আর্থিক খাত সংস্কারে বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ডলার ঋণসহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এই ঋণের মধ্যে পলিসি বেসড লোন হিসেবে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার এবং ইনভেস্টমেন্ট লোন ও গ্যারান্টি ফ্যাসিলিটি হিসেবে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা দেয়া হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের বোর্ডে এ ঋণ অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে ঋণ পেতে তিনটি শর্ত পালন করতে হবে বাংলাদেশকে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। শর্ত গুলো-
১. বেসরকারি খাতে অ্যাসেস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি করা।
২. আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে খেলাপি ঋণের নতুন সংজ্ঞায়ন করা।
৩. নতুন গঠিত টাস্তফোর্সের অডিট ফার্মের কার্যবিবরণী বিশ্বব্যাংকে উপস্থাপন করা।
এর আগ গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রায় ১০০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা চেয়ে বিশ্বব্যাংককে চিঠি দেয় সরকার। দুই কিস্তিতে ৫০ কোটি ডলার করে এই অর্থ চায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
ইআরডির একটি দায়িত্বশীল সূত্র তখন জানায়, বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে বিশ্বব্যাংকের একটি দল সংস্থাটির যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের প্রধান কার্যালয় থেকে ঢাকায় আসছে। অবশ্য দলটি অর্থনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবে।