শুভ, ইবি প্রতিনিধি
প্রজ্ঞাপন হওয়া ক্লাসরুম বুঝে পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার দুপুর ২টায় প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান করে এই মানববন্ধন করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘শিক্ষা সবার অধিকার, স্পোর্টস সাইন্স কেন বঞ্চিত বারবার’; ‘কোথায় পড়ব, কোথায় শিখব? ক্লাসরুম চাই, ক্লাসরুম চাই’; ‘সবার নাই ক্লাসরুম, ইবি প্রশাসন দিচ্ছে ঘুম’; ‘আমাদের অধিকার ক্লাসরুম দিতে হবে’; ‘অন্য বিভাগ স্বর্গে, স্পোর্টস সায়েন্স কেন মর্গে’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা ‘প্রশাসনের টালবাহানা, মানিবা মানব না’; ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস; আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবে’; ‘আমার নাই ক্লাসরুম, প্রশাসন দিচ্ছে ঘুম’; অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’; ‘বৈষম্যর কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।
গত ৮ অক্টোবর অনুষদ ভবনের তৃতীয় তলার ৩০১, ৩০২, ৩৩৭, ৩৩৭(ক), ৩৩৮, ৩৩৯, ৩৪০, ৩৪২, ৩৪৩, ৩৪৪ নম্বর কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয় শারীরিক শিক্ষা বিভাগকে। এ ছাড়া ফোকলোর স্টাডিজ কর্তৃক ব্যবহৃত রুমগুলোও শারীরিক শিক্ষার অধীন থাকবে বলে জানান কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন। কিন্তু বরাদ্দকৃত ক্লাসরুম আর বুঝে পায়নি শারীরিক শিক্ষা বিভাগ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গতকাল আমরা আন্দোলনে নেমেছিলাম। এরপর প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা গতকালের মতো চলে গেলেও পরবর্তী সময়ে আমরা কোনো সমাধান পাইনি। ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ হয়নি। তাই আমরা আজকেও মানববন্ধন এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের বরাদ্দকৃত শ্রেণিকক্ষ আজকের মধ্যেই ফিরিয়ে দিতে হবে। নইলে আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
শিক্ষার্থী আহমেদ আল আমিন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন মাঠেঘাটে, জিমনেসিয়ামে ক্লাস করেছি। গত অক্টোবর মাসে আমাদের অনুষদ ভবনে প্রায় ১৬ টি বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো সেটা আমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয় নাই। দীর্ঘদিন ধরেই এই টালবাহানা করে আসছে প্রশাসন। কিছুক্ষণ ট্রেজারার স্যার বললেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর স্যার আমাদের বিষয়টি নিয়ে মিটিংয়ে আছেন এবং ক্লাস সময়ের মধ্যে আমাদের রুম বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আমরা একটা কথা বলে দিতে চাই যদি আজকে মধ্যে আমাদের বরাদ্দকৃত রুম বুঝিয়ে না দেওয়া হয় তাহলে আমাদের আন্দোলন আরও কঠোর রূপ ধারণ করবে।
আন্দোলনে উপস্থিত হয়ে মাননীয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, তোমাদের দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই কমিটি গঠন করে কাজ শুরু হয়েছে। আমরা কিছুক্ষণ আগে সরেজমিনে রুমগুলো দেখে আসলাম। একটু পরে আরেকটি মিটিং করে বিভাগের চেয়ারম্যানকে বরাদ্দ রুমের চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হবে।