শিরোনাম :
Logo ‎জবিতে ফিন্যান্স বিভাগের উদ্যোগে মানসিক স্বাস্থ্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo খুবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রমিন, সাধারণ সম্পাদক মিরাজ Logo পঞ্চগড়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন। Logo বিজয়ীর উদ্যোগে হুইল চেয়ার পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রতিবন্ধী Logo জাবি সাংবাদিককে হুমকি ও চাপ প্রয়োগের ঘটনায় ইবিসাসের নিন্দা ও প্রতিবাদ Logo চুয়াডাঙ্গায় টিকটকারের জুয়ার প্রচারণার বিরুদ্ধে সাদিকুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলন Logo যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই Logo যুদ্ধ হলে ভারতের রাজ্য পাঞ্জাবই দাঁড়াবে পাকিস্তানের পাশে, মোদিকে কঠোর হুঁশিয়ারি Logo কাশ্মীর নিয়ে ‘আগুনে ঘি’ ঢালল বিবিসি, উত্তপ্ত বার্তা ভারতের Logo প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত

‎জবিতে ফিন্যান্স বিভাগের উদ্যোগে মানসিক স্বাস্থ্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:৫২:৪২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭০৫ বার পড়া হয়েছে

জবি প্রতিনিধি: মোঃনিয়াজ শফিক

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা ব্যক্তি জীবনের নানা ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উদ্বেগ, হতাশা, আত্মবিশ্বাসের অভাব ও মানসিক চাপের মতো সমস্যার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের উদ্যোগে এক মানসিক স্বাস্থ্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‎আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ৫০৪ নম্বর কক্ষে সকাল ১০টায় কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটির ‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফিন্যান্স ক্লাব সহযোগিতায় সম্পূর্ণ হয়েছে।

অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বায়েজিদ আলী। উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি বলেন “এই ওয়ার্কশপের অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত। সাজেদা ফাউন্ডেশনের আজকের আলোচনা থেকে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে বলে আশা করি।

‎এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মোঃ ওমর ফারুক, এমবিএ প্রফেশনাল প্রধান অধ্যাপক ড. নাফিসা রওনক, ছাত্র উপদেষ্টা শেখ আলমগীর হোসেন, সহকারী অধ্যাপক মুক্তা রানী সরকার, সহযোগী অধ্যাপক আয়েশা আক্তার এবং সাজেদা ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

‎স্বাগত বক্তব্যে ফিন্যান্স বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা শেখ আলমগীর হোসেন বলেন “আমরা সবাই কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় জর্জরিত। আমাদের যে মানসিক সমস্যা আছে তা আমরা উপলব্ধি করতে পারি না। বিশ্বে যত মানুষ আত্মহত্যা করে তাদের অনেকেই আত্মহত্যা করে শুধুমাত্র তার কথা অন্য মানুষদের সাথে শেয়ার করতে না পারার কারণে। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যক্তিগত কথা শিক্ষক বা সহপাঠীর কাছে শেয়ার করতে ভয় পায়। সেই কথা চিন্তা করে মূলত সাজেদা ফাউন্ডেশন কে এই কর্মশালায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। যাতে শিক্ষার্থীরা সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং থেরাপিস্টদের থেকে তাদের অভিজ্ঞতা শুনে উপকৃত হতে পারে।

‎ তিনি আরো বলেন, আপনাদেরকে স্বজনের একটা নাম্বার দেওয়া হয়েছে। আপনাদের প্রাইভেসি যথাযথভাবে বজায় থাকবে। দয়া করে নিজেদের সমস্যা মনের ভেতর জমিয়ে রাখবেন না। যেকোনো মানসিক সমস্যা হলে এখানে ফোন দিবেন। তাছাড়াও বিভাগের যে কোনো সমস্যায় ছাত্র উপদেষ্টা সাথে যোগাযোগ করার কথা ব্যক্ত করেন তিনি।

‎‎কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা, উদ্বেগ ও হতাশা মোকাবিলার কৌশল শেখানো এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রচলিত নেতিবাচক ধারণা দূর করা। বক্তারা বলেন, “শিক্ষার্থীদের মাঝে মানসিক চাপ ও উদ্বেগের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।” ইন্টারেকটিভ সেশনে শিক্ষার্থীরা সরাসরি প্রশ্ন করার সুযোগ পান এবং বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণ করেন।

‎কর্মশালার আলোচিত বিষয়গুলোঃ

‎মানসিক স্বাস্থ্য ও এর গুরুত্ব:

‎বক্তারা মানসিক স্বাস্থ্যকে দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁরা বলেন, “শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক চাপ ও হতাশা যদি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তা জীবনের নানা ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।”

‎মানসিক চাপ মোকাবিলা কৌশল:

‎শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম, মেডিটেশন এবং সময় ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। বক্তারা জানান, নিয়মিত শরীরচর্চা ও সঠিক সময় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মানসিক চাপ অনেকটাই কমানো সম্ভব।

‎আত্মবিশ্বাস এবং ইতিবাচক চিন্তার বিকাশ:

‎আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কৌশল এবং ইতিবাচক চিন্তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়। বক্তারা বলেন, “ইতিবাচক মনোভাব মানুষকে কঠিন পরিস্থিতিতে স্থিতিশীল থাকতে সাহায্য করে।”

‎কর্মশালার শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।

২০২১-২০২২ সেশনের শিক্ষার্থী সৈকত মাহমুদ বলেন” আমি গত কয়েক দিন যাবত অনেক মানসিক চাপে ছিলাম। সেশনের অংশগ্রহন করার পর আমার মানসিক চাপ কিছুটা লাঘব হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এধরনের সেশন নিদিষ্ট সময় পর পর আয়োজন করা উচিত বলে আমি মনে করি”

‎অংশগ্রহণকারী মোহন ইকবাল বাপ্পি বলেন, “আজকের কর্মশালা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ও মানসিক চাপ মোকাবিলার উপায় সম্পর্কে মূল্যবান শিক্ষা দিয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও কর্মশালা আয়োজনের প্রত্যাশা করি।”

‎আরেক শিক্ষার্থী আশরাফুল বলেন, “আমরা অনেক সময় নিজেদের সমস্যা প্রকাশ করতে পারি না। আজকের কর্মশালা আমাদের শিখিয়েছে, আবেগ ও অনুভূতি প্রকাশ করাও মানসিক সুস্থতার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।”

‎এই কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান অর্জন করেননি, বরং নিজেদের মানসিক চাপ কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় নানা কৌশলও শিখেছেন। অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও কর্মশালা আয়োজন করা হবে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‎জবিতে ফিন্যান্স বিভাগের উদ্যোগে মানসিক স্বাস্থ্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত

‎জবিতে ফিন্যান্স বিভাগের উদ্যোগে মানসিক স্বাস্থ্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৬:৫২:৪২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

জবি প্রতিনিধি: মোঃনিয়াজ শফিক

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা ব্যক্তি জীবনের নানা ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উদ্বেগ, হতাশা, আত্মবিশ্বাসের অভাব ও মানসিক চাপের মতো সমস্যার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের উদ্যোগে এক মানসিক স্বাস্থ্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‎আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ৫০৪ নম্বর কক্ষে সকাল ১০টায় কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটির ‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফিন্যান্স ক্লাব সহযোগিতায় সম্পূর্ণ হয়েছে।

অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বায়েজিদ আলী। উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি বলেন “এই ওয়ার্কশপের অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত। সাজেদা ফাউন্ডেশনের আজকের আলোচনা থেকে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে বলে আশা করি।

‎এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মোঃ ওমর ফারুক, এমবিএ প্রফেশনাল প্রধান অধ্যাপক ড. নাফিসা রওনক, ছাত্র উপদেষ্টা শেখ আলমগীর হোসেন, সহকারী অধ্যাপক মুক্তা রানী সরকার, সহযোগী অধ্যাপক আয়েশা আক্তার এবং সাজেদা ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

‎স্বাগত বক্তব্যে ফিন্যান্স বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা শেখ আলমগীর হোসেন বলেন “আমরা সবাই কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় জর্জরিত। আমাদের যে মানসিক সমস্যা আছে তা আমরা উপলব্ধি করতে পারি না। বিশ্বে যত মানুষ আত্মহত্যা করে তাদের অনেকেই আত্মহত্যা করে শুধুমাত্র তার কথা অন্য মানুষদের সাথে শেয়ার করতে না পারার কারণে। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যক্তিগত কথা শিক্ষক বা সহপাঠীর কাছে শেয়ার করতে ভয় পায়। সেই কথা চিন্তা করে মূলত সাজেদা ফাউন্ডেশন কে এই কর্মশালায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। যাতে শিক্ষার্থীরা সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং থেরাপিস্টদের থেকে তাদের অভিজ্ঞতা শুনে উপকৃত হতে পারে।

‎ তিনি আরো বলেন, আপনাদেরকে স্বজনের একটা নাম্বার দেওয়া হয়েছে। আপনাদের প্রাইভেসি যথাযথভাবে বজায় থাকবে। দয়া করে নিজেদের সমস্যা মনের ভেতর জমিয়ে রাখবেন না। যেকোনো মানসিক সমস্যা হলে এখানে ফোন দিবেন। তাছাড়াও বিভাগের যে কোনো সমস্যায় ছাত্র উপদেষ্টা সাথে যোগাযোগ করার কথা ব্যক্ত করেন তিনি।

‎‎কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা, উদ্বেগ ও হতাশা মোকাবিলার কৌশল শেখানো এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রচলিত নেতিবাচক ধারণা দূর করা। বক্তারা বলেন, “শিক্ষার্থীদের মাঝে মানসিক চাপ ও উদ্বেগের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।” ইন্টারেকটিভ সেশনে শিক্ষার্থীরা সরাসরি প্রশ্ন করার সুযোগ পান এবং বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণ করেন।

‎কর্মশালার আলোচিত বিষয়গুলোঃ

‎মানসিক স্বাস্থ্য ও এর গুরুত্ব:

‎বক্তারা মানসিক স্বাস্থ্যকে দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁরা বলেন, “শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক চাপ ও হতাশা যদি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তা জীবনের নানা ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।”

‎মানসিক চাপ মোকাবিলা কৌশল:

‎শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম, মেডিটেশন এবং সময় ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। বক্তারা জানান, নিয়মিত শরীরচর্চা ও সঠিক সময় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মানসিক চাপ অনেকটাই কমানো সম্ভব।

‎আত্মবিশ্বাস এবং ইতিবাচক চিন্তার বিকাশ:

‎আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কৌশল এবং ইতিবাচক চিন্তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়। বক্তারা বলেন, “ইতিবাচক মনোভাব মানুষকে কঠিন পরিস্থিতিতে স্থিতিশীল থাকতে সাহায্য করে।”

‎কর্মশালার শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।

২০২১-২০২২ সেশনের শিক্ষার্থী সৈকত মাহমুদ বলেন” আমি গত কয়েক দিন যাবত অনেক মানসিক চাপে ছিলাম। সেশনের অংশগ্রহন করার পর আমার মানসিক চাপ কিছুটা লাঘব হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এধরনের সেশন নিদিষ্ট সময় পর পর আয়োজন করা উচিত বলে আমি মনে করি”

‎অংশগ্রহণকারী মোহন ইকবাল বাপ্পি বলেন, “আজকের কর্মশালা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ও মানসিক চাপ মোকাবিলার উপায় সম্পর্কে মূল্যবান শিক্ষা দিয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও কর্মশালা আয়োজনের প্রত্যাশা করি।”

‎আরেক শিক্ষার্থী আশরাফুল বলেন, “আমরা অনেক সময় নিজেদের সমস্যা প্রকাশ করতে পারি না। আজকের কর্মশালা আমাদের শিখিয়েছে, আবেগ ও অনুভূতি প্রকাশ করাও মানসিক সুস্থতার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।”

‎এই কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান অর্জন করেননি, বরং নিজেদের মানসিক চাপ কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় নানা কৌশলও শিখেছেন। অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও কর্মশালা আয়োজন করা হবে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।