সাম্প্রতিক বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, বন্যা পরবর্তী করণীয় বিষয়ে কৃষি প্রণোদনা বাড়ানো ও পুনর্বাসন কর্মসূচি জোরদারসহ ১২ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে বন্যা কবলিত ঝুঁকিপূর্ণ গুদামে রক্ষিত সার নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে অনলাইনে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কৃষি মন্ত্রণালয় আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার সমন্বয়ে সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত গুলো হলো-
- অতিরিক্ত পরিচালক, উপপরিচালক, উপজেলা কৃষি অফিসার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারগণের সমন্বয়ে টিম গঠন করে দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্ভাব্য করণীয় নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
- চলমান কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি জোরদার করতে হবে।
- বন্যায় ক্ষতি মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত জাতের আমন ধানের বীজের পর্যাপ্ত সংস্থান ও সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
- অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় আপদকালীন বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করতে হবে।
- নাবী জাতের রোপা আমন ধান চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিতে হবে।
- নাবী জাতের ধানের বীজ দেশের বন্যামুক্ত এলাকা হতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
- বন্যা কবলিত ঝুঁকিপূর্ণ গুদামে রক্ষিত সার নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে।
- আগাম জাতের শীতকালীন সবজি উৎপাদনের বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
- বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার লক্ষ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণপূর্বক মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করতে হবে।
- বন্যা দুর্গত এলাকার কৃষি অফিসসমূহে সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা।
- বন্যা দুর্গত এলাকার সার্বক্ষণিক তথ্য সরবরাহের লক্ষ্যে উপজেলা, জেলা, অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপনপূর্বক হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
- বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি অফিসসমূহের মালামাল নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করতে হবে।