স্টাফ রিপোর্টার:
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার লক্ষীপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৬ সদস্যকে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয় তিওরবিলা ক্যাম্প পুলিশ। এসময় তাদের নিকট থেকে দেশী-বিদেশী ৪টি পিস্তল, গুলি, ধারাল অস্ত্র, পুলিশের জ্যাকেট, ওয়াকিটকি, ইয়াবা ট্যাবলেট ও ডাকাতির অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ সোমবার (০৫ মে) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, কুষ্টিয়ার ইবি থানাধীন কন্দরপুদিনা গ্রামের বাবর আলীর ছেলে রুবেল রানা (২৯), একই থানাধীন মধুপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার মৃত বদর উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৪০) ও মহাসিন শেখের ছেলে মারুফ শেখ (২০), ঝিনাইহের হরিণাকুণ্ডু থানাধীন আহাদনগর গ্রামের কাসেম আলীর ছেলে আজিজুর মণ্ড (৩৬), একই থানাধীন জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে শিলন মোল্লা (২১) ও কাদিখালী রামচন্দ্রপুর গ্রামের কলম আলীর ছেলে মিঠু (৩০)।
আলমডাঙ্গা থানা সুত্রে জানা যায়, সোমবার (৫ মে) মধ্যরাত সাড়ে ৩টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার লক্ষীপুর বাজার হতে খাসকররা গ্রামে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসযোগে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদ পায় স্থানীয় তিওরবিলা ক্যাম্প পুলিশ। পরে ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাশ, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রেজাউল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে মাক্রোবাসটি ঘিরে ফেলে। মাইক্রোবাসের ভিতরে থাকা সস্ত্রাসীরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় প্রদান করে।
পুলিশ জানায়, ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়ার পর তাদের আচরণ সন্দেহজনক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মাক্রোবাসে থাকা ডাকাতদল পুলিশের উপর আক্রমনাত্মক আচরণকালে জীবনবাজিঁ রেখে আসামীদের গ্রেফতার করেন পুলিশ সদস্যরা। পরে মাইক্রোবাসে থাকা ডাকাতদলের দেহ তল্লাশী করে একটি করে পিস্তল, রিভলবার, ওয়ান শুটারগান, দুই রাউন্ড গুলি, দুটি চাইনিজ কুড়াল, একটি তালা কাটার যন্ত্র, পাচটি মাস্টার চাবি, একটি পিস্তলের প্রসেস, একটি পুলিশের জ্যাকেট, ওয়াকিটকি সাদৃশ্য মোবাইল ফোন, পঞ্চাশ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ছয়টি মোবাইল এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শ (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জীবনবাজি রেখে অস্ত্রসহ ৬ ডাকাতকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদক আইনে মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।