শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন। Logo টাকার জন্য হরিদাস বাবু’কে হয়রানী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার অনুসন্ধানে প্রমাণ। Logo খুবির সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতায় আগ্রহ জাপানি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের Logo শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় এনজিও কর্মীর মৃত্যু Logo সাতক্ষীরায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তরুণী, থানায় সাধারণ ডায়েরি Logo আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে কয়রায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দর্শনা থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান, ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ Logo জীবননগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপন Logo আইএফএডিকে বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার Logo চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

ক্রয়-বিক্রয়ে মালিকানা লাভের সুফল

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:০১:৪৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

সঠিক পদ্ধতিতে বিক্রয় চুক্তি সম্পন্ন হলে ক্রেতা পণ্যের মালিক হয় এবং বিক্রেতা মূল্যের মালিক হয়। এ ক্ষেত্রে পণ্য ও অর্থ পরস্পরকে হস্তান্তর করা শর্ত নয়। যদিও জরিমানা নির্ধারণে হস্তান্তরের বিশেষ প্রভাব আছে। তবে লেনদেন ফাসিদ (বাতিল) পদ্ধতিতে হলে পণ্যের মালিক হওয়ার জন্য তা ক্রেতার হস্তগত হওয়া শর্ত। পণ্য ও মূল্যের মালিকানা বদলে নিম্নোক্ত বিধানাবলী কার্যকর হবে:

১. পণ্যের যা বৃদ্ধি পাবে জন্ম বা উত্পাদন ইত্যাদির মাধ্যমে, তার মালিক হবে ক্রেতা—যদিও সে পণ্য হস্তগত না করে। মূল্য বাকি থাকলেও পণ্যের মালিকানা ক্রেতার প্রতি স্থানান্তরিত হতেও শরিয়তে কোনো বাধা নেই।

২. পণ্যে ক্রেতার কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হয় আর মূল্যে বিক্রেতার নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। যেমন বিক্রেতা মূল্য গ্রহণের দায়িত্ব কাউকে দিতে পারে। তবে হস্তগত হওয়ার আগে ক্রেতা তাতে হস্তক্ষেপ করলে তা ফাসিদ বা বাতিল বলে গণ্য হবে। যেমন পণ্য হাতে পাওয়ার আগে বিক্রি করা ইত্যাদি।

৩. বিক্রেতা মূল্য হস্তগত করলেও ক্রেতা পণ্য হস্তগত করেনি। এমন অবস্থায় বিক্রেতা দেউলিয়া হয়ে মারা গেলে অন্য সব পাওনাদারের তুলনায় পণ্যে ক্রেতার অধিকার অগ্রগণ্য হবে। এই পণ্যটি মৃতের ত্যাজ্য সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে না, বরং তার হাতে এটি আমানত বলে গণ্য হবে।

৪. বাকিতে বিক্রি করা অবস্থায় ওই মূল্য পরিশোধ করা পর্যন্ত অথবা অন্য কোনো নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত পণ্যে বিক্রেতার মালিকানা সংরক্ষিত থাকার শর্তারোপ করা জায়েজ নয়।

মূল্যের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক বিধান হলো তা নগদ হবে। আল্লামা ইবনু আবদিল বার (রহ.) বলেন, মূল্য সর্বদা নগদ হয়। তবে যদি ক্রেতা-বিক্রেতা কোনো মেয়াদ নির্ধারণ করেন, তাহলে তা সে পর্যন্ত প্রলম্বিত হয়। কেননা নগদ হওয়াই চুক্তির দাবি ও আবশ্যিক বিধান। ক্রেতা যদি আংশিক মূল্য পরিশোধ করে তাহলে পণ্য তার হাতে হস্তান্তরিত হওয়ার উপযুক্ত সে হয় না। যে পরিমাণ মূল্য পরিশোধ করেছে সে পরিমাণ পণ্য প্রাপ্তিরও হকদার সে হয় না। পণ্য একটি জিনিস হোক বা বহু সংখ্যক হোক। জিনিসগুলোর ক্রয়ের সময় মূল্য পৃথকভাবে উল্লেখ করা হোক অথবা সবগুলোর মূল্য একসাথে নির্ধারণ করা হোক—যখন বিক্রয় একই চুক্তিতে হওয়া স্থির থাকে সে পর্যন্ত সে হকদার হয় না। এ সব কথা সে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে যে পর্যন্ত এর বিপরীতে কোনো শর্ত থাকবে না।

মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যাহ অবলম্বনে

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

ক্রয়-বিক্রয়ে মালিকানা লাভের সুফল

আপডেট সময় : ০৬:০১:৪৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

সঠিক পদ্ধতিতে বিক্রয় চুক্তি সম্পন্ন হলে ক্রেতা পণ্যের মালিক হয় এবং বিক্রেতা মূল্যের মালিক হয়। এ ক্ষেত্রে পণ্য ও অর্থ পরস্পরকে হস্তান্তর করা শর্ত নয়। যদিও জরিমানা নির্ধারণে হস্তান্তরের বিশেষ প্রভাব আছে। তবে লেনদেন ফাসিদ (বাতিল) পদ্ধতিতে হলে পণ্যের মালিক হওয়ার জন্য তা ক্রেতার হস্তগত হওয়া শর্ত। পণ্য ও মূল্যের মালিকানা বদলে নিম্নোক্ত বিধানাবলী কার্যকর হবে:

১. পণ্যের যা বৃদ্ধি পাবে জন্ম বা উত্পাদন ইত্যাদির মাধ্যমে, তার মালিক হবে ক্রেতা—যদিও সে পণ্য হস্তগত না করে। মূল্য বাকি থাকলেও পণ্যের মালিকানা ক্রেতার প্রতি স্থানান্তরিত হতেও শরিয়তে কোনো বাধা নেই।

২. পণ্যে ক্রেতার কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হয় আর মূল্যে বিক্রেতার নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। যেমন বিক্রেতা মূল্য গ্রহণের দায়িত্ব কাউকে দিতে পারে। তবে হস্তগত হওয়ার আগে ক্রেতা তাতে হস্তক্ষেপ করলে তা ফাসিদ বা বাতিল বলে গণ্য হবে। যেমন পণ্য হাতে পাওয়ার আগে বিক্রি করা ইত্যাদি।

৩. বিক্রেতা মূল্য হস্তগত করলেও ক্রেতা পণ্য হস্তগত করেনি। এমন অবস্থায় বিক্রেতা দেউলিয়া হয়ে মারা গেলে অন্য সব পাওনাদারের তুলনায় পণ্যে ক্রেতার অধিকার অগ্রগণ্য হবে। এই পণ্যটি মৃতের ত্যাজ্য সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে না, বরং তার হাতে এটি আমানত বলে গণ্য হবে।

৪. বাকিতে বিক্রি করা অবস্থায় ওই মূল্য পরিশোধ করা পর্যন্ত অথবা অন্য কোনো নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত পণ্যে বিক্রেতার মালিকানা সংরক্ষিত থাকার শর্তারোপ করা জায়েজ নয়।

মূল্যের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক বিধান হলো তা নগদ হবে। আল্লামা ইবনু আবদিল বার (রহ.) বলেন, মূল্য সর্বদা নগদ হয়। তবে যদি ক্রেতা-বিক্রেতা কোনো মেয়াদ নির্ধারণ করেন, তাহলে তা সে পর্যন্ত প্রলম্বিত হয়। কেননা নগদ হওয়াই চুক্তির দাবি ও আবশ্যিক বিধান। ক্রেতা যদি আংশিক মূল্য পরিশোধ করে তাহলে পণ্য তার হাতে হস্তান্তরিত হওয়ার উপযুক্ত সে হয় না। যে পরিমাণ মূল্য পরিশোধ করেছে সে পরিমাণ পণ্য প্রাপ্তিরও হকদার সে হয় না। পণ্য একটি জিনিস হোক বা বহু সংখ্যক হোক। জিনিসগুলোর ক্রয়ের সময় মূল্য পৃথকভাবে উল্লেখ করা হোক অথবা সবগুলোর মূল্য একসাথে নির্ধারণ করা হোক—যখন বিক্রয় একই চুক্তিতে হওয়া স্থির থাকে সে পর্যন্ত সে হকদার হয় না। এ সব কথা সে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে যে পর্যন্ত এর বিপরীতে কোনো শর্ত থাকবে না।

মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যাহ অবলম্বনে