বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় অর্থের বিনিময়ে ও ভাগবাটোয়ারার মাধ্যমে ব্যবসায়ি নন এমন ব্যক্তিদের ডিলার হিসাবে নিয়োগ প্রদানের পর হতে নিজ কার্যালয়ে আসছেন না উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (টিসিএফ) মমিনুর রশিদ সিদ্দিকী। এ নিয়োগ প্রদানের পর হতে তিনি লাপাত্তা হয়েছেন।
জানা যায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১২ মার্চ ২০২৫ খ্রি. তারিখের ১৩,০০,০০০,০০০,০৪৬,৩৬,০০০১,২০.৮৩ নং স্মারক ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নীতিমালা, ২০২৪ এর নীতি ৫ এর উপনীতি ৫.২ এর ক্রমিক (ট) অনুযায়ী উপজেলা কমিটির অনুমোদনক্রমে পলাশবাড়ী উপজেলার ৮ (আট) টি ইউনিয়নের জন্য খাদ্যবান্ধব ২১ জন ডিলার নিয়োগ করার আদেশ প্রদান করেন।
গত ৯ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মমিনুর রশিদ সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত পত্রে এ নিয়োগ চুড়ান্ত করা হয়। এরপর হতে স্থানীয় ব্যবসায়িরা উক্ত নিয়োগ বাতিলের ও লটারির মাধ্যমে ডিলার নিয়োগের দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন।
তবে অনিয়মের বিষয়ে জানাতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব মমিনুর রশিদ সিদ্দিকী কে একাধিক বার ফোন করে বা অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এবিষয়ে খাদ্য কর্মকর্তা বলতে পারবেন।
উল্লেখ্য,পলাশবাড়ী উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব ডিলার নিয়োগের আবেদন করেন মোট ৮২ জন ব্যবসায়ি এর মধ্যে হতে অর্থের বিনিময়ে ও ভাগবাটোয়ারা করে ব্যবসায়ি নন এমন ব্যক্তিসহ ২১ জন কে খাদ্য বান্ধব ডিলার নিয়োগ প্রদান করায় ব্যবসায়ি সমাজের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।