা করছিস কেন?”

মেহেদী তার জবাবে বলেন, “আমি কলেজ শাখার নেতা, আমি কিভাবে জেলা কমিটি ভাঙার চেষ্টা করব?” এ কথার পর মোশাররফ অভিযোগ তোলেন যে, মেহেদী দুইবার কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকা গিয়েছিল। মেহেদী জানান, তিনি কেবল সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন।

তবুও মোশাররফ সিদ্দিকী ও তার অনুসারীরা তাকে মারধর করতে করতে ডাক বাংলো থেকে বটতলা মোড় পর্যন্ত নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন মিশু।

ঘটনার পর উল্টো মেহেদীকেই কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়ে শোকজ করে জেলা ছাত্রদল, বলে জানিয়েছেন তিনি।

মেলানন্দ কলেজের আহ্বায়ক মিশুকে মারধরের বিষয়কে অস্বীকার করে জামালপুর জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোশাররফ সিদ্দিকী বলেন, “মিশুর সাথে মূলত জেলা কমিটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইমরানের তর্কবিতর্ক হয়েছে। এর মাঝেই ওদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে আমি ওকে ধমক দিয়ে শাসিয়ে ওখান থেকে সরিয়ে দিয়েছি, মারধর করার তো কোনো প্রশ্নই আসে না।”

জেলা কমিটি ভাঙ্গার বিষয়ে মিশুকে মারধর করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এরকম কোনো ঘটনার সত্যতা নেই। আর ওই সময় মিশুর আচরণ উগ্র ছিলো, সেখানে সেন্ট্রাল নেতারাও ছিলো। যার ফলে তাকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শোকজও করা হয়েছে।”