শনিবার | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo ভারতীয় নাগরিকের গুলিবর্ষণে সিলেট সীমান্তে ২ বাংলাদেশি নিহত Logo সাতক্ষীরায় জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, গায়েবানা জানাজা ও দোয়া মাহফিল Logo সাংবাদিকদের পাশে থাকবে সরকার: ন্যায়বিচারের আশ্বাস Logo প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত: জাবিসাস Logo হাদি হত্যা ও হামলা-ভাঙচুর; জাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি Logo চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের যৌথ আয়োজনে চাঁদপুরে মাদক বিরোধী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo চাঁদপুরে সর্বোচ্চ একক রেমিট্যান্সে শীর্ষে জনতা ব্যাংক পিএলসি নতুন বাজার কর্পোরেট শাখা Logo বিজয় দিবসে প্যাপিরাস পাঠাগারের আলোচনা সভা ও কবিতাপাঠ Logo বিজয় দিবসে রাঙামাটি পুলিশের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পুলিশ পরিবারকে সংবর্ধনা Logo সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি আব্দুল লতিফের ৪দিন ও তার ছেলের ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসা জরুরি : জাতিসংঘ

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৯:২৯:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০২২
  • ৮০১ বার পড়া হয়েছে

সামরিক বাহিনীর নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের শিগগিরই নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি মনে করেন, রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান জরুরি। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দমন-নিপীড়ন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এর জেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আজ বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে ওই বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।

বিবৃতিতে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের শিগগিরই নিজ দেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এদিকে রাখাইনের বিভিন্ন ক্যাম্পে ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে বন্দী করে রাখা হয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির মানবাধিকার ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা সংকটের পরিপূর্ণ, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসা জরুরি।

গুতেরেস বলেন, মিয়ানমারে ঘটে যাওয়া সব আন্তর্জাতিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহি করতে হবে। একই সঙ্গে মিয়ানমার ও দেশটির মানুষের জন্য একটি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতীয় নাগরিকের গুলিবর্ষণে সিলেট সীমান্তে ২ বাংলাদেশি নিহত

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসা জরুরি : জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ০৯:২৯:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০২২

সামরিক বাহিনীর নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের শিগগিরই নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি মনে করেন, রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান জরুরি। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দমন-নিপীড়ন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এর জেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আজ বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে ওই বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।

বিবৃতিতে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের শিগগিরই নিজ দেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এদিকে রাখাইনের বিভিন্ন ক্যাম্পে ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে বন্দী করে রাখা হয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির মানবাধিকার ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা সংকটের পরিপূর্ণ, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসা জরুরি।

গুতেরেস বলেন, মিয়ানমারে ঘটে যাওয়া সব আন্তর্জাতিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহি করতে হবে। একই সঙ্গে মিয়ানমার ও দেশটির মানুষের জন্য একটি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।