শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির প্রথম সভা Logo নারী শিক্ষার্থীদের কটুক্তির প্রতিবাদে ইবি ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন  Logo তারেক রহমান ও টুকুর খালাসে শিয়ালকোলে মিষ্টি বিতরণ Logo জাবির হল সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মানহানি, ছাত্রদলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ Logo স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত কয়রার জনগণ, নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান  Logo জবির দু’টি হলের কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর Logo সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার মাধ্যমে আমাদের নিয়োগের কাজ হচ্ছে: রাবি উপাচার্য Logo পলাশবাড়ীতে ভিডব্লিউবি তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ। Logo সাতক্ষীরায় কুখ্যাত সন্ত্রাসী কোপা মাসুদসহ গ্রেপ্তার-৩ Logo সিরাজগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় কলেজ ছাত্র কারাগারে

শিশুর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ৫ উপায় !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৬:০০ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৮৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

শিশুর মানসিক বিকাশে তার আত্ববিশ্বাস অনেক বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।  তবে আত্ববিশ্বাস একদিনে তৈরি হয় না। এক্ষেত্রে বাবা-মায়ের সচেতনতা পারে একটি শিশুর মধ্যে আত্ববিশ্বাসের জন্ম দিতে।

বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা শিশু উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ তোবাহ ক্লেন ও অ্যাঞ্জেলা হ্যান্সকম শিশুর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির জন্য ৫ করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।

* নিরাপদ সম্পর্ক গড়ে তুলুন : বার্নাড সেন্টার ফর টডলার ডেভেলপমেন্ট এর পরিচালক এবং ‘হাউ টু টডলার থ্রাইভ’ বইয়ের লেখক তোবাহ ক্লেন বলেন, শিশুর সঙ্গে একটি নিরাপদ সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে তার প্রতি সার্বিক সমর্থন দিন। এতে করে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের একটি শক্ত ভিত তৈরি হবে। তারা ভাবতে শিখবে তারা যাই করুক না কেন তাদের বাবা-মা তাদের সঙ্গেই আছে। এই বিশ্বাসের ফলে শিশুরা অনেক উদ্ভাবনী কাজে আগ্রহী হবে।

* ভুল সংশোধন করবেন না : যখন আপনার শিশু কোনো পাজল সলভ (ধাঁধা সংশোধন) করবে, সেসময় সঠিক দিক নির্দেশনা দিবেন না। তাদেরকে তাদের মতো করে ছেড়ে দিন। এতে করে শিশুরা বারবার ভুল করবে এবং এর মধ্য দিয়ে সঠিক জিনিসটি শিখতে থাকবে। কারণ শিশু মনোসত্ত্বের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, তারা মনে করে তারা কোনো কিছুই ভুল করছে না। ফলে আপনি যখন তাদের ভুল সংশোধন করে দিবেন তখন তাদের মধ্য থেকে সৃজনশীলতা নষ্ট হওয়া শুরু হবে।

* শিশুকে বাইরে ঘুরিয়ে নিয়ে আসুন : পেডিয়াট্রিক অকুপেশনাল থেরাপিস্ট এবং ‘ব্যালেন্স অ্যান্ড বেয়ারফুট’ বইয়ের লেখক অ্যাঞ্জেলা হ্যান্সকম বলেন, খেলাধুলা বা স্রেফ বেড়ানোর জন্য শিশুদের বাইরে নিয়ে যান। কারণ বাইরের পরিবেশে খেলাধুলা করলে তারা বাইরের পরিবেশের ঝুঁকি সম্পর্কে বেশি জানতে পারবে, যা তাদের ঝুঁকি কাটিয়ে আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করবে।

* অধিক প্রশংসা থেকে বিরত থাকুন : ‘তুমি খুব স্মার্ট’- এ জাতীয় প্রশংসা শিশুকে তার প্রকৃত অবস্থান অনুধাবনে বাধার সৃষ্টি করবে। কখনোই শিশুকে অধিক প্রশংসা করবেন না তবে তাদের পরিশ্রমকে মূল্যায়ন করুন। শ্রমের মূল্যায়ন শিশুকে উদ্যামী হতে সহায়তা করবে।

ধরুন, আপনার সন্তান একটি খেলনা বাড়ি তৈরি করলো এবং আপনাকে বললো দেখ বাবা আমি এটি তৈরি করেছি। তখন আপনার উচিত তাকে উৎসাহিত করা। অধিক প্রশংসা নয়, আপানার সঠিক উৎসাহ আপনার শিশুকে সঠিক পথে নিয়ে যাবে।

* সাহস যোগান : শিশুকে কোনো একটি খেলনা পুতুলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে দিন। বিশেষ সমস্যা না আসা পর্যন্ত, শিশুদেরকে নিজস্বভাবে তৈরি হওয়ার স্থান দেওয়া প্রয়োজন। যখন তারা নিজেদের কাজের মধ্যে সমস্যা বুঝতে পারবে, তারা ভবিষ্যতের জন্য আরো বেশি ক্ষমতাপ্রাপ্ত বোধ করবে। কিছু কিছু কঠিন কাজ তাকে দিয়ে করান এবং দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করুন। সাহস যোগান। আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে, ‘আমি এটা করতে পারবো’ এই অনুভূতি তৈরি হবে শিশুর।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির প্রথম সভা

শিশুর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ৫ উপায় !

আপডেট সময় : ০৭:৩৬:০০ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

শিশুর মানসিক বিকাশে তার আত্ববিশ্বাস অনেক বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।  তবে আত্ববিশ্বাস একদিনে তৈরি হয় না। এক্ষেত্রে বাবা-মায়ের সচেতনতা পারে একটি শিশুর মধ্যে আত্ববিশ্বাসের জন্ম দিতে।

বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা শিশু উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ তোবাহ ক্লেন ও অ্যাঞ্জেলা হ্যান্সকম শিশুর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির জন্য ৫ করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।

* নিরাপদ সম্পর্ক গড়ে তুলুন : বার্নাড সেন্টার ফর টডলার ডেভেলপমেন্ট এর পরিচালক এবং ‘হাউ টু টডলার থ্রাইভ’ বইয়ের লেখক তোবাহ ক্লেন বলেন, শিশুর সঙ্গে একটি নিরাপদ সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে তার প্রতি সার্বিক সমর্থন দিন। এতে করে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের একটি শক্ত ভিত তৈরি হবে। তারা ভাবতে শিখবে তারা যাই করুক না কেন তাদের বাবা-মা তাদের সঙ্গেই আছে। এই বিশ্বাসের ফলে শিশুরা অনেক উদ্ভাবনী কাজে আগ্রহী হবে।

* ভুল সংশোধন করবেন না : যখন আপনার শিশু কোনো পাজল সলভ (ধাঁধা সংশোধন) করবে, সেসময় সঠিক দিক নির্দেশনা দিবেন না। তাদেরকে তাদের মতো করে ছেড়ে দিন। এতে করে শিশুরা বারবার ভুল করবে এবং এর মধ্য দিয়ে সঠিক জিনিসটি শিখতে থাকবে। কারণ শিশু মনোসত্ত্বের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, তারা মনে করে তারা কোনো কিছুই ভুল করছে না। ফলে আপনি যখন তাদের ভুল সংশোধন করে দিবেন তখন তাদের মধ্য থেকে সৃজনশীলতা নষ্ট হওয়া শুরু হবে।

* শিশুকে বাইরে ঘুরিয়ে নিয়ে আসুন : পেডিয়াট্রিক অকুপেশনাল থেরাপিস্ট এবং ‘ব্যালেন্স অ্যান্ড বেয়ারফুট’ বইয়ের লেখক অ্যাঞ্জেলা হ্যান্সকম বলেন, খেলাধুলা বা স্রেফ বেড়ানোর জন্য শিশুদের বাইরে নিয়ে যান। কারণ বাইরের পরিবেশে খেলাধুলা করলে তারা বাইরের পরিবেশের ঝুঁকি সম্পর্কে বেশি জানতে পারবে, যা তাদের ঝুঁকি কাটিয়ে আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করবে।

* অধিক প্রশংসা থেকে বিরত থাকুন : ‘তুমি খুব স্মার্ট’- এ জাতীয় প্রশংসা শিশুকে তার প্রকৃত অবস্থান অনুধাবনে বাধার সৃষ্টি করবে। কখনোই শিশুকে অধিক প্রশংসা করবেন না তবে তাদের পরিশ্রমকে মূল্যায়ন করুন। শ্রমের মূল্যায়ন শিশুকে উদ্যামী হতে সহায়তা করবে।

ধরুন, আপনার সন্তান একটি খেলনা বাড়ি তৈরি করলো এবং আপনাকে বললো দেখ বাবা আমি এটি তৈরি করেছি। তখন আপনার উচিত তাকে উৎসাহিত করা। অধিক প্রশংসা নয়, আপানার সঠিক উৎসাহ আপনার শিশুকে সঠিক পথে নিয়ে যাবে।

* সাহস যোগান : শিশুকে কোনো একটি খেলনা পুতুলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে দিন। বিশেষ সমস্যা না আসা পর্যন্ত, শিশুদেরকে নিজস্বভাবে তৈরি হওয়ার স্থান দেওয়া প্রয়োজন। যখন তারা নিজেদের কাজের মধ্যে সমস্যা বুঝতে পারবে, তারা ভবিষ্যতের জন্য আরো বেশি ক্ষমতাপ্রাপ্ত বোধ করবে। কিছু কিছু কঠিন কাজ তাকে দিয়ে করান এবং দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করুন। সাহস যোগান। আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে, ‘আমি এটা করতে পারবো’ এই অনুভূতি তৈরি হবে শিশুর।