শিরোনাম :
Logo সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন Logo বর্ষায় মসলা সংরক্ষণের ৫ উপায় Logo ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ব্যাংক Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ Logo সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দিয়ে লাপাত্তা টিসিএফ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু; শিক্ষার্থীরা রাবি মেডিকেলের নাম দিল নাপা সেন্টার Logo জাতির উন্নতির জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন – মির্জা গালিব Logo গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ’র মেয়াদ বাড়লো Logo লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সভা মাদক সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় ………….সাখাওয়াত জামিল সৈকত

প্রেমের ফাঁদে ফেলে কলেজ ছাত্রীর অর্থ আত্মসাৎ: পিবিআই’র জালে কোটচাঁদপুরের যুবক

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:১৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ আগস্ট ২০২০
  • ৭৭২ বার পড়া হয়েছে

অবিবাহিত ভুয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার কান্ড!

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ট্রেনের যাত্রায় পরিচয়। এরপর মোবাইল, ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে কথা-বার্তা। নিজেকে সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে গড়ে তোলেন প্রেমের সম্পর্ক। এরপর হাতিয়ে নেয় নগদ ৮০ হাজার টাকা ও ৫৭ হাজার টাকা মূল্যের ল্যাপটপ। সেই প্রতারক আলমগীর হোসেন ওরফে আশিকুর রহমান রাব্বিকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর।

তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ছয়খাদা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসানের আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আলমগীর হোসেন। এর আগে সোমবার বিকালে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ওই দিন কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। অভিযুক্তের কাছ থেকে ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে। পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, প্রায় ছয় মাস আগে যশোর থেকে ট্রেনে কোটচাঁদপুর যাওয়ার পথে আলমগীর হোসেনে ওরফে আশিকুর রহমান রাব্বির সঙ্গে মামলার বাদী হামিদা খাতুনের পরিচয় হয়। পরবর্তীতে মোবাইল ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিচয় কালে আলমগীর হোসেন নিজেকে অবিবাহিত ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা (ক্যাপ্টেন) পরিচয় দেন।

প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ের হামিদা খাতুনের কাছে তার পারিবারিক প্রয়োজনে আর্থিক সমস্যার কথা বলে এক মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার শর্তে নগদ ৮০ হাজার টাকা ধার নেন আলমগীর হোসেন। এছাড়া তার অফিসের কাজে ব্যবহারের জন্য বাদীর ব্যবহৃত ল্যাপটপটি চাইলে তাকে সরল বিশ্বাসে তার ব্যবহৃত এইচপি কোর আই ফাইভ ল্যাপটপটি দিয়ে দেন। এরপর আলমগীর নগদ টাকা ও ল্যাপটপ ফেরত দিতে টালবাহানা করতে থাকেন।

গত ১২ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোবাইলে ফোন করে আলমগীরের কাছে পাওনা টাকা এবং ল্যাপটপ ফেরত চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। টাকা ও ল্যাপটপ ফেরত দেবেন না বলে জানান। পুলিশ সুপার আরও জানান, আলমগীরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনেও বিষয়টি সত্যতা পাওয়া যায়। মঙ্গলবার যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসানের আদালতে তাকে সোপর্দ করা হয়। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন

প্রেমের ফাঁদে ফেলে কলেজ ছাত্রীর অর্থ আত্মসাৎ: পিবিআই’র জালে কোটচাঁদপুরের যুবক

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:১৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ আগস্ট ২০২০

অবিবাহিত ভুয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার কান্ড!

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ট্রেনের যাত্রায় পরিচয়। এরপর মোবাইল, ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে কথা-বার্তা। নিজেকে সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে গড়ে তোলেন প্রেমের সম্পর্ক। এরপর হাতিয়ে নেয় নগদ ৮০ হাজার টাকা ও ৫৭ হাজার টাকা মূল্যের ল্যাপটপ। সেই প্রতারক আলমগীর হোসেন ওরফে আশিকুর রহমান রাব্বিকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর।

তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ছয়খাদা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসানের আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আলমগীর হোসেন। এর আগে সোমবার বিকালে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ওই দিন কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। অভিযুক্তের কাছ থেকে ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে। পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, প্রায় ছয় মাস আগে যশোর থেকে ট্রেনে কোটচাঁদপুর যাওয়ার পথে আলমগীর হোসেনে ওরফে আশিকুর রহমান রাব্বির সঙ্গে মামলার বাদী হামিদা খাতুনের পরিচয় হয়। পরবর্তীতে মোবাইল ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিচয় কালে আলমগীর হোসেন নিজেকে অবিবাহিত ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা (ক্যাপ্টেন) পরিচয় দেন।

প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ের হামিদা খাতুনের কাছে তার পারিবারিক প্রয়োজনে আর্থিক সমস্যার কথা বলে এক মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার শর্তে নগদ ৮০ হাজার টাকা ধার নেন আলমগীর হোসেন। এছাড়া তার অফিসের কাজে ব্যবহারের জন্য বাদীর ব্যবহৃত ল্যাপটপটি চাইলে তাকে সরল বিশ্বাসে তার ব্যবহৃত এইচপি কোর আই ফাইভ ল্যাপটপটি দিয়ে দেন। এরপর আলমগীর নগদ টাকা ও ল্যাপটপ ফেরত দিতে টালবাহানা করতে থাকেন।

গত ১২ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোবাইলে ফোন করে আলমগীরের কাছে পাওনা টাকা এবং ল্যাপটপ ফেরত চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। টাকা ও ল্যাপটপ ফেরত দেবেন না বলে জানান। পুলিশ সুপার আরও জানান, আলমগীরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনেও বিষয়টি সত্যতা পাওয়া যায়। মঙ্গলবার যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসানের আদালতে তাকে সোপর্দ করা হয়। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।