শিরোনাম :
Logo জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo শ্রীরাধার প্রেম ও প্রার্থনায় মুখর ইবির টিএসএসসি প্রাঙ্গণ Logo চবি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ Logo রাকসু নিয়ে উত্তেজনা ; বক্তব্য দেওয়ার সময় শিবির সভাপতির বুকে বোতল নিক্ষেপ Logo মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পানির ফিল্টার দিলেন স্বেচ্ছাসেবী নারী উদ্যোক্তা সংগঠন বিজয়ী Logo চাঁদপুরে মাদক নির্মূলে সাহসিকতার সাথে কাজ করছে সহকারী পরিচালক মুহাঃ মিজানুর রহমান Logo পশ্চিম ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে সংবর্ধনা – ঐক্যবদ্ধভাবে মিলনকে এমপি করার অঙ্গীকার Logo ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি Logo খুবিতে প্রথম আলো বন্ধুসভা ও খুবিসাস আয়োজিত কর্মশালা Logo কচুয়ার পূর্ব বিতারা জামালিয়া নূরানী হাফেজিয়া মাদরাসায় ছাত্রদের সবক প্রদান ও দোয়া মাহফিল

বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবার আন্দোলনে নেমেছেন প্রকাশকেরা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:০১:৩৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৫৯ বার পড়া হয়েছে

দেশের চলমান সংস্কার আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতিতে। দেশের অন্যতম বৃহৎ এই সংঠনের ভেতরে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা। সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে সাধারণ প্রকাশকেরা।

আন্দোলনরত প্রকাশকেরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ প্রকাশকেরা মিলে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।

বিভিন্ন সরকারি প্রজেক্ট একচেটিয়া ভাবে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন নিজেদের মধ্যে।

অন্যদিকে বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের ট্রেড অর্গানাইজেশন রুলস অনুযায়ী, দুই বছর পর পর নির্বাচন হওয়ার নিয়ম থাকলের গত আট বছর ধরে কোনো নির্বাচনের আয়োজন করেনি সংগঠনটি।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির বর্তমান সভাপতি আরিফ হেসেন ছোটন একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত ৪৩ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রকাশকেরা অভিযোগ করছেন, তার এই রাজনৈতিক ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে সমিতিতেও নিজস্ব বলয় তৈরি করেছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরেও নিজে আত্মগোপনে থেকে নিজস্ব আওয়ামীপন্থী সিন্ডিকেট কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার পায়তারা করছেন বলে দাবি করছেন আন্দোলনরত প্রকাশকেরা।

বর্তমানে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দাবি করছেন জুপিটার পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী ও পুস্তক প্রকাশক সমিতির পরিচালক কায়সার ই আলম প্রধান। বাংলাবাজারের সাধারণ প্রকাশকেরা বলছেন, তিনি ও আরিফ হেসেন ছোটন ছাত্র জনতার আন্দোলন দমাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।

এদিকে, আন্দোলনরত সাধারণ প্রকাশকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সমিতির সকল পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক দুইবারের নির্বাচিত সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন। তিনি সংগঠনের পরিচালক ও রাজধানী শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তিনি বলেন, আজ যখন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সারা দেশ উত্তাল, সেখানে আমাদের প্রাণের সংগঠনে আট বছর ধরে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। সিন্ডিকেট ও নিজস্ব বলয়ে পরিচালিত হচ্ছে। সাধারণ প্রকাশকদের সঙ্গে এটাই তো সবচেয়ে বড় বৈষম্য। সবচেয়ে বড় প্রহসন। আমরা এর অবসান চাই। তাই আন্দোলনরত প্রকাশকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আমি সকল পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।

এ বিষয়ে প্রকাশনা সংস্থা অনন্যার স্বত্বাধিকারী সিনিয়র প্রকাশক মনিরুল হক বলেন, আমরা সংস্কার চাই। একচেটিয়া সিন্ডিকেটের বিপুপ্তি চাই্। আমরা চাই আইন অনুযায়ী একটি স্বচ্ছ নির্বাচন হোক। সারা বাংলাদেশের পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতারা যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, তারাই আমাদেরকে নেতৃত্ব দেবেন। সংগঠনের স্বচ্ছতার দাবিতে যারা আন্দোলন করছে আমি তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি।

চলমান আন্দোলন ও সংগঠনের অস্থিরতা সম্পর্কে আরেক পরিচালক ও পারফেক্ট পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী কাজী জহিরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা আমাদের সংগঠনের সংস্কার চাই। গণতান্ত্রিক পরিবেশ চাই। স্বচ্ছ একটি নির্বাচন চাই। সাধারণ প্রকাশকেরা যে আন্দোলন করছেন, তাকে আমি ন্যায্য মনে করি। তারদেকে সমর্থন জানাই।

বিরাজমান সংকট ও আনীত অভিযোগ সম্পর্কে আত্মগোপনে থাকা সভাপতি আরিফ হেসেন ছোটনকে ফোন করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করা কায়সার ই আলম প্রধানকে বারবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবার আন্দোলনে নেমেছেন প্রকাশকেরা

আপডেট সময় : ০৮:০১:৩৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ আগস্ট ২০২৪

দেশের চলমান সংস্কার আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতিতে। দেশের অন্যতম বৃহৎ এই সংঠনের ভেতরে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা। সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে সাধারণ প্রকাশকেরা।

আন্দোলনরত প্রকাশকেরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ প্রকাশকেরা মিলে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।

বিভিন্ন সরকারি প্রজেক্ট একচেটিয়া ভাবে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন নিজেদের মধ্যে।

অন্যদিকে বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের ট্রেড অর্গানাইজেশন রুলস অনুযায়ী, দুই বছর পর পর নির্বাচন হওয়ার নিয়ম থাকলের গত আট বছর ধরে কোনো নির্বাচনের আয়োজন করেনি সংগঠনটি।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির বর্তমান সভাপতি আরিফ হেসেন ছোটন একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত ৪৩ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রকাশকেরা অভিযোগ করছেন, তার এই রাজনৈতিক ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে সমিতিতেও নিজস্ব বলয় তৈরি করেছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরেও নিজে আত্মগোপনে থেকে নিজস্ব আওয়ামীপন্থী সিন্ডিকেট কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার পায়তারা করছেন বলে দাবি করছেন আন্দোলনরত প্রকাশকেরা।

বর্তমানে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দাবি করছেন জুপিটার পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী ও পুস্তক প্রকাশক সমিতির পরিচালক কায়সার ই আলম প্রধান। বাংলাবাজারের সাধারণ প্রকাশকেরা বলছেন, তিনি ও আরিফ হেসেন ছোটন ছাত্র জনতার আন্দোলন দমাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।

এদিকে, আন্দোলনরত সাধারণ প্রকাশকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সমিতির সকল পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক দুইবারের নির্বাচিত সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন। তিনি সংগঠনের পরিচালক ও রাজধানী শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তিনি বলেন, আজ যখন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সারা দেশ উত্তাল, সেখানে আমাদের প্রাণের সংগঠনে আট বছর ধরে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। সিন্ডিকেট ও নিজস্ব বলয়ে পরিচালিত হচ্ছে। সাধারণ প্রকাশকদের সঙ্গে এটাই তো সবচেয়ে বড় বৈষম্য। সবচেয়ে বড় প্রহসন। আমরা এর অবসান চাই। তাই আন্দোলনরত প্রকাশকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আমি সকল পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।

এ বিষয়ে প্রকাশনা সংস্থা অনন্যার স্বত্বাধিকারী সিনিয়র প্রকাশক মনিরুল হক বলেন, আমরা সংস্কার চাই। একচেটিয়া সিন্ডিকেটের বিপুপ্তি চাই্। আমরা চাই আইন অনুযায়ী একটি স্বচ্ছ নির্বাচন হোক। সারা বাংলাদেশের পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতারা যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, তারাই আমাদেরকে নেতৃত্ব দেবেন। সংগঠনের স্বচ্ছতার দাবিতে যারা আন্দোলন করছে আমি তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি।

চলমান আন্দোলন ও সংগঠনের অস্থিরতা সম্পর্কে আরেক পরিচালক ও পারফেক্ট পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী কাজী জহিরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা আমাদের সংগঠনের সংস্কার চাই। গণতান্ত্রিক পরিবেশ চাই। স্বচ্ছ একটি নির্বাচন চাই। সাধারণ প্রকাশকেরা যে আন্দোলন করছেন, তাকে আমি ন্যায্য মনে করি। তারদেকে সমর্থন জানাই।

বিরাজমান সংকট ও আনীত অভিযোগ সম্পর্কে আত্মগোপনে থাকা সভাপতি আরিফ হেসেন ছোটনকে ফোন করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করা কায়সার ই আলম প্রধানকে বারবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।