শিরোনাম :
Logo খুবি উপাচার্যের এবং বিএনসিসি খুলনা ফ্লোটিলা কমান্ডারের সৌজন্য সাক্ষাৎ  Logo গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে প্রস্তুত ইবি Logo ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের, দাবি দিল্লির Logo জবিতে আবাসন ভাতা ও জকসু নির্বাচনের দাবিতে গণভোট কর্মসূচি Logo রাবি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ৫ দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সোচ্চারের Logo ইউজিসির বাজেট বৈষম্যের অভিযোগ:জবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo কচুয়ায় একই পরিবারের ৮জন প্রতিবন্ধীর মানবেতর জীবন, চান সহযোগিতা Logo কয়রায় জলবায়ু সহিষ্ণু বসতবাড়ির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত Logo চুয়াডাঙ্গায় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, তাপমাত্রা ৪০ ছুই ছুই Logo মুন্সিগঞ্জের ট্রিপল হত্যা মামলা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড; ৫ জনের যাবজ্জীবন

কচুয়ায় একই পরিবারের ৮জন প্রতিবন্ধীর মানবেতর জীবন, চান সহযোগিতা

 
চাদপুরের কচুয়া উপজেলার মেঘদাইর গ্রামের নতুনপাড়া এক বাড়িতে ৮জন বাক ও দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধীর সন্ধান মিলেছে। খেয়ে না খেয়ে চলছে তাদের মানবেতর জীবন। বংশগত কারণে তারা এই প্রতিবন্ধীতায় পড়েছেন অনেকে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কেউ বংশগত ভাবে তাদের পরিবারে জন্ম নেওয়াদের বেশির ভাগ বাক প্রতিবন্ধী। ঐ পরিবারের বিভিন্ন বয়সের ৮ জন বাক ও দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী রয়েছেন। তারা কেউ কথা বলতে পারেন না। দিন মজুরের কাজ করলেও কথা শুনতে না পারায় এবং কাজের ধরণ বুঝতে না পারায় সচরাচর তাদের কাজও মিলছে না। একারণে প্রতিবন্ধী ভাতার সীমিত টাকার উপর নির্ভর করে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর ভাবে জীবন যাপন করছে ঐ পরিবারটি। চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে মরছে এসব প্রতিবন্ধীরা। পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মানবতার কাজে নিয়োজিতদের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। তাছাড়া সর্বপ্রথম ঐ পরিবারের ৪ জন বাক প্রতিবন্ধী থাকলেও এখন ঐ পরিবারে বাক প্রতিবন্ধী সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। এক বাড়িতে একই পরিবারের এতো সংখ্যক প্রতিবন্ধী নিয়ে পরিবার পড়েছে বিপাকে।

উপজেলার মেঘদাইর গ্রামের নতুন পাড়া বাড়িতে বসবাস করেন আবুল হোসেন (৭০)। তিনি জন্মগত ভাবে বাক প্রতিবন্ধী। তার ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৫) ও মেয়ে সাহিদা আক্তার(৫২) বাক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং নাতনি তানহা আক্তার (৩) বাক প্রতিবন্ধী। অপর দিকে আবুল হোসেনের মেয়ে কুহিনুর বেগমও (২৮) বাক প্রতিবন্ধী ও তার স্বামী মহিন উদ্দিন (৩৫)শারীরিক প্রতিবন্ধী,মেয়ে নিপা আক্তার (১১) ও ছেলে সিফাত হোসেন (৬) শারীরিক প্রতিবন্ধী। কেউ আর্থিক সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৮৬৮১২০৩৬৬ ও ০১৬৩১৯৮১০০৯ নাম্বারে যোগাযোগ করার আহ্বান করা গেল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য লাকী আক্তার বলেন, মেঘদাইর গ্রামে এক বাড়িতে ৮ জন বাক প্রতিবন্ধী রয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, একই পরিবারের ৮জনকে ভাতাভোগীর আওতায় নেয়া হয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের চলাচলের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হুইল চেয়ার দেয়া হবে এবং ইউএনও’র সাথে কথা বলে তাদের পূর্নবাসন ও আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ছবি: কচুয়ার মেঘদাইর গ্রামে একই পরিবারের প্রতিবন্ধী সদস্যরা।

ট্যাগস :

খুবি উপাচার্যের এবং বিএনসিসি খুলনা ফ্লোটিলা কমান্ডারের সৌজন্য সাক্ষাৎ 

কচুয়ায় একই পরিবারের ৮জন প্রতিবন্ধীর মানবেতর জীবন, চান সহযোগিতা

আপডেট সময় : ০৬:৫০:১৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 
চাদপুরের কচুয়া উপজেলার মেঘদাইর গ্রামের নতুনপাড়া এক বাড়িতে ৮জন বাক ও দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধীর সন্ধান মিলেছে। খেয়ে না খেয়ে চলছে তাদের মানবেতর জীবন। বংশগত কারণে তারা এই প্রতিবন্ধীতায় পড়েছেন অনেকে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কেউ বংশগত ভাবে তাদের পরিবারে জন্ম নেওয়াদের বেশির ভাগ বাক প্রতিবন্ধী। ঐ পরিবারের বিভিন্ন বয়সের ৮ জন বাক ও দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী রয়েছেন। তারা কেউ কথা বলতে পারেন না। দিন মজুরের কাজ করলেও কথা শুনতে না পারায় এবং কাজের ধরণ বুঝতে না পারায় সচরাচর তাদের কাজও মিলছে না। একারণে প্রতিবন্ধী ভাতার সীমিত টাকার উপর নির্ভর করে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর ভাবে জীবন যাপন করছে ঐ পরিবারটি। চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে মরছে এসব প্রতিবন্ধীরা। পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মানবতার কাজে নিয়োজিতদের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। তাছাড়া সর্বপ্রথম ঐ পরিবারের ৪ জন বাক প্রতিবন্ধী থাকলেও এখন ঐ পরিবারে বাক প্রতিবন্ধী সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। এক বাড়িতে একই পরিবারের এতো সংখ্যক প্রতিবন্ধী নিয়ে পরিবার পড়েছে বিপাকে।

উপজেলার মেঘদাইর গ্রামের নতুন পাড়া বাড়িতে বসবাস করেন আবুল হোসেন (৭০)। তিনি জন্মগত ভাবে বাক প্রতিবন্ধী। তার ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৫) ও মেয়ে সাহিদা আক্তার(৫২) বাক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং নাতনি তানহা আক্তার (৩) বাক প্রতিবন্ধী। অপর দিকে আবুল হোসেনের মেয়ে কুহিনুর বেগমও (২৮) বাক প্রতিবন্ধী ও তার স্বামী মহিন উদ্দিন (৩৫)শারীরিক প্রতিবন্ধী,মেয়ে নিপা আক্তার (১১) ও ছেলে সিফাত হোসেন (৬) শারীরিক প্রতিবন্ধী। কেউ আর্থিক সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৮৬৮১২০৩৬৬ ও ০১৬৩১৯৮১০০৯ নাম্বারে যোগাযোগ করার আহ্বান করা গেল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য লাকী আক্তার বলেন, মেঘদাইর গ্রামে এক বাড়িতে ৮ জন বাক প্রতিবন্ধী রয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, একই পরিবারের ৮জনকে ভাতাভোগীর আওতায় নেয়া হয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের চলাচলের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হুইল চেয়ার দেয়া হবে এবং ইউএনও’র সাথে কথা বলে তাদের পূর্নবাসন ও আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ছবি: কচুয়ার মেঘদাইর গ্রামে একই পরিবারের প্রতিবন্ধী সদস্যরা।