শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

পাহাড়ের মাটিতে তরমুজ চাষে কৃষাণীর চমক !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:৫১:২৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২২ মার্চ ২০১৭
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাঙামাটির পাহাড়ে তরমুজ চাষ করে চমক লাগিয়ে দিয়েছে এক কৃষাণী। আকারে বেশ বড় এসব তরমুজ দেখতে টসটসে, স্বাদেও মিষ্টি। উপযুক্ত আবহাওয়া এবং সঠিক পদ্ধতির চাষাবাদের কারণে এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এসব তরমুজ উৎপাদন হয়েছে রাঙামাটির জেলার সুভলং ইউনিয়নের দক্ষিণ বরুনাছড়ি পাহাড়ে।

রাঙামাটির সুবলং ইউনিয়নের বরুনাছড়ি এলাকার তরমুজ চাষী মনোয়ারা বেগম জানান, স্বামী সলিমুল্লাকে সাথে নিয়ে চলতি মৌসুমে দক্ষিণ বরুনাছড়ি পাহাড়ে ২ একর জমি বর্গা নিয়ে তরমুজের চাষ শুরু করেন তিনি। পাহাড়ের পাদদেশে মাত্র ৩০০ মাদার (গর্ত) মধ্যে তরমুজ চাষ করা হয়। প্রতিটি মাদায় ৩ থেকে ৪টি করে তরমুজ স্থান পায়। সময়মত পানি সারসহ ও সঠিক পরিচর্যার কারণে ফলনও হয়েছে বাম্পার। শুধু এ মৌসুমে লক্ষাধিক টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তিনি।

রাঙামাটি কৃষি বিভাগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রাঙামাটি জেলায় প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি তরমুজের আবাদ হয়েছে লংগদু উপজেলায়। এছাড়া রাঙামাটি সদর, বরকল, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, নানিয়ারচর ও বিলাইছড়ি উপজেলাগুলোতে ব্যাপকহারে তরমুজের চাষাবাদ হয়েছে। এসব উপজেলার উৎপাদিত তরমুজ এখন রাঙামাটির বিভিন্ন বাজারে সয়লাব।

রাঙামাটির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে বড় ও মাঝারি আকারের প্রতি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা এবং ছোট আকারের তরমুজ ৮০-১০০ টাকায়। চাহিদাও অনেক। তাই দাম যাই হোক লুভে নিচ্ছে ক্রেতারা। দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রমণী কান্তি চাকমা জানান, উপযুক্ত আবহাওয়া, জমির ঊবরতা এবং উন্নত চাষাবাদের কারণে রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপকহারে তরমুজের চাষ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো। এতে চাষিদের বিপুল অর্থনৈতিক আয়ের পাশাপাশি বিশেষ মুনাফা লাভের সম্ভবনা রয়েছে। এবার মৌসুমেও সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে টোফেল, গ্লোরি ও চ্যাম্পিয়ন জাতের তরমুজ।

এদিকে পাহাড়ের এসব উৎপাদিত তরমুজ স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে বাজারজাত হচ্ছে জেলার বাইরে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে। তরমুজ চাষে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন বহু কৃষি পরিবার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

পাহাড়ের মাটিতে তরমুজ চাষে কৃষাণীর চমক !

আপডেট সময় : ০৬:৫১:২৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২২ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

রাঙামাটির পাহাড়ে তরমুজ চাষ করে চমক লাগিয়ে দিয়েছে এক কৃষাণী। আকারে বেশ বড় এসব তরমুজ দেখতে টসটসে, স্বাদেও মিষ্টি। উপযুক্ত আবহাওয়া এবং সঠিক পদ্ধতির চাষাবাদের কারণে এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এসব তরমুজ উৎপাদন হয়েছে রাঙামাটির জেলার সুভলং ইউনিয়নের দক্ষিণ বরুনাছড়ি পাহাড়ে।

রাঙামাটির সুবলং ইউনিয়নের বরুনাছড়ি এলাকার তরমুজ চাষী মনোয়ারা বেগম জানান, স্বামী সলিমুল্লাকে সাথে নিয়ে চলতি মৌসুমে দক্ষিণ বরুনাছড়ি পাহাড়ে ২ একর জমি বর্গা নিয়ে তরমুজের চাষ শুরু করেন তিনি। পাহাড়ের পাদদেশে মাত্র ৩০০ মাদার (গর্ত) মধ্যে তরমুজ চাষ করা হয়। প্রতিটি মাদায় ৩ থেকে ৪টি করে তরমুজ স্থান পায়। সময়মত পানি সারসহ ও সঠিক পরিচর্যার কারণে ফলনও হয়েছে বাম্পার। শুধু এ মৌসুমে লক্ষাধিক টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তিনি।

রাঙামাটি কৃষি বিভাগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রাঙামাটি জেলায় প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি তরমুজের আবাদ হয়েছে লংগদু উপজেলায়। এছাড়া রাঙামাটি সদর, বরকল, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, নানিয়ারচর ও বিলাইছড়ি উপজেলাগুলোতে ব্যাপকহারে তরমুজের চাষাবাদ হয়েছে। এসব উপজেলার উৎপাদিত তরমুজ এখন রাঙামাটির বিভিন্ন বাজারে সয়লাব।

রাঙামাটির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে বড় ও মাঝারি আকারের প্রতি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা এবং ছোট আকারের তরমুজ ৮০-১০০ টাকায়। চাহিদাও অনেক। তাই দাম যাই হোক লুভে নিচ্ছে ক্রেতারা। দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রমণী কান্তি চাকমা জানান, উপযুক্ত আবহাওয়া, জমির ঊবরতা এবং উন্নত চাষাবাদের কারণে রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপকহারে তরমুজের চাষ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো। এতে চাষিদের বিপুল অর্থনৈতিক আয়ের পাশাপাশি বিশেষ মুনাফা লাভের সম্ভবনা রয়েছে। এবার মৌসুমেও সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে টোফেল, গ্লোরি ও চ্যাম্পিয়ন জাতের তরমুজ।

এদিকে পাহাড়ের এসব উৎপাদিত তরমুজ স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে বাজারজাত হচ্ছে জেলার বাইরে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে। তরমুজ চাষে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন বহু কৃষি পরিবার।