এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্য উপদেষ্টারা। শুক্রবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস হেলিকপ্টারে করে রাজধানীর তেজগাঁও থেকে সাভারে স্মৃতিসৌধে যান। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শুক্রবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রের, সুবিচারের, মানবাধিকারের, নির্ভয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সবার স্বাচ্ছ্যন্দে জীবন ধারণে সরকারের সহযোগিতা সবাই উপভোগ করবেন। এটা আমাদের সরকারের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য পূরণে আমাদের সহায়তা করুন।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতা জয়ী হয়েছেন। সারাবিশ্ব আজ অবাক হয়ে বলছে সাবাশ বাংলাদেশ। সাবাশ বাংলাদেশের ছাত্রজনতা। আমরা এই অর্জনকে আরও অনেকদূর নিয়ে যেতে চাই।
তিনি আরও বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য তরুণদের শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের ছাত্রজনতার জন্য কিছুই অসম্ভব নয়। আমাদের তরুণরা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে, তারা সেজন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকি, সবার জন্য মুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারি, আমাদের বিজয় অবশ্যই হবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর ৬ আগস্ট বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরপর ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে।