শিরোনাম :
Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ Logo কুষ্টিয়ায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনায় কেন্দ্রসচিবসহ ৬ জনকে অব্যাহতি Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠিত Logo ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo নির্মম ভাবে সোহাগ হত্যার ঘটনায় ইবিতে বিক্ষোভ Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিক অপু চৌধুরীকে সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে মসজিদে খতিবকে কুপিয়ে জখম Logo আম্মা-আব্বা আমাকে মাফ করে দিবেন; আমি আপনাদের ভালো মেয়ে হতে পারি নাই

মুক্তিযুদ্ধের সেই আইকনিক ছবি সরানো নিয়ে যা বললেন ভারতীয় সেনাপ্রধান

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:৩০:৫৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

নয়াদিল্লির রাইসিনা হিলে ভারতীয় সেনাপ্রধানের কার্যালয় থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের ঐতিহাসিক ছবিটি সরিয়ে ফেলার বিষয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী প্রথমবারের মতো মন্তব্য করেছেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া বক্তব্যে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, নতুন প্রজন্মের সেনাদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কার্যালয়ে নতুন প্রতীক স্থাপন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন সেনাপ্রধানের কার্যালয়ের লাউঞ্জে থাকা ঐতিহাসিক ছবিটি গেল ডিসেম্বর মাসে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নামানো হয়। তবে পরে সেটি আর ফিরিয়ে আনা হয়নি। পরিবর্তে ‘করম ক্ষেত্র’ নামে নতুন একটি চিত্রকর্ম স্থাপন করা হয়। পুরোনো ছবিটি এখন মানেকশ কনভেনশন সেন্টারে স্থান পেয়েছে।

জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “ভারতের ইতিহাসের তিনটি অধ্যায় রয়েছে—ব্রিটিশ যুগ, মুঘল যুগ এবং তার আগের যুগ। নতুন প্রতীক আমাদের ইতিহাস এবং সেনাবাহিনীর লক্ষ্য সংযুক্ত করে।”

তিনি আরও বলেন, “নতুন প্রজন্মের সেনাদের উদ্দীপনা ও মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে করম ক্ষেত্র নামে নতুন এই চিত্রকর্ম স্থাপন করা হয়েছে। এটি ২৮ মাদ্রাজ রেজিমেন্টের লেফটেন্যান্ট কর্নেল টমাস জ্যাকবের তৈরি, যা বর্তমান প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।”

‘করম ক্ষেত্র’ নামের চিত্রকর্মটি সম্পর্কে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, এর অর্থ ‘কর্মের ক্ষেত্র’, যা বাহিনীর মূলনীতিগুলোর প্রতীক। এটি সেনাবাহিনীর ক্রমাগত উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং জাতির মূল্যবোধ রক্ষায় তাদের অঙ্গীকারকে তুলে ধরে।

উত্তর ফ্রন্ট থেকে আসা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “বর্তমান বাস্তবতার ভিত্তিতেই নতুন প্রতীক ও চিত্রকর্ম স্থাপিত হয়েছে।”

তবে সাবেক সেনা কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তাদের দাবি, ঐতিহাসিক ছবিটি শুধু ভারতীয় সেনাবাহিনীর নয়, বরং পুরো জাতির গৌরবময় অর্জনের স্মারক।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম

মুক্তিযুদ্ধের সেই আইকনিক ছবি সরানো নিয়ে যা বললেন ভারতীয় সেনাপ্রধান

আপডেট সময় : ১০:৩০:৫৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

নয়াদিল্লির রাইসিনা হিলে ভারতীয় সেনাপ্রধানের কার্যালয় থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের ঐতিহাসিক ছবিটি সরিয়ে ফেলার বিষয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী প্রথমবারের মতো মন্তব্য করেছেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া বক্তব্যে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, নতুন প্রজন্মের সেনাদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কার্যালয়ে নতুন প্রতীক স্থাপন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন সেনাপ্রধানের কার্যালয়ের লাউঞ্জে থাকা ঐতিহাসিক ছবিটি গেল ডিসেম্বর মাসে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নামানো হয়। তবে পরে সেটি আর ফিরিয়ে আনা হয়নি। পরিবর্তে ‘করম ক্ষেত্র’ নামে নতুন একটি চিত্রকর্ম স্থাপন করা হয়। পুরোনো ছবিটি এখন মানেকশ কনভেনশন সেন্টারে স্থান পেয়েছে।

জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “ভারতের ইতিহাসের তিনটি অধ্যায় রয়েছে—ব্রিটিশ যুগ, মুঘল যুগ এবং তার আগের যুগ। নতুন প্রতীক আমাদের ইতিহাস এবং সেনাবাহিনীর লক্ষ্য সংযুক্ত করে।”

তিনি আরও বলেন, “নতুন প্রজন্মের সেনাদের উদ্দীপনা ও মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে করম ক্ষেত্র নামে নতুন এই চিত্রকর্ম স্থাপন করা হয়েছে। এটি ২৮ মাদ্রাজ রেজিমেন্টের লেফটেন্যান্ট কর্নেল টমাস জ্যাকবের তৈরি, যা বর্তমান প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।”

‘করম ক্ষেত্র’ নামের চিত্রকর্মটি সম্পর্কে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, এর অর্থ ‘কর্মের ক্ষেত্র’, যা বাহিনীর মূলনীতিগুলোর প্রতীক। এটি সেনাবাহিনীর ক্রমাগত উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং জাতির মূল্যবোধ রক্ষায় তাদের অঙ্গীকারকে তুলে ধরে।

উত্তর ফ্রন্ট থেকে আসা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “বর্তমান বাস্তবতার ভিত্তিতেই নতুন প্রতীক ও চিত্রকর্ম স্থাপিত হয়েছে।”

তবে সাবেক সেনা কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তাদের দাবি, ঐতিহাসিক ছবিটি শুধু ভারতীয় সেনাবাহিনীর নয়, বরং পুরো জাতির গৌরবময় অর্জনের স্মারক।