শিরোনাম :
Logo অবরুদ্ধ গাজায় একদিনেই নিহত ১০৬ ফিলিস্তিনি Logo ভারতের কাছে পাইলট আটকের প্রমাণ চাইলো পাকিস্তান Logo নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বললেন আসিফ মাহমুদ Logo খুবি উপাচার্যের এবং বিএনসিসি খুলনা ফ্লোটিলা কমান্ডারের সৌজন্য সাক্ষাৎ  Logo গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে প্রস্তুত ইবি Logo ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের, দাবি দিল্লির Logo জবিতে আবাসন ভাতা ও জকসু নির্বাচনের দাবিতে গণভোট কর্মসূচি Logo রাবি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ৫ দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সোচ্চারের Logo ইউজিসির বাজেট বৈষম্যের অভিযোগ:জবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo কচুয়ায় একই পরিবারের ৮জন প্রতিবন্ধীর মানবেতর জীবন, চান সহযোগিতা

ইসবগুল যেভাবে খেলে বেশি উপকার মেলে

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:১৬:০১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • ৭৩১ বার পড়া হয়েছে
ইসবগুল একধরনের ডায়েটারি ফাইবার, যার কিছু পানিতে দ্রবীভূত হয়, কিছু হয় না। অন্ত্রের ভেতরে থাকাকালে ইসবগুলের ভুসি প্রচুর পানি শোষণ করে। কোনো কিছুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিষক্রিয়া তৈরি করে না। দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে এটা বাইরে থেকেই পানি শোষণ করে নেবে, অতএব কার্যকারিতাও কমে যাবে। তবে ইসবগুল খাওয়ার পদ্ধতির ভিন্নতার ওপর ভিত্তি করে উপকারিতা নির্ভর করে, চলুন এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে ইসবগুল

১-২ চামচ ইসবগুল ২৪০ মিলিলিটার পানিতে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেতে হবে। ইসবগুল পায়খানায় পানির পরিমাণ বৃদ্ধি করে পায়খানা নরম করে এবং সহজে বের হতে সাহায্য করে। ইসবগুল কতটুকু খেতে হবে, তা বয়স, ওজন, শারীরিক অন্যান্য অসুস্থতার ওপর নির্ভর করে।

ডায়রিয়া চিকিৎসায় ইসবগুল

খাওয়ার পর ২ চামচ ইসবগুল ৩ চামচ দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। প্রতিদিন এই নিয়মে ইসবগুল সেবনে পায়খানা নরম হওয়ার বদলে শক্ত হবে। দই এ ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করবে। ইসবগুল যে কারণে ডায়রিয়া হয়েছে, যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস খাদ্যনালির যে ক্ষতি সাধন করে, তা সারিয়ে তোলে।

দীর্ঘদিন হজমের সমস্যায় ইসবগুলের ব্যবহার

প্রতিদিন ২ চামচ ইসবগুল ২৪০ মিলিলিটার পানিতে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেতে হবে। ইসবগুল পাকস্থলী পরিষ্কার করে। খাদ্যনালি রাখে টক্সিনমুক্ত, যা ক্ষতিকর পদার্থ সহজে শরীর থেকে বের করে দেয়।

অর্শ্বরোগ নিরাময়ে ইসবগুল

২ চামচ ইসবগুল কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেতে হবে। এটি পায়খানায় পানির পরিমাণ বাড়ায় ও নরম করে, ফলে ব্যথা লাগে না। পায়খানা নরমের ফলে বৃহদন্ত্রে কম চাপ পড়ে এবং কম রক্ত যায়।

বুক জ্বালাপোড়া বা গ্যাসের সমস্যায় ইসবগুল

২ চামচ ইসবগুল ১/২-১ চামচ ঠান্ডা দুধে মিশিয়ে খাবার পর সেবন করলে অ্যাসিডের সমস্যা দূর হয়। দুধ ও ইসবগুল অ্যাসিড প্রশমিত করে। ইসবগুল পাকস্থলী ও খাদ্যনালির ভেতরে আলাদা একটি পর্দা তৈরি করে, যা অ্যাসিড থেকে খাদ্যনালীর পর্দাকে রক্ষা করে বুক জ্বালাপোড়া কমায়। পাকস্থলী থেকে সঠিক পরিমাণ অ্যাসিড নিঃসৃত করে।

ইসবগুল সেবনে সতর্কতা

অতিরিক্ত ইসবগুল সেবনের ফলে ক্ষুধামান্দ্য, ডায়রিয়া হতে পারে। ইসবগুল বিভিন্ন ওষুধের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। তাই ওষুধ সেবনের ২ ঘণ্টা আগে অথবা ২ ঘণ্টা পর সেবন করতে হবে। ইসবগুল দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে পানি শোষণ করে এটি ফুলে যায়। ফলে কার্যকারিতা কমে যায় এবং গলায় আটকে মারাত্মক বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। ইসবগুল খাওয়ার পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে এর কার্যকারিতা নির্ভর করে। তাই সঠিক নিয়ম-পদ্ধতি জেনে সে অনুযায়ী ইসবগুল সেবনে সচেতন হতে হবে।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ফার্মাকোলজি অ্যান্ড থেরাপিউটিকস বিভাগ, জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, বাজিতপুর, কিশোরগঞ্জ।

ট্যাগস :

অবরুদ্ধ গাজায় একদিনেই নিহত ১০৬ ফিলিস্তিনি

ইসবগুল যেভাবে খেলে বেশি উপকার মেলে

আপডেট সময় : ০৮:১৬:০১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
ইসবগুল একধরনের ডায়েটারি ফাইবার, যার কিছু পানিতে দ্রবীভূত হয়, কিছু হয় না। অন্ত্রের ভেতরে থাকাকালে ইসবগুলের ভুসি প্রচুর পানি শোষণ করে। কোনো কিছুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিষক্রিয়া তৈরি করে না। দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে এটা বাইরে থেকেই পানি শোষণ করে নেবে, অতএব কার্যকারিতাও কমে যাবে। তবে ইসবগুল খাওয়ার পদ্ধতির ভিন্নতার ওপর ভিত্তি করে উপকারিতা নির্ভর করে, চলুন এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে ইসবগুল

১-২ চামচ ইসবগুল ২৪০ মিলিলিটার পানিতে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেতে হবে। ইসবগুল পায়খানায় পানির পরিমাণ বৃদ্ধি করে পায়খানা নরম করে এবং সহজে বের হতে সাহায্য করে। ইসবগুল কতটুকু খেতে হবে, তা বয়স, ওজন, শারীরিক অন্যান্য অসুস্থতার ওপর নির্ভর করে।

ডায়রিয়া চিকিৎসায় ইসবগুল

খাওয়ার পর ২ চামচ ইসবগুল ৩ চামচ দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। প্রতিদিন এই নিয়মে ইসবগুল সেবনে পায়খানা নরম হওয়ার বদলে শক্ত হবে। দই এ ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করবে। ইসবগুল যে কারণে ডায়রিয়া হয়েছে, যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস খাদ্যনালির যে ক্ষতি সাধন করে, তা সারিয়ে তোলে।

দীর্ঘদিন হজমের সমস্যায় ইসবগুলের ব্যবহার

প্রতিদিন ২ চামচ ইসবগুল ২৪০ মিলিলিটার পানিতে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেতে হবে। ইসবগুল পাকস্থলী পরিষ্কার করে। খাদ্যনালি রাখে টক্সিনমুক্ত, যা ক্ষতিকর পদার্থ সহজে শরীর থেকে বের করে দেয়।

অর্শ্বরোগ নিরাময়ে ইসবগুল

২ চামচ ইসবগুল কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেতে হবে। এটি পায়খানায় পানির পরিমাণ বাড়ায় ও নরম করে, ফলে ব্যথা লাগে না। পায়খানা নরমের ফলে বৃহদন্ত্রে কম চাপ পড়ে এবং কম রক্ত যায়।

বুক জ্বালাপোড়া বা গ্যাসের সমস্যায় ইসবগুল

২ চামচ ইসবগুল ১/২-১ চামচ ঠান্ডা দুধে মিশিয়ে খাবার পর সেবন করলে অ্যাসিডের সমস্যা দূর হয়। দুধ ও ইসবগুল অ্যাসিড প্রশমিত করে। ইসবগুল পাকস্থলী ও খাদ্যনালির ভেতরে আলাদা একটি পর্দা তৈরি করে, যা অ্যাসিড থেকে খাদ্যনালীর পর্দাকে রক্ষা করে বুক জ্বালাপোড়া কমায়। পাকস্থলী থেকে সঠিক পরিমাণ অ্যাসিড নিঃসৃত করে।

ইসবগুল সেবনে সতর্কতা

অতিরিক্ত ইসবগুল সেবনের ফলে ক্ষুধামান্দ্য, ডায়রিয়া হতে পারে। ইসবগুল বিভিন্ন ওষুধের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। তাই ওষুধ সেবনের ২ ঘণ্টা আগে অথবা ২ ঘণ্টা পর সেবন করতে হবে। ইসবগুল দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে পানি শোষণ করে এটি ফুলে যায়। ফলে কার্যকারিতা কমে যায় এবং গলায় আটকে মারাত্মক বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। ইসবগুল খাওয়ার পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে এর কার্যকারিতা নির্ভর করে। তাই সঠিক নিয়ম-পদ্ধতি জেনে সে অনুযায়ী ইসবগুল সেবনে সচেতন হতে হবে।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ফার্মাকোলজি অ্যান্ড থেরাপিউটিকস বিভাগ, জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, বাজিতপুর, কিশোরগঞ্জ।