শিরোনাম :
Logo শেরপুরে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৫ লক্ষ টাকার চেক প্রদান Logo পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালো ৬ বছরের শিশু জিদান Logo কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ। Logo ড. ইউনূসের নামে দুদকের মামলা বাতিল Logo কৃষিবিদদের বৈষম্য নিরসনে ৫ দফা দাবি প্রদান রাবি শিক্ষার্থীদের Logo বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারি Logo শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার পরও অনশনে অনড় কুয়েট শিক্ষার্থীরা Logo জাল ভিসা নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দূতাবাসের Logo জাল ভিসা নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দূতাবাসের Logo ইন্টারনেটের খরচ কমানোর ঘোষণা, জানা গেল কোন স্তরে কমছে কত

ঝিনাইদহে সারের সংকট, ব্যাহত হচ্ছে ধানের আবাদ

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৩:১৫:২২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৬ আগস্ট ২০২২
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-

আমনের ভরা মৌসুমে ঝিনাইদহে দেখা দিয়েছে রাসায়নিক সারের সংকট। এতে ব্যাহত হচ্ছে ধানের আবাদ। বাধ্য হয়ে বেশি দামে ইউরিয়া, টিএসপিসহ অন্যান্য সার কৃষকদের কিনতে হচ্ছে।

এতে ধানের উৎপাদন খরচ বাড়ার আশঙ্কা তাদের। তবে পর্যাপ্ত সার থাকার দাবি করে কৃষি বিভাগ বলছে, কেউ যাতে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারেন, সে ব্যাপারে নজরদারি করা হচ্ছে।ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডেফলবাড়ীয়া গ্রামের মাঠ। জমিতে সার প্রয়োগ, চারা রোপণ আর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।

জেলার ৬ উপজেলার মাঠে মাঠে চলছে আমন ধান রোপণের কাজ। কোনো জমিতে চলছে রোপণ আবার কোনো জমিতে ছিটানো হচ্ছে রাসায়নিক সার। তবে আমনের এ ভরা মৌসুমে জেলায় দেখা দিয়েছে রাসায়নিক সার সংকট। কৃষকদের অভিযোগ, সংকট দেখিয়ে ডিলাররা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন।

সার সংকটের কারণে আমনের আবাদ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা তাদের। সারের দাম বাড়তি থাকার অভিযোগ করে কৃষকরা জানান, প্রথমে বলে সার নেই। পরে টাকা বেশি দিলে বলে সার আছে। এছাড়া এমনেই বাজারে সবকিছুর দাম অনেক বেশি। তার মধ্যে সারের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের তো বাঁচার মতো পরিবেশ নেই।

এদিকে বাড়তি দাম নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী সার বরাদ্দ কম হওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। সার ব্যবসায়ীরা বলেন, সার গত বারের ‍তুলনায় কম কম মনে হচ্ছে। আমরা সব সার ঠিকমতো পাচ্ছি না। তবে সার সংকটের বিষয়টি অস্বীকার করে ঝিনাইদহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারেন সেজন্য কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সারের কোনো সংকট নেই। আর যদি কেউ বেশি দামে বিক্রি করে আমি কৃষকদের বলেছি, আপনারা রিসিট নিয়ে আসবেন, রিসিটে যদি লেখা থাকে ১৬ টাকার সার ২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সে ব্যবসায়ীর লাইসেন্স স্থগিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, জেলা কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, চলতি আমন মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য প্রায় ৫৩ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া, টিএসপি, ডিওপিসহ রাসায়নিক সারের প্রয়োজন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুরে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৫ লক্ষ টাকার চেক প্রদান

ঝিনাইদহে সারের সংকট, ব্যাহত হচ্ছে ধানের আবাদ

আপডেট সময় : ০৩:১৫:২২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৬ আগস্ট ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-

আমনের ভরা মৌসুমে ঝিনাইদহে দেখা দিয়েছে রাসায়নিক সারের সংকট। এতে ব্যাহত হচ্ছে ধানের আবাদ। বাধ্য হয়ে বেশি দামে ইউরিয়া, টিএসপিসহ অন্যান্য সার কৃষকদের কিনতে হচ্ছে।

এতে ধানের উৎপাদন খরচ বাড়ার আশঙ্কা তাদের। তবে পর্যাপ্ত সার থাকার দাবি করে কৃষি বিভাগ বলছে, কেউ যাতে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারেন, সে ব্যাপারে নজরদারি করা হচ্ছে।ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডেফলবাড়ীয়া গ্রামের মাঠ। জমিতে সার প্রয়োগ, চারা রোপণ আর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।

জেলার ৬ উপজেলার মাঠে মাঠে চলছে আমন ধান রোপণের কাজ। কোনো জমিতে চলছে রোপণ আবার কোনো জমিতে ছিটানো হচ্ছে রাসায়নিক সার। তবে আমনের এ ভরা মৌসুমে জেলায় দেখা দিয়েছে রাসায়নিক সার সংকট। কৃষকদের অভিযোগ, সংকট দেখিয়ে ডিলাররা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন।

সার সংকটের কারণে আমনের আবাদ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা তাদের। সারের দাম বাড়তি থাকার অভিযোগ করে কৃষকরা জানান, প্রথমে বলে সার নেই। পরে টাকা বেশি দিলে বলে সার আছে। এছাড়া এমনেই বাজারে সবকিছুর দাম অনেক বেশি। তার মধ্যে সারের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের তো বাঁচার মতো পরিবেশ নেই।

এদিকে বাড়তি দাম নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী সার বরাদ্দ কম হওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। সার ব্যবসায়ীরা বলেন, সার গত বারের ‍তুলনায় কম কম মনে হচ্ছে। আমরা সব সার ঠিকমতো পাচ্ছি না। তবে সার সংকটের বিষয়টি অস্বীকার করে ঝিনাইদহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারেন সেজন্য কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সারের কোনো সংকট নেই। আর যদি কেউ বেশি দামে বিক্রি করে আমি কৃষকদের বলেছি, আপনারা রিসিট নিয়ে আসবেন, রিসিটে যদি লেখা থাকে ১৬ টাকার সার ২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সে ব্যবসায়ীর লাইসেন্স স্থগিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, জেলা কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, চলতি আমন মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য প্রায় ৫৩ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া, টিএসপি, ডিওপিসহ রাসায়নিক সারের প্রয়োজন।