শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

বেরোবির দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণীতভাবে পরীক্ষায় নম্বর কম অভিযোগ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) পরিসংখ্যান বিভাগের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণীতভাবে পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়া ও শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবা (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.শওকাত আলীর কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের (১২ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র সিংহ ও অধ্যাপক ড.মো.রশীদুল ইসলাম।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র সিংহ স্যারের STAT 4201 নং কোর্সে শ্রেনিকক্ষে পাঠ্য বিষয়ের সাথে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কোনো সাদৃশ্য ছিলোনা। মিড সেমিস্টার পরীক্ষায় ৬৬ জনের প্রায় সকলে ২৫ নম্বরের মধ্যে গড়ে মাত্র ৫ গড়ে পেয়েছি। সেই সাথে তিনি কন্টিনিউয়াস ফাইনাল পরীক্ষা হওয়ার পর (১৯ মার্চ, ২৫) প্রকাশ করেছে কিন্তু সেখানে তারিখ দিয়েছেন পরীক্ষার আগের (২৫ ফেব্রুয়ারী, ২৪) যা পুরোপুরি কল্পিত অসৎ উদ্দেশ্যের দিকে ইঙ্গীত করে । এছাড়াও তিনি থিওরি ও ল্যাবের প্রশ্নপত্র এমনভাবে করেছে যে আমরা কোন শিক্ষার্থীই লিখতে পারেনি। অথচ উনি উনার প্রিয় শিক্ষার্থী ২/৩ জন শিক্ষার্থীকে। অস্বাভাবিকভাবে নম্বর বেশী দিয়েছেন। আমরা আশঙ্কা করছি আমাদের ৪.২ সেমিস্টার এর ফলাফল অকৃতকার্য ও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

শিক্ষার্থীরা আরো উল্লেখ করেন,অতুল চন্দ্র সিংহ স্যার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘দেশ সংস্কার সংক্রান্ত পোস্ট ও লেখালেখিকে ও বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাছাড়াও তিনি আমাদের সাথে সফরে অংশ নিতে না পারায় পুরো ব্যাচের প্রতি ক্ষুব্ধ।

শিক্ষার্থীরা পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল ইসলামের ব্যাপারে অভিযোগ তোলেন জুলাই আন্দোলনের পর এই শিক্ষক বিভাগীয় প্রধান হওয়ার জন্য আমাদের আন্দোলনে নামতে বলেন, যা আমরা অস্বীকার করি। জুলাই আন্দোলনে যারা অংশগ্রহণ করেছিল ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও অন্যান্য আয়োজনে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা থাকলেই চিহ্নিত করে হুমকি, মানসিক নির্যাতন ও পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন। ড. মো. রশীদুল ইসলাম স্যার দীর্ঘ সময় ধরে কন্টিনিউয়াস মার্ক প্রকাশ না করে বারবার হুমকি ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করেন। অতীতে তার বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যকলাপ ও শিক্ষার্থীদের অপব্যবহার করার রয়েছে।

অভিযোগকারী এক শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, আমরা সেইসব শিক্ষকদের সাথে দেখা করলে তারা বিভিন্ন কথা শোনায়। তাই আমরা বাধ্য হয়ে সকল শিক্ষার্থী মিলে অভিযোগ দিয়েছি। যদি না মানা হয় তাহলে আমরা অনশন করব।

সহকারী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র সিংহ বলেন, তারা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এসব করেছে।আমি তাদের খাতায় যা পেয়েছি তা অনুযায়ী নাম্বার দিয়েছি।ওদের পড়ার ধরণ ছিলো আলাদা আমার পড়ানোর ধরণ ছিলো আলাদা।কোন অভিযোগই সত্য না।

অধ্যপক রশীদুল ইসলাম বলেন, শেষ সেমিস্টারটা শর্ট হওয়ায় কন্টিনিউয়াস মার্ক টা দিতে পারিনি । জুলাই আন্দোলনে যারা আংশগ্রহন করেছিল পরবতীতে বিভাগের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল তাদের উপর চাপ প্রয়োগ বিষয়টি তিনি ভিত্তিহীন বলেন।তিনি আরো বলেন তিনি শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, আমি আগে সবাইকে ডাকবো।কেন তারা অভিযোগ করলো।তারপর তাদের কাছে শুনে কমিটি করে দিব। সত্যতা মিললে যথাযথ ব্যবস্থা নিব।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

বেরোবির দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণীতভাবে পরীক্ষায় নম্বর কম অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:১০:৫০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) পরিসংখ্যান বিভাগের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণীতভাবে পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়া ও শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবা (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.শওকাত আলীর কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের (১২ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র সিংহ ও অধ্যাপক ড.মো.রশীদুল ইসলাম।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র সিংহ স্যারের STAT 4201 নং কোর্সে শ্রেনিকক্ষে পাঠ্য বিষয়ের সাথে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কোনো সাদৃশ্য ছিলোনা। মিড সেমিস্টার পরীক্ষায় ৬৬ জনের প্রায় সকলে ২৫ নম্বরের মধ্যে গড়ে মাত্র ৫ গড়ে পেয়েছি। সেই সাথে তিনি কন্টিনিউয়াস ফাইনাল পরীক্ষা হওয়ার পর (১৯ মার্চ, ২৫) প্রকাশ করেছে কিন্তু সেখানে তারিখ দিয়েছেন পরীক্ষার আগের (২৫ ফেব্রুয়ারী, ২৪) যা পুরোপুরি কল্পিত অসৎ উদ্দেশ্যের দিকে ইঙ্গীত করে । এছাড়াও তিনি থিওরি ও ল্যাবের প্রশ্নপত্র এমনভাবে করেছে যে আমরা কোন শিক্ষার্থীই লিখতে পারেনি। অথচ উনি উনার প্রিয় শিক্ষার্থী ২/৩ জন শিক্ষার্থীকে। অস্বাভাবিকভাবে নম্বর বেশী দিয়েছেন। আমরা আশঙ্কা করছি আমাদের ৪.২ সেমিস্টার এর ফলাফল অকৃতকার্য ও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

শিক্ষার্থীরা আরো উল্লেখ করেন,অতুল চন্দ্র সিংহ স্যার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘দেশ সংস্কার সংক্রান্ত পোস্ট ও লেখালেখিকে ও বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাছাড়াও তিনি আমাদের সাথে সফরে অংশ নিতে না পারায় পুরো ব্যাচের প্রতি ক্ষুব্ধ।

শিক্ষার্থীরা পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল ইসলামের ব্যাপারে অভিযোগ তোলেন জুলাই আন্দোলনের পর এই শিক্ষক বিভাগীয় প্রধান হওয়ার জন্য আমাদের আন্দোলনে নামতে বলেন, যা আমরা অস্বীকার করি। জুলাই আন্দোলনে যারা অংশগ্রহণ করেছিল ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও অন্যান্য আয়োজনে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা থাকলেই চিহ্নিত করে হুমকি, মানসিক নির্যাতন ও পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন। ড. মো. রশীদুল ইসলাম স্যার দীর্ঘ সময় ধরে কন্টিনিউয়াস মার্ক প্রকাশ না করে বারবার হুমকি ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করেন। অতীতে তার বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যকলাপ ও শিক্ষার্থীদের অপব্যবহার করার রয়েছে।

অভিযোগকারী এক শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, আমরা সেইসব শিক্ষকদের সাথে দেখা করলে তারা বিভিন্ন কথা শোনায়। তাই আমরা বাধ্য হয়ে সকল শিক্ষার্থী মিলে অভিযোগ দিয়েছি। যদি না মানা হয় তাহলে আমরা অনশন করব।

সহকারী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র সিংহ বলেন, তারা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এসব করেছে।আমি তাদের খাতায় যা পেয়েছি তা অনুযায়ী নাম্বার দিয়েছি।ওদের পড়ার ধরণ ছিলো আলাদা আমার পড়ানোর ধরণ ছিলো আলাদা।কোন অভিযোগই সত্য না।

অধ্যপক রশীদুল ইসলাম বলেন, শেষ সেমিস্টারটা শর্ট হওয়ায় কন্টিনিউয়াস মার্ক টা দিতে পারিনি । জুলাই আন্দোলনে যারা আংশগ্রহন করেছিল পরবতীতে বিভাগের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল তাদের উপর চাপ প্রয়োগ বিষয়টি তিনি ভিত্তিহীন বলেন।তিনি আরো বলেন তিনি শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, আমি আগে সবাইকে ডাকবো।কেন তারা অভিযোগ করলো।তারপর তাদের কাছে শুনে কমিটি করে দিব। সত্যতা মিললে যথাযথ ব্যবস্থা নিব।