গাজা সীমান্তের কাছে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণ করছে ইসরায়েল

গাজার সীমান্তের কাছে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটি। এটি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত নেভাতিম শহরে নির্মাণ করা হবে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত বিমানবন্দরটি হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার এলাকা থেকে খুব বেশি দূরে নয়। এটি গাজা সীমান্ত থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার (৪০ মাইল) দূরে অবস্থিত এবং সড়কপথে যেতে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগবে।

নতুন এই বিমানবন্দরটি নেগেভ মরুভূমির ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটির পাশে নির্মিত হবে, যেখানে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান রাখা হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইরান এই ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল। বিমানবন্দরটি তৈরিতে প্রায় সাত বছর সময় লাগবে এবং এটি বছরে প্রায় দেড় কোটি যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষম হবে।

ইসরায়েলের দাবি, দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটাতেই বিমানবন্দরটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি ঘিরে ৫০ হাজার বেদুইন জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে সামরিক ঘাঁটির নিকটবর্তী হওয়ায় ইসরায়েলের সামরিক ও নিরাপত্তা বিভাগ এই প্রকল্পের বিরোধিতা করেছে। তবুও নেতানিয়াহুর প্রশাসন এটি বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে এবং পার্লামেন্টে অনুমোদনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজা সীমান্তের কাছে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণ করছে ইসরায়েল

আপডেট সময় : ০৩:৪৪:২৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
গাজার সীমান্তের কাছে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটি। এটি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত নেভাতিম শহরে নির্মাণ করা হবে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত বিমানবন্দরটি হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার এলাকা থেকে খুব বেশি দূরে নয়। এটি গাজা সীমান্ত থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার (৪০ মাইল) দূরে অবস্থিত এবং সড়কপথে যেতে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগবে।

নতুন এই বিমানবন্দরটি নেগেভ মরুভূমির ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটির পাশে নির্মিত হবে, যেখানে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান রাখা হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইরান এই ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল। বিমানবন্দরটি তৈরিতে প্রায় সাত বছর সময় লাগবে এবং এটি বছরে প্রায় দেড় কোটি যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষম হবে।

ইসরায়েলের দাবি, দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটাতেই বিমানবন্দরটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি ঘিরে ৫০ হাজার বেদুইন জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে সামরিক ঘাঁটির নিকটবর্তী হওয়ায় ইসরায়েলের সামরিক ও নিরাপত্তা বিভাগ এই প্রকল্পের বিরোধিতা করেছে। তবুও নেতানিয়াহুর প্রশাসন এটি বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে এবং পার্লামেন্টে অনুমোদনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে।