শিরোনাম :
Logo জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি Logo ইবিতে খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম

ভিটামিন সি’র ঘাটতি মেটাবে কাঁচা মরিচ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৩০:০৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২০ মার্চ ২০১৭
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

কাঁচা মরিচ আমাদের অতি পরিচিত একটি খাদ্য উপাদান। সধারণত খাদ্যের স্বাদ বাড়াতেই এটি ব্যবহার করা হয়। কাঁচা মরিচে ‘ক্যাপসিসিন’ নামক একটি বিশেষ উপাদান রয়েছে। এই ক্যাপসিসিনের কারণেই মরিচ ঝাল হয়। আর এ খাদ্য উপাদানটিতে ভিটামিন এ, বি-৬ ও ‘সি’ সহ বেশ কিছু উপকারি উপাদান আছে।

এতে আছে ভিটামিন আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। এতে থাকে বিটা ক্যারোটিন ও আলফা ক্যারোটিন, বিটা ক্রিপ্টোক্সানথিন ও লুটেইন জিয়াক্সানথিন ইত্যাদি উপাদান। এই উপাদান গুলো মুখে লালা আনে ফলে খাবার খেতে মজা লাগে। এছাড়াও এগুলো ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

এক নজরে কাঁচা মরিচের উপকারিতা :

১। চর্বি জাতীয় খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ খেলে মোটা হওয়ার কোনা ভয় থাকে না। কারণ কাঁচা মরিচ খাদ্যের সঙ্গে থাকা চর্বিকে ধ্বংস করে । ফলে স্লিম থাকা যায়। কাঁচা মরিচের ক্যাপসিসিন খাদ্যে থাকা উচ্চমাত্রার চর্বি শুষে নিয়ে শরীরে মেদ রোধ করতে সাহায্য করে।

২। গ্রীষ্মকালে মসলা জাতীয় খাবারের সাথে কাঁচা মরিচ খেলে তা ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায় ফলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেমকে কর্মক্ষম রাখে।

৩। কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন এ যা হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা মাড়ি ও চুলের সুরক্ষা করে। এছাড়া ত্বক ও চুল ভালো রাখতে কাঁচা মরিচে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দারুণ উপকারি। তাছাড়াও রক্তনালী আর তরুনাস্থি গঠনে সাহায্য করে।

৪। প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমে যায়। হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা কমে যায়। কাঁচা মরিচ মেটাবলিসম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

৫। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যাও কমে যায়। প্রতিদিন খাবার তালিকায় অন্তত একটি করে কাঁচা মরিচ রাখলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না।

৬। কাঁচা মরিচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে। এটি যে কোনো ধরনের কাঁটা কিংবা ঘা শুকানোর জন্য খুবই উপকারী।

ঝালের কারণে অনেকেই কাঁচা মরিচ খেতে সাহস পান না। প্রশ্ন জাগে যে, কাঁচা মরিচ কাঁচা খাওয়া ভালো, নাকি রান্নার সঙ্গে খাওয়া ভালো? এর উত্তর হল, কাঁচা মরিচ কাচা খাওয়া ভালো। ৩৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রার বেশি তাপমাত্রায় কাঁচামরিচ সেদ্ধ করলে কিংবা ভেজে খেলে, তাতে বিদ্যমান ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। তাই এর আসল উপকারিতা পেতে প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ কাঁচা খেতে অভ্যাস করুন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি

ভিটামিন সি’র ঘাটতি মেটাবে কাঁচা মরিচ !

আপডেট সময় : ০৫:৩০:০৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২০ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

কাঁচা মরিচ আমাদের অতি পরিচিত একটি খাদ্য উপাদান। সধারণত খাদ্যের স্বাদ বাড়াতেই এটি ব্যবহার করা হয়। কাঁচা মরিচে ‘ক্যাপসিসিন’ নামক একটি বিশেষ উপাদান রয়েছে। এই ক্যাপসিসিনের কারণেই মরিচ ঝাল হয়। আর এ খাদ্য উপাদানটিতে ভিটামিন এ, বি-৬ ও ‘সি’ সহ বেশ কিছু উপকারি উপাদান আছে।

এতে আছে ভিটামিন আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। এতে থাকে বিটা ক্যারোটিন ও আলফা ক্যারোটিন, বিটা ক্রিপ্টোক্সানথিন ও লুটেইন জিয়াক্সানথিন ইত্যাদি উপাদান। এই উপাদান গুলো মুখে লালা আনে ফলে খাবার খেতে মজা লাগে। এছাড়াও এগুলো ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

এক নজরে কাঁচা মরিচের উপকারিতা :

১। চর্বি জাতীয় খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ খেলে মোটা হওয়ার কোনা ভয় থাকে না। কারণ কাঁচা মরিচ খাদ্যের সঙ্গে থাকা চর্বিকে ধ্বংস করে । ফলে স্লিম থাকা যায়। কাঁচা মরিচের ক্যাপসিসিন খাদ্যে থাকা উচ্চমাত্রার চর্বি শুষে নিয়ে শরীরে মেদ রোধ করতে সাহায্য করে।

২। গ্রীষ্মকালে মসলা জাতীয় খাবারের সাথে কাঁচা মরিচ খেলে তা ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায় ফলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেমকে কর্মক্ষম রাখে।

৩। কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন এ যা হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা মাড়ি ও চুলের সুরক্ষা করে। এছাড়া ত্বক ও চুল ভালো রাখতে কাঁচা মরিচে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দারুণ উপকারি। তাছাড়াও রক্তনালী আর তরুনাস্থি গঠনে সাহায্য করে।

৪। প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমে যায়। হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা কমে যায়। কাঁচা মরিচ মেটাবলিসম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

৫। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যাও কমে যায়। প্রতিদিন খাবার তালিকায় অন্তত একটি করে কাঁচা মরিচ রাখলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না।

৬। কাঁচা মরিচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে। এটি যে কোনো ধরনের কাঁটা কিংবা ঘা শুকানোর জন্য খুবই উপকারী।

ঝালের কারণে অনেকেই কাঁচা মরিচ খেতে সাহস পান না। প্রশ্ন জাগে যে, কাঁচা মরিচ কাঁচা খাওয়া ভালো, নাকি রান্নার সঙ্গে খাওয়া ভালো? এর উত্তর হল, কাঁচা মরিচ কাচা খাওয়া ভালো। ৩৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রার বেশি তাপমাত্রায় কাঁচামরিচ সেদ্ধ করলে কিংবা ভেজে খেলে, তাতে বিদ্যমান ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। তাই এর আসল উপকারিতা পেতে প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ কাঁচা খেতে অভ্যাস করুন।