শিরোনাম :
Logo কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট Logo লক্ষ্মীপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দের নগদ অর্থ প্রদান Logo বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চাঁদপুরে স্মরণকালের বর্ণাঢ্য র‌্যালি Logo জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo শ্রীরাধার প্রেম ও প্রার্থনায় মুখর ইবির টিএসএসসি প্রাঙ্গণ Logo চবি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ Logo রাকসু নিয়ে উত্তেজনা ; বক্তব্য দেওয়ার সময় শিবির সভাপতির বুকে বোতল নিক্ষেপ Logo মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পানির ফিল্টার দিলেন স্বেচ্ছাসেবী নারী উদ্যোক্তা সংগঠন বিজয়ী Logo চাঁদপুরে মাদক নির্মূলে সাহসিকতার সাথে কাজ করছে সহকারী পরিচালক মুহাঃ মিজানুর রহমান Logo পশ্চিম ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে সংবর্ধনা – ঐক্যবদ্ধভাবে মিলনকে এমপি করার অঙ্গীকার

জুয়েলারি শিল্পের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা গ্রহণে ডিএমপির কাছে বাজুসের চিঠি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:১২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে

জুয়েলারি শিল্পের নিরাপত্তার বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বরাবর চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বাজুস দেশের প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী ঐতিহ্যবাহী, সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন। আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা এবং দেশীয় স্বর্ণ শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা করা।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সুযোগে দুষ্কৃতিকারীরা জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানকে তাদের মূল লক্ষ্যে পরিণত করেছে।

ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরীর ৫টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। এ সকল ঘটনায় জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

এতে আরও বলা হয়, স্বর্ণের অলংকার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহনের ক্ষেত্রে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা প্রায়শই ছিনতাইসহ প্রশাসনিক হয়রানির শিকার হন। যা এই শিল্পের বিকাশে অন্তরায়। তাই জুয়েলারী শিল্পের বিকাশে বাজুসের পক্ষ থেকে নিম্নবর্ণিত প্রস্তাবনা পেশ করা হলো:

১. জুয়েলারি মার্কেট/প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

২. জুয়েলারি মার্কেট/প্রতিষ্ঠানের সামনে সার্বক্ষণিক সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা

৩. এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্বর্ণ পরিবহনের ক্ষেত্রে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক প্রায়ই হয়রানীর শিকার হয়। এ ক্ষেত্রে স্বর্ণের অলংকার পরিবহনের সময় প্রতিষ্ঠানের চালানের কপি, বহনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও বাজুসের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে কোনরূপ হয়রানী না করে তার যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

৪. স্বর্ণ একটি মূল্যবান ধাতু। কিন্তু জুয়েলারি দোকানের চুরির ঘটনায় থানাগুলো দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সাধারণ চুরির মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। আমরা এই আইন পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছি।

 

৫. সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর রামপুরাস্থ মোল্লা টাওয়ারের দি মনিকা জুয়েলার্স ও সুলতানা জুয়েলার্স, মোহাম্মদপুর টোকিও স্কয়ার মার্কেটের নিউ আনাস জুয়েলার্স, মিরপুর-১০ এ এফ এস স্কয়ার শপিং কমপ্লেক্সের আবান গোল্ড ও স্পার্কেল জুয়েলার্সে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় চুরিকৃত স্বর্ণের অলংকার ও নগদ টাকা উদ্ধার এবং এ ঘটনায় জড়িত চোর চক্রদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। এই অবস্থায় জুয়েলারি শিল্পের নিরাপত্তায় বর্ণিত প্রস্তাবনা বিবেচনা করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।

ট্যাগস :

কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট

জুয়েলারি শিল্পের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা গ্রহণে ডিএমপির কাছে বাজুসের চিঠি

আপডেট সময় : ০১:৩৮:১২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জুয়েলারি শিল্পের নিরাপত্তার বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বরাবর চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বাজুস দেশের প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী ঐতিহ্যবাহী, সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন। আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা এবং দেশীয় স্বর্ণ শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা করা।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সুযোগে দুষ্কৃতিকারীরা জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানকে তাদের মূল লক্ষ্যে পরিণত করেছে।

ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরীর ৫টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। এ সকল ঘটনায় জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

এতে আরও বলা হয়, স্বর্ণের অলংকার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহনের ক্ষেত্রে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা প্রায়শই ছিনতাইসহ প্রশাসনিক হয়রানির শিকার হন। যা এই শিল্পের বিকাশে অন্তরায়। তাই জুয়েলারী শিল্পের বিকাশে বাজুসের পক্ষ থেকে নিম্নবর্ণিত প্রস্তাবনা পেশ করা হলো:

১. জুয়েলারি মার্কেট/প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

২. জুয়েলারি মার্কেট/প্রতিষ্ঠানের সামনে সার্বক্ষণিক সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা

৩. এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্বর্ণ পরিবহনের ক্ষেত্রে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক প্রায়ই হয়রানীর শিকার হয়। এ ক্ষেত্রে স্বর্ণের অলংকার পরিবহনের সময় প্রতিষ্ঠানের চালানের কপি, বহনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও বাজুসের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে কোনরূপ হয়রানী না করে তার যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

৪. স্বর্ণ একটি মূল্যবান ধাতু। কিন্তু জুয়েলারি দোকানের চুরির ঘটনায় থানাগুলো দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সাধারণ চুরির মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। আমরা এই আইন পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছি।

 

৫. সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর রামপুরাস্থ মোল্লা টাওয়ারের দি মনিকা জুয়েলার্স ও সুলতানা জুয়েলার্স, মোহাম্মদপুর টোকিও স্কয়ার মার্কেটের নিউ আনাস জুয়েলার্স, মিরপুর-১০ এ এফ এস স্কয়ার শপিং কমপ্লেক্সের আবান গোল্ড ও স্পার্কেল জুয়েলার্সে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় চুরিকৃত স্বর্ণের অলংকার ও নগদ টাকা উদ্ধার এবং এ ঘটনায় জড়িত চোর চক্রদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। এই অবস্থায় জুয়েলারি শিল্পের নিরাপত্তায় বর্ণিত প্রস্তাবনা বিবেচনা করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।