বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট সাইফুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:২৩:৩০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • ৭২৬ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট সাইফুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে উক্ত হলের শিক্ষার্থীরা।

১২ মার্চ (বুধবার) নিজেদের আয়োজিত গণ-ইফতার কর্মসূচি শেষে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট সাইফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণ এবং অযৌক্তিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ তম ব্যাচ(২০১৮-২০১৯) সেশনের শিক্ষার্থীদের সিট বাতিলের প্রতিবাদে হল প্রসাশন আয়োজিত ইফতার বয়কটের করেছে উক্ত সেশনের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

৪ দফা দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে। দাবি ৪টি হলো -শিক্ষার্থীদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ ও অপমানজনক শব্দ চয়নের মাধ্যমে প্রভোস্ট স্যার দায়িত্ব পালনে অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উনার স্থলাভিষিক্ত কোন উপযুক্ত ও যোগ্য ব্যাক্তিকে এই দায়িত্ব অর্পণ করবেন এবং এরূপ আচরণের জন্য প্রভোস্ট স্যারকে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিতে হবে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবন বিষয়ক প্রস্তুতির জন্য রেজাল্ট পরবর্তী ৩ মাস সময় দিতে হবে,বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় যেকোন আয়োজনে (বিজয় দিবস ,স্বাধীনতা দিবস, ইফতার) আবাসিক এবং অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীদের মানসম্মত খাবার সরবারহ নিশ্চিত করতে হবে। শুধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্যে আয়োজন বৈষম্যমূলক আচরণ এবং সকল হলের ভাড়া সর্বোচ্চ ৫০ টাকার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে এবং হলের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা (বিনামূল্যে ওয়াইফাই, ও ভাত-ডাল, উন্নতমানের খাবার এবং নিরাপত্তা) নিশ্চিত করতে হবে।

আন্দোলনের স্থানে উপস্থিত হয়ে উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তোমরা না চাইলে হল প্রভোস্ট থাকবে না। তোমাদের সবগুলো দাবি আমরা কনসিডার করবো। তোমরাও রেজাল্ট অবধি হলে থাকতে পারবে।

দাবি বাস্তবায়নে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের থেকে আগামী রবিবার অবধি সময় চেয়েছেন।

 

উল্লেখ্য, এই প্রেক্ষাপটে প্রক্টরিয়াল বডি এবং ছাত্রউপদেষ্টার সমন্বয়ে প্রশাসনের একটি টিম ১১টা ৩০ এবং পরে ৩ টা ৩০ মিনিটে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসতে চাইলেও ইফতারের আগে আলোচনায় বসতে রাজি হয় নি শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও এ নিয়ে ছুটিতে থাকায় বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট সাইফুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই। একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায় নি তাকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট সাইফুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

আপডেট সময় : ০৮:২৩:৩০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট সাইফুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে উক্ত হলের শিক্ষার্থীরা।

১২ মার্চ (বুধবার) নিজেদের আয়োজিত গণ-ইফতার কর্মসূচি শেষে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট সাইফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণ এবং অযৌক্তিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ তম ব্যাচ(২০১৮-২০১৯) সেশনের শিক্ষার্থীদের সিট বাতিলের প্রতিবাদে হল প্রসাশন আয়োজিত ইফতার বয়কটের করেছে উক্ত সেশনের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

৪ দফা দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে। দাবি ৪টি হলো -শিক্ষার্থীদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ ও অপমানজনক শব্দ চয়নের মাধ্যমে প্রভোস্ট স্যার দায়িত্ব পালনে অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উনার স্থলাভিষিক্ত কোন উপযুক্ত ও যোগ্য ব্যাক্তিকে এই দায়িত্ব অর্পণ করবেন এবং এরূপ আচরণের জন্য প্রভোস্ট স্যারকে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিতে হবে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবন বিষয়ক প্রস্তুতির জন্য রেজাল্ট পরবর্তী ৩ মাস সময় দিতে হবে,বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় যেকোন আয়োজনে (বিজয় দিবস ,স্বাধীনতা দিবস, ইফতার) আবাসিক এবং অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীদের মানসম্মত খাবার সরবারহ নিশ্চিত করতে হবে। শুধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্যে আয়োজন বৈষম্যমূলক আচরণ এবং সকল হলের ভাড়া সর্বোচ্চ ৫০ টাকার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে এবং হলের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা (বিনামূল্যে ওয়াইফাই, ও ভাত-ডাল, উন্নতমানের খাবার এবং নিরাপত্তা) নিশ্চিত করতে হবে।

আন্দোলনের স্থানে উপস্থিত হয়ে উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তোমরা না চাইলে হল প্রভোস্ট থাকবে না। তোমাদের সবগুলো দাবি আমরা কনসিডার করবো। তোমরাও রেজাল্ট অবধি হলে থাকতে পারবে।

দাবি বাস্তবায়নে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের থেকে আগামী রবিবার অবধি সময় চেয়েছেন।

 

উল্লেখ্য, এই প্রেক্ষাপটে প্রক্টরিয়াল বডি এবং ছাত্রউপদেষ্টার সমন্বয়ে প্রশাসনের একটি টিম ১১টা ৩০ এবং পরে ৩ টা ৩০ মিনিটে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসতে চাইলেও ইফতারের আগে আলোচনায় বসতে রাজি হয় নি শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও এ নিয়ে ছুটিতে থাকায় বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট সাইফুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই। একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায় নি তাকে।