শিরোনাম :
Logo প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে চাঁবিপ্রবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে বিক্ষোভ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনে ১১ সদস্যের কমিটি Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ Logo উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ Logo ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে যোগ দিতে বাসের ব্যবস্থা করল যবিপ্রবি প্রশাসন Logo আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা Logo সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজমিস্ত্রির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভা

শুঁটকি মাছ ভালো না খারাপ, কী বলছেন পুষ্টিবিদরা?

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৫:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে
অনেকেই আজকাল নানা রকম তরকারি পদের মধ্যে শুঁটকি মাছ রাখেন। কেউ কেউ পছন্দের জন্য শুঁটকি মাছকে বিশেষ গুরুত্বও দিয়ে থাকেন। শীত কিংবা গ্রীষ্মসহ বছরের বারো মাসই বিভিন্ন সবজি দিয়ে শুঁটকি মাছ খেয়ে থাকেন অনেকেই।

শুঁটকি মাছ খাওয়ার রয়েছে বিভিন্ন উপায়। যেমন, ভর্তা বা ভুনা. মৌসুমি সবজির সঙ্গে ভাজি বা ঝোল, আবার কেউ শুধু শুঁটকি ফ্রাই করে খেয়ে থাকেন। সাধারণত তাজা মাছের উপকারিতার কথা সবারই কম-বেশি জানা। কিন্তু শুঁটকি মাছে কোনো ধরনের উপকারিতা আছে কিনা কিংবা এই মাছ খাওয়া ক্ষতিকর কিনা, এ নিয়ে অনেকের মনেই রয়েছে প্রশ্ন। শুঁটকি মাছের গুরুত্ব নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারের কৃষি তথ্য সার্ভিস। শুঁটকি মাছের উপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে এবার জেনে নেয়া যাক।

শুঁটকি মাছের গুরুত্ব: দীর্ঘ পুরনো কাল থেকে শুঁটকি তৈরির প্রচলন ও এ মাছের বিশেষ জনপ্রিয়তা রয়েছে বাংলায়। পুষ্টিগুণ হিসেবেও যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে শুঁটকি মাছের। প্রতি ১০০ গ্রাম শুঁটকি মাছ থেকে প্রায় ৬২ গ্রাম প্রোটিন, ১৩ গ্রাম উপকারী ফ্যাট ও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, ডি পাওয়া যায়। আবার তাজা মাছের তুলনায় শুঁটকি মাছে খনিজ লবণের পরিমাণও অনেক বেশি পাওয়া যায়।

শুঁটকি তৈরির প্রচলিত অস্বাস্থ্যকর দিকগুলো: প্রচলিত পদ্ধতিতে মাছ আহরণের পর সরাসরি তা রোদে দেয়া হয় শুকানোর জন্য। এ কারণে মাছে নোংরা, ময়লা, ধুলা, কাদাসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান থাকে। আবার উন্মুক্ত পরিবেশে মাছ শুকানোর কারণে এতে কুকর, বিড়াল, মাছিসহ অন্যান্য কীটপতঙ্গের সংক্রমণ দেখা যায়। অনেক সময় কীটনাশকও প্রয়োগ করা হয় শুঁটকিতে। এ কারণে ওই মাছ আর খাওয়ার উপযোগী থাকে না। বাসি বা পচা মাছ থেকে শুঁটকি করা হলে তা মানসম্পন্ন হয় না।

স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদন প্রক্রিয়া: স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদনে মাছ আহরণ থেকে শুরু করে তা বাজারজাতের জন্য মোড়কজাত পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনার দিকে নজর রাখতে হবে। প্রতিটি ধাপে সতর্কতার সঙ্গে দিকনির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

এছাড়া এর আগে এক প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম ল্যাবএইড ও পার্ক ভিউ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের কনসালট্যান্ট পুষ্টিবিদ হাসিনা আকতার লিপি জানান, শুঁটকি মাছ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি খাওয়ার পর শরীরে পানির সমতা বজায় রাখে। হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপে সহায়তা করে। ফসফরাসের পরিমাণ ভালো থাকায় এটি খাওয়ার পর হাড়, দাঁত ও ডিএনএ এবং আরএনও গঠনেও ভালো ভূমিকা রাখে।

যদিও এই মাছের বেশ কিছু উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে কিছু ক্ষতিকর দিক। ক্ষতিকর দিকের মধ্যে রয়েছে কিডনিজনিত সমস্যা, রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। এছাড়া শুঁটকি মাছ খেয়ে যদি কারও সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তার চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

শুঁটকি মাছ ভালো না খারাপ, কী বলছেন পুষ্টিবিদরা?

আপডেট সময় : ০৬:৩৫:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
অনেকেই আজকাল নানা রকম তরকারি পদের মধ্যে শুঁটকি মাছ রাখেন। কেউ কেউ পছন্দের জন্য শুঁটকি মাছকে বিশেষ গুরুত্বও দিয়ে থাকেন। শীত কিংবা গ্রীষ্মসহ বছরের বারো মাসই বিভিন্ন সবজি দিয়ে শুঁটকি মাছ খেয়ে থাকেন অনেকেই।

শুঁটকি মাছ খাওয়ার রয়েছে বিভিন্ন উপায়। যেমন, ভর্তা বা ভুনা. মৌসুমি সবজির সঙ্গে ভাজি বা ঝোল, আবার কেউ শুধু শুঁটকি ফ্রাই করে খেয়ে থাকেন। সাধারণত তাজা মাছের উপকারিতার কথা সবারই কম-বেশি জানা। কিন্তু শুঁটকি মাছে কোনো ধরনের উপকারিতা আছে কিনা কিংবা এই মাছ খাওয়া ক্ষতিকর কিনা, এ নিয়ে অনেকের মনেই রয়েছে প্রশ্ন। শুঁটকি মাছের গুরুত্ব নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারের কৃষি তথ্য সার্ভিস। শুঁটকি মাছের উপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে এবার জেনে নেয়া যাক।

শুঁটকি মাছের গুরুত্ব: দীর্ঘ পুরনো কাল থেকে শুঁটকি তৈরির প্রচলন ও এ মাছের বিশেষ জনপ্রিয়তা রয়েছে বাংলায়। পুষ্টিগুণ হিসেবেও যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে শুঁটকি মাছের। প্রতি ১০০ গ্রাম শুঁটকি মাছ থেকে প্রায় ৬২ গ্রাম প্রোটিন, ১৩ গ্রাম উপকারী ফ্যাট ও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, ডি পাওয়া যায়। আবার তাজা মাছের তুলনায় শুঁটকি মাছে খনিজ লবণের পরিমাণও অনেক বেশি পাওয়া যায়।

শুঁটকি তৈরির প্রচলিত অস্বাস্থ্যকর দিকগুলো: প্রচলিত পদ্ধতিতে মাছ আহরণের পর সরাসরি তা রোদে দেয়া হয় শুকানোর জন্য। এ কারণে মাছে নোংরা, ময়লা, ধুলা, কাদাসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান থাকে। আবার উন্মুক্ত পরিবেশে মাছ শুকানোর কারণে এতে কুকর, বিড়াল, মাছিসহ অন্যান্য কীটপতঙ্গের সংক্রমণ দেখা যায়। অনেক সময় কীটনাশকও প্রয়োগ করা হয় শুঁটকিতে। এ কারণে ওই মাছ আর খাওয়ার উপযোগী থাকে না। বাসি বা পচা মাছ থেকে শুঁটকি করা হলে তা মানসম্পন্ন হয় না।

স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদন প্রক্রিয়া: স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদনে মাছ আহরণ থেকে শুরু করে তা বাজারজাতের জন্য মোড়কজাত পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনার দিকে নজর রাখতে হবে। প্রতিটি ধাপে সতর্কতার সঙ্গে দিকনির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

এছাড়া এর আগে এক প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম ল্যাবএইড ও পার্ক ভিউ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের কনসালট্যান্ট পুষ্টিবিদ হাসিনা আকতার লিপি জানান, শুঁটকি মাছ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি খাওয়ার পর শরীরে পানির সমতা বজায় রাখে। হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপে সহায়তা করে। ফসফরাসের পরিমাণ ভালো থাকায় এটি খাওয়ার পর হাড়, দাঁত ও ডিএনএ এবং আরএনও গঠনেও ভালো ভূমিকা রাখে।

যদিও এই মাছের বেশ কিছু উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে কিছু ক্ষতিকর দিক। ক্ষতিকর দিকের মধ্যে রয়েছে কিডনিজনিত সমস্যা, রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। এছাড়া শুঁটকি মাছ খেয়ে যদি কারও সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তার চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত।