শিরোনাম :
Logo শ্যামনগরে ৪৫ কেজি হরিণের মাংস ও ১২টি পা জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড Logo খুবিতে জুলাই বিপ্লব বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহে তদন্ত কমিটি গঠন Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের বিশাল গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত  পিআর নিয়ে কোনোপ্রকার টালবাহানা দেশের মানুষ বরদাশত করবে না -মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম Logo বাবুরহাটে গোলাপ ফুলের সমর্থনে জাকের পার্টির “জনসভা ও র‍্যালী” Logo সুবিদপুরে মাদক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে ফুটবল ম্যাচ মাদক সেবনে মানুষের শারীরিক ও মানসিক উভয়প্রকার ক্ষতিসাধন হয় সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান Logo তুরস্কের চানকিরি কারাতেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইবি উপাচার্যের বিশেষ সংবর্ধনা Logo খুবিতে ইনোভেশন ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো “ইনভেনটাম ৪.০” Logo সিরাজগঞ্জে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর পক্ষে ধানের শীষে ভোট চেয়ে অমর কৃষ্ণ দাসের গণসংযোগ Logo জুলাই সনদে এনসিপির পরেও অংশগ্রহণের সুযোগ আছে : ধর্ম উপদেষ্টা Logo নারী টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন নাভগির

হাবিপ্রবির বাসে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী পরিবহনে ঝুঁকি। 

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:২২:৩৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৮৩ বার পড়া হয়েছে
আবজাল হোসেন তোফায়েল
হাবিপ্রবি  প্রতিনিধি:
সিট সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বাসে উঠলেই বিপাকে পড়েন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) বাস চালকেরা। এ নিয়ে প্রায়ই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। তবে বিভিন্ন সময়ে নানা কারণে বাক-বিতন্ডার সম্মুখীন হতে দেখা যায় শিক্ষার্থী-বাস চালকদের মধ্যে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাস চালক জানান, ‘সিট সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বাসে উঠলেই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এতে ঝুঁকি থাকে। চলন্ত গাড়ি ব্যালেন্স এবং নিয়ন্ত্রণ  করা কঠিন হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। তবুও একটু এদিক-সেদিক হলেই শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়তে হয়’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্যানুসারে বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী সংখ্যা ১১২০৩ জন। এছাড়াও অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন ক্যাম্পাস এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকাগুলোতে। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে বারো হাজার শিক্ষার্থীর জন্য সচল বাস রয়েছে ১০ টি। এছাড়াও ২টি দ্বিতল বাস রয়েছে, যার প্রতি ট্রিপে দিতে হয় ১৯৫৩ টাকা।
ক্যাম্পাস চলাকালীন প্রতি টিপে সর্বোচ্চ ২-৩ টি বাস থাকে। এই স্বল্প পরিমাণ বাসে কখনো কখনো অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বহন করতে হয়, আবার কখনো বাস ফাঁকা থাকে। ক্যাম্পাস থেকে শুক্রবার সকাল ৯ টা, শনিবার বিকেল ৪ টা ও রবিবার-বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টা, ৫টা, ৫:৩০ টা এবং বড়মাঠ থেকে ৬ টা, ৭ টা, ৮ টার বাসে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বহন করতে হয় ক্যাম্পাসের পরিবহণ বাসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাবেদ মজুমদার বলেন,’ করোনা পরিস্থিতি ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান এর কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় স্নাতকোত্তর সহ অনেকগুলো ব্যাচের শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে। এই পরিস্থিতিতে বাসে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থী সংখ্যাও বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেলেও বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয় নি। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের চাপ পড়ছে বাস গুলোর উপর। অনেকসময় দেখা যায় গাদাগাদি করে বাসে আসা যাওয়ার সময় শিক্ষার্থী ও চালকের মধ্যে বাকবিতন্ডার মতো ঘটনা ঘটে। প্রশাসন এই সমস্যা নিরসনে সঠিক পদক্ষেপ নিবে বলে আমরা আশাবাদী’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন এবং যন্ত্র মেরামত শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন,’ আমাদের এখানে নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস হয়না। শিক্ষকদের মর্জি অনুযায়ী ক্লাস হয়। ফলে কোন সময় বাসে শিক্ষার্থীদের চাপ পড়বে তা আগে থেকে জানা সম্ভব নয়। তবে শিক্ষার্থীর চাপ বেশি থাকলে তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত বাস দেওয়ার নিয়ম আছে।
এ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা কল রিসিভ করেন নি।
উল্লেখ্য, গতবছরের ১৭ই সেপ্টেম্বর থেকে করোনা পূর্ববর্তী বাস সিডিউল কার্যকর রয়েছে। এ সিডিউলে সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট পরিবহন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন ডে তে দৈনিক ২৬ টি সহ সপ্তাহে প্রতি শুক্রবারে ১টি এবং শনিবারে ২টি বিশেষ ট্রিপ রয়েছে।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্যামনগরে ৪৫ কেজি হরিণের মাংস ও ১২টি পা জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

হাবিপ্রবির বাসে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী পরিবহনে ঝুঁকি। 

আপডেট সময় : ০৫:২২:৩৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
আবজাল হোসেন তোফায়েল
হাবিপ্রবি  প্রতিনিধি:
সিট সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বাসে উঠলেই বিপাকে পড়েন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) বাস চালকেরা। এ নিয়ে প্রায়ই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। তবে বিভিন্ন সময়ে নানা কারণে বাক-বিতন্ডার সম্মুখীন হতে দেখা যায় শিক্ষার্থী-বাস চালকদের মধ্যে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাস চালক জানান, ‘সিট সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বাসে উঠলেই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এতে ঝুঁকি থাকে। চলন্ত গাড়ি ব্যালেন্স এবং নিয়ন্ত্রণ  করা কঠিন হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। তবুও একটু এদিক-সেদিক হলেই শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়তে হয়’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্যানুসারে বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী সংখ্যা ১১২০৩ জন। এছাড়াও অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন ক্যাম্পাস এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকাগুলোতে। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে বারো হাজার শিক্ষার্থীর জন্য সচল বাস রয়েছে ১০ টি। এছাড়াও ২টি দ্বিতল বাস রয়েছে, যার প্রতি ট্রিপে দিতে হয় ১৯৫৩ টাকা।
ক্যাম্পাস চলাকালীন প্রতি টিপে সর্বোচ্চ ২-৩ টি বাস থাকে। এই স্বল্প পরিমাণ বাসে কখনো কখনো অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বহন করতে হয়, আবার কখনো বাস ফাঁকা থাকে। ক্যাম্পাস থেকে শুক্রবার সকাল ৯ টা, শনিবার বিকেল ৪ টা ও রবিবার-বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টা, ৫টা, ৫:৩০ টা এবং বড়মাঠ থেকে ৬ টা, ৭ টা, ৮ টার বাসে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বহন করতে হয় ক্যাম্পাসের পরিবহণ বাসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাবেদ মজুমদার বলেন,’ করোনা পরিস্থিতি ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান এর কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় স্নাতকোত্তর সহ অনেকগুলো ব্যাচের শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে। এই পরিস্থিতিতে বাসে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থী সংখ্যাও বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেলেও বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয় নি। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের চাপ পড়ছে বাস গুলোর উপর। অনেকসময় দেখা যায় গাদাগাদি করে বাসে আসা যাওয়ার সময় শিক্ষার্থী ও চালকের মধ্যে বাকবিতন্ডার মতো ঘটনা ঘটে। প্রশাসন এই সমস্যা নিরসনে সঠিক পদক্ষেপ নিবে বলে আমরা আশাবাদী’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন এবং যন্ত্র মেরামত শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন,’ আমাদের এখানে নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস হয়না। শিক্ষকদের মর্জি অনুযায়ী ক্লাস হয়। ফলে কোন সময় বাসে শিক্ষার্থীদের চাপ পড়বে তা আগে থেকে জানা সম্ভব নয়। তবে শিক্ষার্থীর চাপ বেশি থাকলে তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত বাস দেওয়ার নিয়ম আছে।
এ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা কল রিসিভ করেন নি।
উল্লেখ্য, গতবছরের ১৭ই সেপ্টেম্বর থেকে করোনা পূর্ববর্তী বাস সিডিউল কার্যকর রয়েছে। এ সিডিউলে সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট পরিবহন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন ডে তে দৈনিক ২৬ টি সহ সপ্তাহে প্রতি শুক্রবারে ১টি এবং শনিবারে ২টি বিশেষ ট্রিপ রয়েছে।