শিরোনাম :
Logo শেরপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার Logo হিটের প্রকল্প মূল্যায়নে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হচ্ছে: ইউজিসি চেয়ারম্যান Logo পলাশবাড়ী কালীবাড়ী বাজারে অবৈধ দখল উচ্ছেদ Logo পলাশবাড়ীতে ইউপি সদস্যের  হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে একদল দুর্বৃত্তরা  Logo ঝালকাঠির নবগ্রাম কৃষি ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে সরেজমিনে ডিজিএম Logo সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে জর্জরিত দেশের শিল্পাঙ্গন বিনোদন প্রতিবেদন Logo ইবি কারাতে ক্লাবের নেতৃত্বে নোমান-সাদিয়া Logo গৌরবের অষ্টম বর্ষে আলোর দিশার পদার্পণে থাকছে নানা আয়োজন Logo শিক্ষার্থীদের রিটেক সমস্যা সমাধানে গাফিলতির অভিযোগ যবিপ্রবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে  Logo নতুন ভবনেই বদলে যাবে সফিবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র”

একটি প্রত্যয়ন, জামিন, আলোচনা—সমালোচনা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:০৯:২৯ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

সন্ত্রাস দমন আইনে গ্রেফতারের একদিন পর জামিন লাভ করেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এ কে এম শফিকুল আলম। তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

অ্যাড. এ কে এম শফিকুল আলমের পক্ষে দেওয়া জেলা আইনজীবী সমিতির একটি প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে আলোচনা—সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মুখে মুখে থেকে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বর্তমান জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. মারুফ আহমেদ বিজন। তিনি একদিকে যেমন বিএনপির শীর্ষ নেতা, অপরদিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিও। বর্তমানে তিনি পড়েছেন দোটানায়, ‘শ্যাম রাখি না কুল রাখ ‘ অবস্থায় পড়েছেন তিনি।

প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে ফেসবুকে কেন্দ্রীয় যুবদলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রিন্স আহমেদ ইমরান লিখেছেন, “জুলাই—আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতে করেছে। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সফিকুল আলমের জামিনদার হলেন মেহেরপর মেহেরপুর সদর থানা বিএনপি সভাপতি মারুফ আহম্মেদ বিজন ভাই। শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করবেন না, তাহলে মানুষ ক্ষমা করবে না ।”

প্রিন্স আহমেদ ইমরানের স্ট্যাটাসে অ্যাড. এহান উদ্দিন মনা লিখেছেন, আসলে ভাই তোমাদের বিষয়টা জানার ভুল আছে। বিজন ভাই ঐখানে রাজনৈতিক ব্যাক্তি হিসাবে সাক্ষর করেন নাই উনি মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ওনার জিম্মায় মেহেরপুর জেলা জজ সাহেব জামিন দিয়েছে। এখানে বিজন ভাই নয় সভাপতি হিসেবে যে দায়িত্বে থাকতো তাকেই এই দায়িত্বটা পালন করতে হতো আইনজীবী হিসাবে। সুতরাং আপনাদের ভাবনাটা সম্পূর্ণই ভুল।

প্রতি উত্তরে প্রিন্স আহমেদ ইমরান লিখেছেন, “এহান উদ্দিন মনা, আওয়ামী লীগের সাথে কিসের সৌজন্যতা। যারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয় নাই তাদের সাথে কিসের সৌজন্যতা।”

নাজমুল হোসেন নামের একজন এহান উদ্দিনকে মেনশন করে লিখেছেন, “২০১৮ শফিকুল আলম সভাপতি ছিল তখন বিএনপির কয়টা আইনজীবীর জিম্মাদার হয়েছিল বলবেন কি? এমন কোন ডকুমেন্ট আছে।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মী অ্যাড, শফিকুল আলমের মামলার নথি ও জেলা আইনজীবী সমিতির প্রত্যায়ন পত্রও পাঠিয়েছেন মেহেরপুর প্রতিদিন কার্যালয়ে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

একটি প্রত্যয়ন, জামিন, আলোচনা—সমালোচনা

আপডেট সময় : ১০:০৯:২৯ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

সন্ত্রাস দমন আইনে গ্রেফতারের একদিন পর জামিন লাভ করেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এ কে এম শফিকুল আলম। তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

অ্যাড. এ কে এম শফিকুল আলমের পক্ষে দেওয়া জেলা আইনজীবী সমিতির একটি প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে আলোচনা—সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মুখে মুখে থেকে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বর্তমান জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. মারুফ আহমেদ বিজন। তিনি একদিকে যেমন বিএনপির শীর্ষ নেতা, অপরদিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিও। বর্তমানে তিনি পড়েছেন দোটানায়, ‘শ্যাম রাখি না কুল রাখ ‘ অবস্থায় পড়েছেন তিনি।

প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে ফেসবুকে কেন্দ্রীয় যুবদলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রিন্স আহমেদ ইমরান লিখেছেন, “জুলাই—আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতে করেছে। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সফিকুল আলমের জামিনদার হলেন মেহেরপর মেহেরপুর সদর থানা বিএনপি সভাপতি মারুফ আহম্মেদ বিজন ভাই। শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করবেন না, তাহলে মানুষ ক্ষমা করবে না ।”

প্রিন্স আহমেদ ইমরানের স্ট্যাটাসে অ্যাড. এহান উদ্দিন মনা লিখেছেন, আসলে ভাই তোমাদের বিষয়টা জানার ভুল আছে। বিজন ভাই ঐখানে রাজনৈতিক ব্যাক্তি হিসাবে সাক্ষর করেন নাই উনি মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ওনার জিম্মায় মেহেরপুর জেলা জজ সাহেব জামিন দিয়েছে। এখানে বিজন ভাই নয় সভাপতি হিসেবে যে দায়িত্বে থাকতো তাকেই এই দায়িত্বটা পালন করতে হতো আইনজীবী হিসাবে। সুতরাং আপনাদের ভাবনাটা সম্পূর্ণই ভুল।

প্রতি উত্তরে প্রিন্স আহমেদ ইমরান লিখেছেন, “এহান উদ্দিন মনা, আওয়ামী লীগের সাথে কিসের সৌজন্যতা। যারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয় নাই তাদের সাথে কিসের সৌজন্যতা।”

নাজমুল হোসেন নামের একজন এহান উদ্দিনকে মেনশন করে লিখেছেন, “২০১৮ শফিকুল আলম সভাপতি ছিল তখন বিএনপির কয়টা আইনজীবীর জিম্মাদার হয়েছিল বলবেন কি? এমন কোন ডকুমেন্ট আছে।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মী অ্যাড, শফিকুল আলমের মামলার নথি ও জেলা আইনজীবী সমিতির প্রত্যায়ন পত্রও পাঠিয়েছেন মেহেরপুর প্রতিদিন কার্যালয়ে।