সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল Logo মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন : ডা. জাহিদ Logo কচুয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনায়েত হাসিব

সীমান্তে অবৈধ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে গোপন চার চুক্তি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:১০:৫৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৯৯ বার পড়া হয়েছে

সীমান্তে অবৈধ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে গোপন চার চুক্তি

ডেস্ক রিপোর্ট:

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চার হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার মধ্যে তিন হাজার ২৭১ কিলোমিটার এলাকাতেই ভারত অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেড়া তৈরির কাজ শেষ করেছে। ভারত অত্যন্ত গোপনে ২০১০ সালে শুরু করে ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার পতনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এ বেড়া নির্মাণের কাজ করে।

সীমান্ত ইস্যুতে ভারতকে অন্যায্য সুবিধা দিয়ে শেখ হাসিনা চারটি চুক্তি করেছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে গত কয়েক মাস ভারত চুপ থেকে অবশিষ্ট ৮৮৫ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে। বিজিবি বাধা দিতে গেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) শেখ হাসিনার আমলের চুক্তিগুলোর রেফারেন্স দিচ্ছে।

সীমান্ত ইস্যুতে গোপন এ চুক্তিগুলোর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সীমান্তে শূন্য রেখার ভেতরে অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য ২০১০ সালে শেখ হাসিনা ভারতের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে ভারত ও বাংলাদেশ এ বিষয়ে চারটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে। অসম এসব চুক্তি বাতিল করার জন্য আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ-ভারত যুগ্ম-সীমান্ত নির্দেশাবলি-১৯৭৫ অনুযায়ী, উভয় দেশের শূন্য রেখার ১৫০ গজের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংবলিত যে কোনো কাজ সম্পন্নের বিষয়ে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া উভয় দেশের প্রয়োজনে শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে যে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করার ক্ষেত্রে একে অপরের সম্মতি নেওয়ার বাধ্য-বাধকতা রয়েছে।
২০১০ সালের পর বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বিদ্যমান চার হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে তিন হাজার ২৭১ কিলোমিটার এলাকায় ভারত সব নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে। এখন বাকি ৮৮৫ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে ভারত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এটা কোনোভাবে করতে দেব না। প্রতিনিয়ত প্রতিটি এলাকা আমরা নজরদারিতে রেখেছি।

ট্যাগস :

নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

সীমান্তে অবৈধ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে গোপন চার চুক্তি

আপডেট সময় : ১২:১০:৫৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চার হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার মধ্যে তিন হাজার ২৭১ কিলোমিটার এলাকাতেই ভারত অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেড়া তৈরির কাজ শেষ করেছে। ভারত অত্যন্ত গোপনে ২০১০ সালে শুরু করে ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার পতনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এ বেড়া নির্মাণের কাজ করে।

সীমান্ত ইস্যুতে ভারতকে অন্যায্য সুবিধা দিয়ে শেখ হাসিনা চারটি চুক্তি করেছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে গত কয়েক মাস ভারত চুপ থেকে অবশিষ্ট ৮৮৫ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে। বিজিবি বাধা দিতে গেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) শেখ হাসিনার আমলের চুক্তিগুলোর রেফারেন্স দিচ্ছে।

সীমান্ত ইস্যুতে গোপন এ চুক্তিগুলোর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সীমান্তে শূন্য রেখার ভেতরে অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য ২০১০ সালে শেখ হাসিনা ভারতের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে ভারত ও বাংলাদেশ এ বিষয়ে চারটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে। অসম এসব চুক্তি বাতিল করার জন্য আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ-ভারত যুগ্ম-সীমান্ত নির্দেশাবলি-১৯৭৫ অনুযায়ী, উভয় দেশের শূন্য রেখার ১৫০ গজের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংবলিত যে কোনো কাজ সম্পন্নের বিষয়ে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া উভয় দেশের প্রয়োজনে শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে যে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করার ক্ষেত্রে একে অপরের সম্মতি নেওয়ার বাধ্য-বাধকতা রয়েছে।
২০১০ সালের পর বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বিদ্যমান চার হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে তিন হাজার ২৭১ কিলোমিটার এলাকায় ভারত সব নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে। এখন বাকি ৮৮৫ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে ভারত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এটা কোনোভাবে করতে দেব না। প্রতিনিয়ত প্রতিটি এলাকা আমরা নজরদারিতে রেখেছি।