শিরোনাম :
Logo প্রান্তিক মানুষের আস্থার নাম সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক Logo ইবিতে সিরাতুন নবি (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী Logo ইবি ক্যাম্পাসে তালিকাভুক্ত নয় এমন  সংগঠনের সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা Logo সুন্দরবনের বিনা পাশে প্রবেশ করায় তিন জেলা কটক  Logo খুবি রিসার্চ সোসাইটির নতুন নেতৃত্বে বকসী-গৌর Logo চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক Logo কাল চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo খানপুর ইয়ং স্টার ক্লাবের উদ্যোগে আট দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। Logo পাইকোশায় ধানের চাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মিথ্যা মামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন Logo চাঁদপুর সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ

মেহেরপুরের গাংনীতে আলোচিত বদিউজ্জামান বদি গুম মামলার রায়

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৮:২৪:০৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ৭৮০ বার পড়া হয়েছে

পৌর মেয়রসহ ১১ আসামি বেকসুর খালাস
সত্যের জয় হয়েছে, আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি -আশরাফুল ইসলাম
নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুরের আলোচিত বদিউজ্জামান বদি গুম মামলায় খালাস পেলেন পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামসহ ১১ জন। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মালসাদহ গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে বদিউজ্জামান বদি গুম হওয়া মামলায় গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামসহ ওই মামলার ১১ জন আসামির সবাই বেকসুর খালাস পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন। পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম (৪৫) গাংনীর আব্দুর রশিদের ছেলে।
মামলায় খালাস পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- আশরাফুলের ভাই আনারুল ইসলাম (৪০), খাইরুল ইসলাম (৪৩), জুগিন্দা গ্রামের বকুল (৩৫), গাংনী উত্তরপাড়ার কাদেরের ছেলে শফিকুল (৩৫), রহমান মহুরির ছেলে বাবুল (৩৫), তার ভাই নাজু (৩০), চৌগাছা ভিটাপাড়া গ্রামের মাবুদের ছেলে রানা (৩০), গাংনী হিজলপাড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে মোজাম কসাই (৩০), গাংনী উত্তরপাড়ার ঈমান কামারের ছেলে খোকন (৩২) ও উত্তরপাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে মিলন (৩০)।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২২ এপ্রিল মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে বদিউজ্জামান বদি নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে ২৮ এপ্রিল বদির ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মেয়র আশরাফুলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও গুম মামলা করেন। যার নম্বর ৩৯। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নারায়ণ চন্দ্র নাথ ২০১২ সালের ২৫ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় ১২ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য ও মামলার নথি পর্যক্ষেণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক ও আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন খন্দকার আব্দুল মতিন।
খালাস পাওয়ার পর আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নিজে অঝরে কাঁদলেন পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সত্যের জয় হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমি যদি পাপ করতাম, তাহলে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে শাস্তি পেতাম। এই মামলায় সব আসামি বেকসুর খালাস পেত না।’ মামলার বিষয়ে গাংনীর পৌর মেয়র আরও বলেন, ‘এটি একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা। এই মামলার কারণে গাংনী পৌরসভার নাগরিকরা কাক্সিক্ষত উন্নয়ন থেকে অনেকাংশে বঞ্চিত হয়েছেন। যে কাজটি দ্রত ও সহজেই করা যেত, সেটি পিছিয়ে গেছে।’
এদিকে, রায়ে অসন্তোস প্রকাশ করে বদিউজ্জামান বদির মেজো বোন অছিয়া খাতুন জানান, ‘আমি ভাইকেও হারালাম, বিচারও পেলাম না। দীর্ঘ ৮ বছর অপেক্ষা করেছি, ভাই হারানোর বিচার পাব বলে। কিন্তু হতাশা নিয়ে ফিরতে হচ্ছে। আমার ভাই হত্যার বিচার আমি চাই।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রান্তিক মানুষের আস্থার নাম সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক

মেহেরপুরের গাংনীতে আলোচিত বদিউজ্জামান বদি গুম মামলার রায়

আপডেট সময় : ০৮:২৪:০৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০

পৌর মেয়রসহ ১১ আসামি বেকসুর খালাস
সত্যের জয় হয়েছে, আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি -আশরাফুল ইসলাম
নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুরের আলোচিত বদিউজ্জামান বদি গুম মামলায় খালাস পেলেন পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামসহ ১১ জন। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মালসাদহ গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে বদিউজ্জামান বদি গুম হওয়া মামলায় গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামসহ ওই মামলার ১১ জন আসামির সবাই বেকসুর খালাস পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন। পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম (৪৫) গাংনীর আব্দুর রশিদের ছেলে।
মামলায় খালাস পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- আশরাফুলের ভাই আনারুল ইসলাম (৪০), খাইরুল ইসলাম (৪৩), জুগিন্দা গ্রামের বকুল (৩৫), গাংনী উত্তরপাড়ার কাদেরের ছেলে শফিকুল (৩৫), রহমান মহুরির ছেলে বাবুল (৩৫), তার ভাই নাজু (৩০), চৌগাছা ভিটাপাড়া গ্রামের মাবুদের ছেলে রানা (৩০), গাংনী হিজলপাড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে মোজাম কসাই (৩০), গাংনী উত্তরপাড়ার ঈমান কামারের ছেলে খোকন (৩২) ও উত্তরপাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে মিলন (৩০)।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২২ এপ্রিল মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে বদিউজ্জামান বদি নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে ২৮ এপ্রিল বদির ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মেয়র আশরাফুলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও গুম মামলা করেন। যার নম্বর ৩৯। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নারায়ণ চন্দ্র নাথ ২০১২ সালের ২৫ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় ১২ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য ও মামলার নথি পর্যক্ষেণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক ও আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন খন্দকার আব্দুল মতিন।
খালাস পাওয়ার পর আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নিজে অঝরে কাঁদলেন পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সত্যের জয় হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমি যদি পাপ করতাম, তাহলে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে শাস্তি পেতাম। এই মামলায় সব আসামি বেকসুর খালাস পেত না।’ মামলার বিষয়ে গাংনীর পৌর মেয়র আরও বলেন, ‘এটি একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা। এই মামলার কারণে গাংনী পৌরসভার নাগরিকরা কাক্সিক্ষত উন্নয়ন থেকে অনেকাংশে বঞ্চিত হয়েছেন। যে কাজটি দ্রত ও সহজেই করা যেত, সেটি পিছিয়ে গেছে।’
এদিকে, রায়ে অসন্তোস প্রকাশ করে বদিউজ্জামান বদির মেজো বোন অছিয়া খাতুন জানান, ‘আমি ভাইকেও হারালাম, বিচারও পেলাম না। দীর্ঘ ৮ বছর অপেক্ষা করেছি, ভাই হারানোর বিচার পাব বলে। কিন্তু হতাশা নিয়ে ফিরতে হচ্ছে। আমার ভাই হত্যার বিচার আমি চাই।’