ঈদের নির্দিষ্ট তারিখ জানাল মিশরের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

মিসরের জাতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান ও ভূ-ভৌতিক গবেষণা ইনস্টিটিউট (এনআরআইএজি) ঘোষণা করেছে, জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক হিসাব অনুযায়ী এ বছর ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে ৩০ মার্চ-ই। এই তারিখটি বিভিন্ন আরব দেশের পূর্বাভাসের সঙ্গেও মিল রেখেছে, যা রমজানের সমাপ্তি এবং ইসলামিক ক্যালেন্ডারের শাওয়াল মাসের সূচনার ইঙ্গিত দেয়।

মিসর সরকার নিশ্চিত করেছে যে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে তিন দিন—৩০ মার্চ রোববার থেকে ১ এপ্রিল মঙ্গলবার পর্যন্ত। এই ছুটি সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতের কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এর আওতায় থাকবে সরকারি দপ্তর, ব্যাংক, স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়।

এনআরআইএজি জানিয়েছে, শাওয়াল মাসের চাঁদ ২৯ মার্চ কায়রো সময় দুপুর ১টায় উদিত হবে এবং ওই দিন সূর্যাস্তের পর প্রায় ১১ মিনিট দৃশ্যমান থাকবে। এর ভিত্তিতে ৩০ মার্চকে ঈদের প্রথম দিন হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মিসরের শীর্ষ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ ‘দার আল-ইফতা’ প্রদান করবে, যারা ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে।

মিসরে ঈদুল ফিতর অত্যন্ত আনন্দঘন উৎসব হিসেবে পালিত হয়। দিনটি শুরু হয় বিশেষ ঈদের নামাজের মাধ্যমে, যেখানে পরিবার-পরিজন ও প্রতিবেশীরা নতুন পোশাক পরে একত্রিত হন। নামাজ শেষে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের বাড়িতে যাওয়া হয়, শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয় এবং ছোটদের মধ্যে ঈদিয়া নামে নগদ উপহার বিতরণ করা হয়।

ঈদের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন হলো ‘কাহক’— এটি এক ধরনের মাখনযুক্ত বিস্কুট, যা খেজুর বা বাদামের পুর ভরে তৈরি করা হয় এবং এর ওপরে চিনি ছিটিয়ে পরিবেশন করা হয়।

ঈদুল ফিতর শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি এক আনন্দঘন সামাজিক বন্ধনের উৎসব, যা পুরো মিশর জুড়ে বিপুল উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদের নির্দিষ্ট তারিখ জানাল মিশরের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

আপডেট সময় : ০২:৩০:১৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
মিসরের জাতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান ও ভূ-ভৌতিক গবেষণা ইনস্টিটিউট (এনআরআইএজি) ঘোষণা করেছে, জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক হিসাব অনুযায়ী এ বছর ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে ৩০ মার্চ-ই। এই তারিখটি বিভিন্ন আরব দেশের পূর্বাভাসের সঙ্গেও মিল রেখেছে, যা রমজানের সমাপ্তি এবং ইসলামিক ক্যালেন্ডারের শাওয়াল মাসের সূচনার ইঙ্গিত দেয়।

মিসর সরকার নিশ্চিত করেছে যে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে তিন দিন—৩০ মার্চ রোববার থেকে ১ এপ্রিল মঙ্গলবার পর্যন্ত। এই ছুটি সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতের কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এর আওতায় থাকবে সরকারি দপ্তর, ব্যাংক, স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়।

এনআরআইএজি জানিয়েছে, শাওয়াল মাসের চাঁদ ২৯ মার্চ কায়রো সময় দুপুর ১টায় উদিত হবে এবং ওই দিন সূর্যাস্তের পর প্রায় ১১ মিনিট দৃশ্যমান থাকবে। এর ভিত্তিতে ৩০ মার্চকে ঈদের প্রথম দিন হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মিসরের শীর্ষ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ ‘দার আল-ইফতা’ প্রদান করবে, যারা ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে।

মিসরে ঈদুল ফিতর অত্যন্ত আনন্দঘন উৎসব হিসেবে পালিত হয়। দিনটি শুরু হয় বিশেষ ঈদের নামাজের মাধ্যমে, যেখানে পরিবার-পরিজন ও প্রতিবেশীরা নতুন পোশাক পরে একত্রিত হন। নামাজ শেষে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের বাড়িতে যাওয়া হয়, শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয় এবং ছোটদের মধ্যে ঈদিয়া নামে নগদ উপহার বিতরণ করা হয়।

ঈদের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন হলো ‘কাহক’— এটি এক ধরনের মাখনযুক্ত বিস্কুট, যা খেজুর বা বাদামের পুর ভরে তৈরি করা হয় এবং এর ওপরে চিনি ছিটিয়ে পরিবেশন করা হয়।

ঈদুল ফিতর শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি এক আনন্দঘন সামাজিক বন্ধনের উৎসব, যা পুরো মিশর জুড়ে বিপুল উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়।