রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) নির্বাচন স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।বুধবার (৩০ এপ্রিল) রুয়ার অ্যাডহোক কমিটির আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মোহাঃ ফরিদ উদ্দীন খান একটি জরুরি নোটিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নোটিশে জানানো হয়, আজ (১ মে) জরুরি এক সভায় আমরা কয়েকজন সদস্য মিলে আলোচনা করেছি। বাস্তব কিছু সমস্যার কারণে আগামী ৯ মে রুয়া’র পুনর্মিলনী এবং ১০ মে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। এই কারণে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। পরিস্থিতি অনুকূল হলে পরবর্তীতে নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে। আশা করি সবাই বিষয়টি বুঝবেন।
নির্বাচন স্থগিতের খবরে ক্যাম্পাসে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্তকে হতাশাজনক এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থি বলে উল্লেখ করছেন। তাদের মতে, রুয়া নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত না হলে রাকসু নির্বাচন নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে। তাই দ্রুত নতুন তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান তারা। অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী অ্যালামনাসগণ এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মন্তব্য করছে।
নির্বাচন স্থগিতের তাৎক্ষনিক প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় অ্যালামনাইদের এক অংশ এবং বর্তমান শিক্ষার্থীরা।এসময় রাবি শাখার ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, রুয়ার নির্বাচন স্থগিত করার বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের সাবেক শিক্ষার্থী, বর্তমান শিক্ষার্থী সবাই মনক্ষুণ্ণ হয়েছে। যে প্রশাসন রুয়া বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা রাখেনা সেই প্রশাসন রাকসু কিভাবে বাস্তবায়ন করবে? আমরা এজন্য ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছি এবং ১০ তারিখের রুয়া নির্বাচন যেন ১০ তারিখেই হয় সেটা নিশ্চিত করে আমরা এখান থেকে যাব।
রুয়া নির্বাচনের সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী এমাজ উদ্দিন মন্ডল বলেন, আমাদের আজকের এ কর্মসূচি হলো ১০ তারিখ রুয়া নির্বাচন স্থগিত করার প্রতিবাদে। এক কুচক্রী মহল যারা রুয়া নির্বাচনকে বন্ধ করার জন্য পায়তারা করছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের বাসার সামনে ককটেল ফাটিয়ে রুয়া নির্বাচনকে বন্ধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। ১০ তারিখের নির্বাচন ১০ তারিখেই দিতে হবে, এ জন্য আমরা এখানে অবস্থান করছি এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা না আসবে ততক্ষণ এ অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে মুখ না খুললেও, বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, প্রশাসনিক পর্যায়ে আলোচনা শেষে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।