শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ Logo কুষ্টিয়ায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনায় কেন্দ্রসচিবসহ ৬ জনকে অব্যাহতি Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠিত Logo ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo নির্মম ভাবে সোহাগ হত্যার ঘটনায় ইবিতে বিক্ষোভ Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিক অপু চৌধুরীকে সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে মসজিদে খতিবকে কুপিয়ে জখম

মেহেরপুরে পেঁপে চাষে কৃষকরা সফল !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:০৫:৩২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

জেলার কৃষকরা এবার সবজি চাষের পাশাপাশি অর্থকরী সবজি হিসেবে পেঁপে চাষ করে সফলতা পেয়েছে। অথচ বেশ কয়েক বছর ধরে ধান, পাট, গম ভুট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করে মেহেরপুরের কৃষকরা একইভাবে লোকসান গুনেছে।

গত কয়েক বছরে মেহেরপুরে পেঁপে চাষ করে বেশ কয়েকজন পেঁপে চাষি লাভবান হয়েছে। তাদের লাভবান হওয়াতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে অনেকে পেঁপে চাষে। জাতিধর্ম নির্বিশেষে সবশ্রেণী পেশার মানুষের খাদ্য তালিকায সবজি হিসেবে পেঁপে প্রিয় তরকারি।

হোমিওপ্যাথিতে পেঁপে ক্যারিকা নামে পরিচিত। পেঁপে শাখাবিহীন সোজা গাছ। এটি ২০ থেকে ২৫ ফুট পর্যন্ত উচু হয়। চারা রোপনের পর ৪০ দিন বয়স হলেই গাছে ফুল আসে। দুইমাস বয়স থেকে ফল পাওয়া যায়। পানি জমে এমন স্থান বাদে সব ধরনের জমিতেই পেঁপে গাছ হয়। এই পেঁপে বর্তমানে মেহেরপুর জেলায় অর্থকরী ফল। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এখন পেঁপে চাষ হচ্ছে। বড় ধরনের ঝড় হলে গাছ ভেঙ্গে পড়ে। একবিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করা যায়। মেহেরপুর জেলায় ২৬০ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করা হয়েছে।

সদর উপজেলার আমঝুপিতে বেশ কয়েকজন পেঁপে চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এদের মধ্যে জিল্লুর রহমান অন্যতম। তিনি ১১ বছর ধরে তিনবিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করে আসছেন। চলতি বছর তিনবিঘা জমিতে পেঁপে চাষে তার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত একলাখ টাকার পেঁপে বিক্রি হয়েছে। এখনও দেড় লাখ টাকার পেঁপে বিক্রির আশা করছেন তিনি। ওই গ্রামের হোসেন আলী, বাবর আলী, রহমত হোসেন সহ অনেকেই পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

জিল্লুর রহমান জানান, গত ১০ বছর ধরে পেঁপে চাষে এ পর্যন্ত কোনবছর লোকসান হয়নি। এখন প্রতিদিনই জমি থেকে এক হাজার থেকে ১২শ টাকার পেঁপে বিক্রি করেন। বেশ কয়েকবছর ধান, পাট, তামাক, আলু ও অন্যান্য আবাদে লোকসানের মুখে পড়াতে পেঁপেচাষে ঝুঁকছে কৃষকরা।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা চায়না পারভীন জানান, কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে এই পেঁপেচাষে। বড় ধরনের দুর্যোগে পেঁপেগাছ ভেঙ্গে না পড়লে লাভবান হওয়া যায় এই পেঁপে চাষে।

 

পুষ্টিগুণে ভরা পাকা পেঁপে রোগীদের জন্য উপকারী। কৃষকদের উৎপাদিত পেঁপে সরকারি পর্যায়ে ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হলে কৃষকরা আরও বেশি উৎসাহিত হবে পেঁপে চাষে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা

মেহেরপুরে পেঁপে চাষে কৃষকরা সফল !

আপডেট সময় : ০২:০৫:৩২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

জেলার কৃষকরা এবার সবজি চাষের পাশাপাশি অর্থকরী সবজি হিসেবে পেঁপে চাষ করে সফলতা পেয়েছে। অথচ বেশ কয়েক বছর ধরে ধান, পাট, গম ভুট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করে মেহেরপুরের কৃষকরা একইভাবে লোকসান গুনেছে।

গত কয়েক বছরে মেহেরপুরে পেঁপে চাষ করে বেশ কয়েকজন পেঁপে চাষি লাভবান হয়েছে। তাদের লাভবান হওয়াতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে অনেকে পেঁপে চাষে। জাতিধর্ম নির্বিশেষে সবশ্রেণী পেশার মানুষের খাদ্য তালিকায সবজি হিসেবে পেঁপে প্রিয় তরকারি।

হোমিওপ্যাথিতে পেঁপে ক্যারিকা নামে পরিচিত। পেঁপে শাখাবিহীন সোজা গাছ। এটি ২০ থেকে ২৫ ফুট পর্যন্ত উচু হয়। চারা রোপনের পর ৪০ দিন বয়স হলেই গাছে ফুল আসে। দুইমাস বয়স থেকে ফল পাওয়া যায়। পানি জমে এমন স্থান বাদে সব ধরনের জমিতেই পেঁপে গাছ হয়। এই পেঁপে বর্তমানে মেহেরপুর জেলায় অর্থকরী ফল। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এখন পেঁপে চাষ হচ্ছে। বড় ধরনের ঝড় হলে গাছ ভেঙ্গে পড়ে। একবিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করা যায়। মেহেরপুর জেলায় ২৬০ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করা হয়েছে।

সদর উপজেলার আমঝুপিতে বেশ কয়েকজন পেঁপে চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এদের মধ্যে জিল্লুর রহমান অন্যতম। তিনি ১১ বছর ধরে তিনবিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করে আসছেন। চলতি বছর তিনবিঘা জমিতে পেঁপে চাষে তার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত একলাখ টাকার পেঁপে বিক্রি হয়েছে। এখনও দেড় লাখ টাকার পেঁপে বিক্রির আশা করছেন তিনি। ওই গ্রামের হোসেন আলী, বাবর আলী, রহমত হোসেন সহ অনেকেই পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

জিল্লুর রহমান জানান, গত ১০ বছর ধরে পেঁপে চাষে এ পর্যন্ত কোনবছর লোকসান হয়নি। এখন প্রতিদিনই জমি থেকে এক হাজার থেকে ১২শ টাকার পেঁপে বিক্রি করেন। বেশ কয়েকবছর ধান, পাট, তামাক, আলু ও অন্যান্য আবাদে লোকসানের মুখে পড়াতে পেঁপেচাষে ঝুঁকছে কৃষকরা।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা চায়না পারভীন জানান, কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে এই পেঁপেচাষে। বড় ধরনের দুর্যোগে পেঁপেগাছ ভেঙ্গে না পড়লে লাভবান হওয়া যায় এই পেঁপে চাষে।

 

পুষ্টিগুণে ভরা পাকা পেঁপে রোগীদের জন্য উপকারী। কৃষকদের উৎপাদিত পেঁপে সরকারি পর্যায়ে ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হলে কৃষকরা আরও বেশি উৎসাহিত হবে পেঁপে চাষে।