প্রতিনিধি, রাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এডুকেশন ক্লাবের আয়োজনে পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতার প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলে, এরপর বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদের উপস্থিতিতে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় অ্যাকাডেমিক গবেষণা ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন রুয়েটের মাহমুদ হাসান। প্রথম রানার আপ হিসেবে নির্বাচিত হন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. জান্নাতুল ফেরদৌস এবং দ্বিতীয় রানার আপের স্থান অর্জন করেন এক্সিম ব্যাংক এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের আবদুল আহাদ। সাধারণ থিম ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিহা খান, প্রথম রানার আপ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইশা মালিহা, আর দ্বিতীয় রানার আপের স্থান অর্জন করেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটির মারিয়া আমিন।
এসময় বিজয়ীদের মধ্যে মোট ১০,০০০ টাকা অর্থমূল্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। চ্যাম্পিয়নকে ২,৫০০ টাকা, প্রথম রানার আপকে ১,৫০০ টাকা এবং দ্বিতীয় রানার আপকে ১,০০০ টাকা করে পুরস্কৃত করা হয়। এ প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণার আগ্রহ সৃষ্টি এবং বিভিন্ন সামাজিক, পরিবেশগত, বৈজ্ঞানিক ও মানবিক সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করা।
প্রতিযোগিতায় অ্যাকাডেমিক গবেষণার জন্য কলা, সমাজবিজ্ঞান, ব্যবসা এবং বিজ্ঞান-প্রকৌশল অন্তর্ভুক্ত ছিল, আর সাধারণ থিমে পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ, সামাজিক সমস্যা, বৈশ্বিক সমস্যা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, নৈতিকতা এবং মানবাধিকার নিয়ে উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, “বিশ্ব এখন গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের শিক্ষার্থীদেরও এ ক্ষেত্রে মনোযোগী হতে হবে। গবেষণা শুধু জ্ঞান নয়, দেশের উন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের কাজ উদ্ভাবনের নতুন যাত্রার সূচনা বলেই মনে হচ্ছে।
” আরেক উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মাঈন উদ্দিন খান জানান, “এসব আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি বজায় রাখার পাশাপাশি তা এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান সমৃদ্ধিতে সামাজিক সংগঠনগুলোর ভূমিকা অপরিহার্য। আমি আশা করি, আরইউআরএস রিসার্চ ও উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, “গবেষণা কেবল কিতাবি বিষয় নয়, এটি গভীর আবেগ ও ভালোবাসার জায়গা। একবার গবেষণার স্বাদ পেলে, থামা যায় না। গবেষণা আমাদের চিন্তা ও উদ্ভাবন শক্তিকে প্রসারিত করে, যা ব্যক্তি ও সমাজের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
” অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য দেন ক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সালেহ হাসান নকীব, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মাঈন উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. ফরিদ উদ্দিন খান, ক্লাবের উপদেষ্টা ড. রুরাইয়াত জাহান এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আদিল হাসান চৌধুরীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।