শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ Logo কুষ্টিয়ায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনায় কেন্দ্রসচিবসহ ৬ জনকে অব্যাহতি Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠিত Logo ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo নির্মম ভাবে সোহাগ হত্যার ঘটনায় ইবিতে বিক্ষোভ Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিক অপু চৌধুরীকে সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে মসজিদে খতিবকে কুপিয়ে জখম

রাতে ঘুমানোর আগে অজু করার ফজিলত

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৩০ বার পড়া হয়েছে

পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। মুমিনের প্রতিটি ইবাদতের সঙ্গে পবিত্রতার সম্পর্ক রয়েছে। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনেও পবিত্রতার গুরুত্ব রয়েছে। অজু করার মাধ্যমে একজন মানুষ সারাদিন পাক-পবিত্র থাকতে পারেন। এ জন্য মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে পবিত্রতা অর্জনকারীদের সুনাম করেছেন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসার ঘোষণা দিয়েছেন।

সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনের জন্য ঘুম অপরিহার্য। প্রয়োজন ও স্বাভাবিক জীবনের তাগিদেই মানুষকে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে হয়। ঘুমের জন্য উপযুক্ত সময় রাত। রাতের নিরবতা ও আরামদায়ক পরিবেশই মূলত প্রশান্তির ঘুমের জন্য উপযোগী।

রাতের পরিবেশ ঘুমের জন্যই নির্ধারণ করেছেন আল্লাহ তায়ালা। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে,

وَ هُوَ الَّذِیۡ جَعَلَ لَكُمُ الَّیۡلَ لِبَاسًا وَّ النَّوۡمَ سُبَاتًا وَّ جَعَلَ النَّهَارَ نُشُوۡرً

আর তিনিই তোমাদের জন্য রাতকে করেছেন আবরণস্বরূপ, বিশ্রামের জন্য তোমাদের দিয়েছেন নিদ্ৰা(১) এবং ছড়িয়ে পড়ার জন্য করেছেন দিন। (সূরা ফুরকান, আয়াত : ৪৭)

ঘুমকে আল্লাহ তায়ালা এমন করেছেন যে, এর ফলে সারাদিনের ক্লান্তি ও শ্রান্তি ছিন্ন তথা দূর হয়ে যায়। চিন্তা ও কল্পনা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে মস্তিষ্ক শান্ত হয়। আর আবরণ ও পোশাক যেমন মানুষের শরীর ঢেকে রাখে, একইভাবে রাতের অন্ধকার মানুষকে লুকিয়ে রাখে এবং ঘুমের উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচিত হয়।

রাতে ঘুমানোর পূর্বে অজু করে জিকির-আজকার তিলাওয়াত করার পর অজু চলে গেলে সম্ভব হলে পুনরায় অজু করে নেওয়া উচিত। এর বিশেষ ফজিলত রয়েছে। এ বিষয়ে হজরত বারা ইবনু আজিব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সা. বলেছেন—

যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন নামাজের অজুর মতো অজু করে নেবে। তারপর ডান পাশে শুয়ে বলবে,

اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ اللَّهُمَّ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আসলামতু ওয়াজ্‌হিয়া ইলাইকা ওয়াফাউওয়াদতু আমরিয়া ইলাইকা ওআলজাআতু জাহরিয়া ইলাইকা রাগাবাতান ওরাহবাতান ইলাইকা লা মালজাআ ওয়া-লা মানযা’আ মিনকা ইল্লা ইলাইকালল্লাহুম্মা আমানতু বিকিতাবিকাল্লাজি আনঝালতা।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ্! আমার জীবন আপনার কাছে সমর্পণ করলাম। আমার সকল কাজ আপনার কাছে সোপর্দ করলাম এবং আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করলাম, আপনার প্রতি আগ্রহ ও ভয় নিয়ে। আপনি ছাড়া কোনো আশ্রয়স্থল ও নাজাতের স্থান নেই। হে আল্লাহ্! আমি ঈমান আনলাম আপনার নাযিলকৃত কিতাবের ওপর এবং আপনার প্রেরিত নবীর ওপর।’

হাদিস বর্ণনাকারী বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, এ দোয়া পড়ার পর যদি সে রাতেই কারও মৃত্যু হয়, তবে ফিতরাতে ইসলামের (স্বভাবধর্ম ইসলামের ওপর) ওপর তার মৃত্যু হবে। এ কথাগুলো তোমার শেষ কথা বনিয়ে নাও। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৪৫)

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা

রাতে ঘুমানোর আগে অজু করার ফজিলত

আপডেট সময় : ১১:৩৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। মুমিনের প্রতিটি ইবাদতের সঙ্গে পবিত্রতার সম্পর্ক রয়েছে। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনেও পবিত্রতার গুরুত্ব রয়েছে। অজু করার মাধ্যমে একজন মানুষ সারাদিন পাক-পবিত্র থাকতে পারেন। এ জন্য মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে পবিত্রতা অর্জনকারীদের সুনাম করেছেন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসার ঘোষণা দিয়েছেন।

সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনের জন্য ঘুম অপরিহার্য। প্রয়োজন ও স্বাভাবিক জীবনের তাগিদেই মানুষকে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে হয়। ঘুমের জন্য উপযুক্ত সময় রাত। রাতের নিরবতা ও আরামদায়ক পরিবেশই মূলত প্রশান্তির ঘুমের জন্য উপযোগী।

রাতের পরিবেশ ঘুমের জন্যই নির্ধারণ করেছেন আল্লাহ তায়ালা। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে,

وَ هُوَ الَّذِیۡ جَعَلَ لَكُمُ الَّیۡلَ لِبَاسًا وَّ النَّوۡمَ سُبَاتًا وَّ جَعَلَ النَّهَارَ نُشُوۡرً

আর তিনিই তোমাদের জন্য রাতকে করেছেন আবরণস্বরূপ, বিশ্রামের জন্য তোমাদের দিয়েছেন নিদ্ৰা(১) এবং ছড়িয়ে পড়ার জন্য করেছেন দিন। (সূরা ফুরকান, আয়াত : ৪৭)

ঘুমকে আল্লাহ তায়ালা এমন করেছেন যে, এর ফলে সারাদিনের ক্লান্তি ও শ্রান্তি ছিন্ন তথা দূর হয়ে যায়। চিন্তা ও কল্পনা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে মস্তিষ্ক শান্ত হয়। আর আবরণ ও পোশাক যেমন মানুষের শরীর ঢেকে রাখে, একইভাবে রাতের অন্ধকার মানুষকে লুকিয়ে রাখে এবং ঘুমের উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচিত হয়।

রাতে ঘুমানোর পূর্বে অজু করে জিকির-আজকার তিলাওয়াত করার পর অজু চলে গেলে সম্ভব হলে পুনরায় অজু করে নেওয়া উচিত। এর বিশেষ ফজিলত রয়েছে। এ বিষয়ে হজরত বারা ইবনু আজিব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সা. বলেছেন—

যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন নামাজের অজুর মতো অজু করে নেবে। তারপর ডান পাশে শুয়ে বলবে,

اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ اللَّهُمَّ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আসলামতু ওয়াজ্‌হিয়া ইলাইকা ওয়াফাউওয়াদতু আমরিয়া ইলাইকা ওআলজাআতু জাহরিয়া ইলাইকা রাগাবাতান ওরাহবাতান ইলাইকা লা মালজাআ ওয়া-লা মানযা’আ মিনকা ইল্লা ইলাইকালল্লাহুম্মা আমানতু বিকিতাবিকাল্লাজি আনঝালতা।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ্! আমার জীবন আপনার কাছে সমর্পণ করলাম। আমার সকল কাজ আপনার কাছে সোপর্দ করলাম এবং আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করলাম, আপনার প্রতি আগ্রহ ও ভয় নিয়ে। আপনি ছাড়া কোনো আশ্রয়স্থল ও নাজাতের স্থান নেই। হে আল্লাহ্! আমি ঈমান আনলাম আপনার নাযিলকৃত কিতাবের ওপর এবং আপনার প্রেরিত নবীর ওপর।’

হাদিস বর্ণনাকারী বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, এ দোয়া পড়ার পর যদি সে রাতেই কারও মৃত্যু হয়, তবে ফিতরাতে ইসলামের (স্বভাবধর্ম ইসলামের ওপর) ওপর তার মৃত্যু হবে। এ কথাগুলো তোমার শেষ কথা বনিয়ে নাও। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৪৫)