শিরোনাম :
Logo প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে চাঁবিপ্রবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে বিক্ষোভ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনে ১১ সদস্যের কমিটি Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ Logo উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ Logo ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে যোগ দিতে বাসের ব্যবস্থা করল যবিপ্রবি প্রশাসন Logo আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা Logo সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজমিস্ত্রির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভা

পা ফাটার কারণ ও প্রতিকার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৮ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে
শীতকালের একটি খুব সাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো পা ফাটা বা পায়ের গোড়ালি ফাটা। শীতকালে কম বেশি সবারই পা ফাটতে দেখা যায়। পা ফেটে গেলে পায়ে ব্যথা হয় ও হাঁটতে কষ্ট হয়। অনেকের পা দিয়ে রক্তও আসতে পারে। শীতকালে পা ফাটার বেশ কিছু কারণ আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো- কারণ : শীতকালে আমাদের আবহাওয়া শুষ্ক থাকে, বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে। এ জন্য আমাদের চামড়া থেকে পানির পরিমাণ কমে যায়। আমাদের সারা শরীরে চামড়া শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। সবচেয়ে বেশি ফেটে যায় পায়ের তালু। সাধারণ কিছু পরিচর্চা করলে এ ধরনের ফাটা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

এ ছাড়াও পা ফাটার অন্য অনেক প্যাথলজিক্যাল কারণ আছে। যেমন : জেনেটিক; বংশগতভাবে অনেকের পা ফেটে যায়। আবার কিছু চর্মরোগেও পা ফেটে যায়। যেমন সোরেয়াসি, এটি অটো-ইমিডেন ডিজিজ। এই রোগ শীতকালে বেড়ে যায়। হাতের তালু, পায়ের তালু ফেটে যায়, এমনকি রক্ত বের হয়, মোটা চামড়া উঠে যায়।

এ ছাড়া আরও অন্যান্য চর্মরোগেও পা ফেটে যেতে পারে। যেমন এক্সিমা, পিটাইরিয়াসিস রুবরা পিলারিস (PRP), প্লামো-প্লান্টার কেরাটো ডার্মা ইত্যাদি। আবার পানি কম খেলে পানি শূন্যতার জন্যও পা ফেটে যেতে পারে। অনেকক্ষণ যারা দাঁড়িয়ে থাকে তাদেরও পা ফাটার আশঙ্কা অন্যদের চেয়ে বেশি। এ ছাড়া খাবারে ভিটামিন এ ই ও সি’র অভাবে পা ফেটে যেতে পারে। নরম জুতা/স্যান্ডেল না পরলেও পা ফাটতে পারে।

প্রতিরোধের উপায় : পা ফাটা প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ভিটামিন এ ই ও সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। নরম জুতা ও মোজা পরিধান করতে হবে। লম্বা সময় দাঁড়িয়ে কাজ করা যাবে না। আরও ভালো ফলাফল পেতে হলে এক লিটার হালকা গরম পানির মধ্যে এক চামচ খাবার লবণ দিয়ে, তার মধ্যে পা ডুবিয়ে রেখে, মুছে ভ্যাসলিন, গ্লিসারিন, মশ্চারাজিং লোশন লাগালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। পা ফাটা যদি বেশি হয় সে ক্ষেত্রে আমরা কিছু কেরাটোলাইটিং এজেন্ট যেমন : স্যালিসাইটিক অ্যাসিড, ল্যাকটিক অ্যাসিড এসব ব্যবহার করতে পারি। তবে পা ফাটা বন্ধের জন্য বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে কাটা বা ছাঁটা ঠিক না। সাধারণ যত্নে যদি আপনার পা ফাটা ভালো না হয় তাহলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

লেখক : আফরোজা বেগম ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, বসুন্ধরা আ/এ, ঢাকা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

পা ফাটার কারণ ও প্রতিকার

আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৮ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শীতকালের একটি খুব সাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো পা ফাটা বা পায়ের গোড়ালি ফাটা। শীতকালে কম বেশি সবারই পা ফাটতে দেখা যায়। পা ফেটে গেলে পায়ে ব্যথা হয় ও হাঁটতে কষ্ট হয়। অনেকের পা দিয়ে রক্তও আসতে পারে। শীতকালে পা ফাটার বেশ কিছু কারণ আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো- কারণ : শীতকালে আমাদের আবহাওয়া শুষ্ক থাকে, বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে। এ জন্য আমাদের চামড়া থেকে পানির পরিমাণ কমে যায়। আমাদের সারা শরীরে চামড়া শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। সবচেয়ে বেশি ফেটে যায় পায়ের তালু। সাধারণ কিছু পরিচর্চা করলে এ ধরনের ফাটা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

এ ছাড়াও পা ফাটার অন্য অনেক প্যাথলজিক্যাল কারণ আছে। যেমন : জেনেটিক; বংশগতভাবে অনেকের পা ফেটে যায়। আবার কিছু চর্মরোগেও পা ফেটে যায়। যেমন সোরেয়াসি, এটি অটো-ইমিডেন ডিজিজ। এই রোগ শীতকালে বেড়ে যায়। হাতের তালু, পায়ের তালু ফেটে যায়, এমনকি রক্ত বের হয়, মোটা চামড়া উঠে যায়।

এ ছাড়া আরও অন্যান্য চর্মরোগেও পা ফেটে যেতে পারে। যেমন এক্সিমা, পিটাইরিয়াসিস রুবরা পিলারিস (PRP), প্লামো-প্লান্টার কেরাটো ডার্মা ইত্যাদি। আবার পানি কম খেলে পানি শূন্যতার জন্যও পা ফেটে যেতে পারে। অনেকক্ষণ যারা দাঁড়িয়ে থাকে তাদেরও পা ফাটার আশঙ্কা অন্যদের চেয়ে বেশি। এ ছাড়া খাবারে ভিটামিন এ ই ও সি’র অভাবে পা ফেটে যেতে পারে। নরম জুতা/স্যান্ডেল না পরলেও পা ফাটতে পারে।

প্রতিরোধের উপায় : পা ফাটা প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ভিটামিন এ ই ও সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। নরম জুতা ও মোজা পরিধান করতে হবে। লম্বা সময় দাঁড়িয়ে কাজ করা যাবে না। আরও ভালো ফলাফল পেতে হলে এক লিটার হালকা গরম পানির মধ্যে এক চামচ খাবার লবণ দিয়ে, তার মধ্যে পা ডুবিয়ে রেখে, মুছে ভ্যাসলিন, গ্লিসারিন, মশ্চারাজিং লোশন লাগালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। পা ফাটা যদি বেশি হয় সে ক্ষেত্রে আমরা কিছু কেরাটোলাইটিং এজেন্ট যেমন : স্যালিসাইটিক অ্যাসিড, ল্যাকটিক অ্যাসিড এসব ব্যবহার করতে পারি। তবে পা ফাটা বন্ধের জন্য বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে কাটা বা ছাঁটা ঠিক না। সাধারণ যত্নে যদি আপনার পা ফাটা ভালো না হয় তাহলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

লেখক : আফরোজা বেগম ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, বসুন্ধরা আ/এ, ঢাকা।