গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহের সময়, ঠান্ডা পানি সাময়িক স্বস্তি প্রদান করে ঠিকই তবে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, গরম পানি গ্রীষ্মের সুস্থতার একটি ঢাল হতে পারে। হজমে সহায়তা করা থেকে শুরু করে বিষাক্ত পদার্থ দূর করা পর্যন্ত, এই সহজ অভ্যাস তীব্র গরমেও অনেকগুলো সুবিধা দেয়। গরমকালেও কুসুম গরম পানি পান করা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। নিচে এর কিছু মূল কারণ তুলে ধরা হলো:
গরমেও গরম পানি পান করবেন যে কারণে:
১. হজমশক্তি বাড়ায়
গরম পানি হজমে সাহায্য করে। এটি পাকস্থলীতে জমে থাকা চর্বি ও খাবারের বর্জ্য সহজে ভেঙে দেয়। ফলে গ্যাস, অম্বল ও বদহজমের সমস্যা কমে।
২. দেহ ডিটক্স করে
গরম পানি ঘাম বাড়ায়, যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ (toxins) বের করে দেয়। গরমকালে দেহের ভেতরের গরম ভাব কমাতেও সাহায্য করে এই প্রক্রিয়া।
৩. মেটাবলিজম (Metabolism) বাড়ায়
গরম পানি শরীরের বিপাক হার (metabolism) বাড়িয়ে দেয়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৪. ঠান্ডা-কাশি ও গলা ব্যথা উপশমে কার্যকর
গরমকালেও অনেক সময় গলায় খুসখুসে কাশি বা অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। গরম পানি এই ধরনের অস্বস্তি থেকে রেহাই দেয়।
৫. রক্ত চলাচল উন্নত করে
গরম পানি রক্তনালিকে প্রশস্ত করে, ফলে রক্ত চলাচল ভালো হয় এবং হার্টের ওপর চাপ কম পড়ে।
৬. ত্বক উজ্জ্বল করে
নিয়মিত গরম পানি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়, ফলে ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হয়, ব্রণও কমে।
৭. ঠান্ডা পানি হজমে সমস্যা করতে পারে
গরমকালে ঠান্ডা পানি পান করলে হজমপ্রক্রিয়া ধীর হয়ে যেতে পারে। হঠাৎ ঠান্ডা পানি দেহের তাপমাত্রা হঠাৎ কমিয়ে দেয়, যা শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কীভাবে গরম পানি পান করবেন:
খুব গরম নয়, কুসুম গরম পানি খান।
সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম পানি খাওয়া সবচেয়ে উপকারী।
দিনে ২–৩ বার পান করা যেতে পারে, খাবারের আগে বা পরে।
সতর্কতা:
যাদের গ্যাস্ট্রিক বা অতিরিক্ত এসিডিটির সমস্যা আছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গরম পানি পান করবেন।