শিরোনাম :
Logo বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সম্পাদক Logo কচুয়ায় কহলথুড়ি ফুটবল একাডেমীর উদ্যোগে টুর্নামেন্ট উদ্বোধন Logo চুয়াডাঙ্গায় বাইসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত Logo ইবিতে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ Logo জীবননগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু Logo ৪১ ডিগ্রি ছাড়াল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা, গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ Logo ইবিতে শুরু হয়েছে গুচ্ছ এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা Logo অবরুদ্ধ গাজায় একদিনেই নিহত ১০৬ ফিলিস্তিনি Logo ভারতের কাছে পাইলট আটকের প্রমাণ চাইলো পাকিস্তান Logo নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বললেন আসিফ মাহমুদ

বিদ্যুৎ দুর্ভোগে নেত্রকোনার কৃষক !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:২৮:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনা জেলায় বিদ্যুতের দৈনন্দিন চাহিদা ৫২ মেগাওয়াট হলেও সরবরাহ মাত্র ১৮ মেগাওয়াট। এতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন সেচের ওপর নির্ভরশীল কৃষক।

সরবরাহে টানাটানি থাকায় নেত্রকোনা সদরসহ জেলার ১০ উপজেলায়ই বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। বিদ্যুতের অভাবে জমিতে সেচ দিতে পারছেনা কৃষকরা। এতে করে জেলায় বিপুল পরিমান ইরি বোরো জমি অনাবাদী ও ফসলহানীর আশংকা দেখা দিয়েছে।
চাহিদার অনুপাতে সরবরাহ অনেক কম থাকায় জেলার গ্রামগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের মারাত্মক লোডশেডিং চলছে। সময়মতো সেচ দিতে না পারায় পানির অভাবে শুকিয়ে ফেঁটে যাচ্ছে অনেক কৃষকের জমি। এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক।

নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার দশ উপজেলায় বিদ্যুতের দৈনন্দিন চাহিদা ৫২ মেগাওয়াট। কিন্তু উৎপাদন কেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত। সরবরাহে ঘাটতির কারণে জেলায় এক তৃতীয়াংশ চাহিদাও পূরণ হচ্ছে না। দিন-রাত সবসময়ই লোডশেডিং হচ্ছে।

জেলায় পল্লী বিদ্যুতের আওতায় সাড়ে ৮ হাজার সেচযন্ত্র রয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে কোনটিই নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে পারছে না। কোনটি রাতে দু-চার ঘন্টা চললেও দিনের বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকছে। জমিতে পানি সেচ দেওয়ার জন্য কৃষকদের রীতিমতো লাইন ধরতে হচ্ছে। আবার সময়মতো সেচ দিতে না পারায় অনেকের জমি শুকিয়ে চৌচিরও হয়ে যাচ্ছে।

বারহাট্টা উপজেলার চৌচির হয়ে যাওয়া বোরো ফসলের মাঠ
জানা গেছে, জেলার বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ, আটপাড়া, কলমাকান্দা, পূর্বধলা, কেন্দুয়া, দুর্গাপুরসহ সব কটি উপজেলায় চলতি ইরি বোরো মওসুমে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। এতে করে জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জমিতে পানি সেচ দেওয়া ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে জেলার ইরি বোরো আবাদ।

সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের ৬নং ফিডারের আওতাভূক্ত বাঘরুয়া গ্রামের একাধিক কৃষক জানান, দিনে এক ঘন্টারও কম সময় বিদ্যুৎ থাকে। তাও আবার কখন বিদ্যুৎ দেওয়া হবে তা ঠিক করে জানার কেন উপায় নেই। এতে করে জমিতে পানি সেচ দেওয়া ব্যাহত হচ্ছে।
সদর উপজেলার দুধকুড়া গ্রামের শুক্লয় সেন এবং কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া গ্রামের সোহাগ মিয়া জানান, দিন-রাত সব সময়ই লোডশেডিং হচ্ছে। সারাদিনে দু-তিন ঘন্টাও বিদ্যুতের দেখা মিলছে না। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় কর্মচারীরা কোন সদুত্তর দিতে পারছেন না। ওদিকে সেচের চাহিদা মেটাতে না পারায় সেচযন্ত্রের মালিকরাও চরম বেকায়দায় আছেন। চরম লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারাও।

নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ ও জামালপুরের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে। কিন্তু কেন্দ্র দু’টির জ্বালানি হিসেবে পর্যাপ্ত গ্যাস ও ফার্নেস ওয়েল সরবরাহে ঘাটতির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। আর এ কারণেই চাহিদামত সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টির সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

ট্যাগস :

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সম্পাদক

বিদ্যুৎ দুর্ভোগে নেত্রকোনার কৃষক !

আপডেট সময় : ০৫:২৮:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনা জেলায় বিদ্যুতের দৈনন্দিন চাহিদা ৫২ মেগাওয়াট হলেও সরবরাহ মাত্র ১৮ মেগাওয়াট। এতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন সেচের ওপর নির্ভরশীল কৃষক।

সরবরাহে টানাটানি থাকায় নেত্রকোনা সদরসহ জেলার ১০ উপজেলায়ই বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। বিদ্যুতের অভাবে জমিতে সেচ দিতে পারছেনা কৃষকরা। এতে করে জেলায় বিপুল পরিমান ইরি বোরো জমি অনাবাদী ও ফসলহানীর আশংকা দেখা দিয়েছে।
চাহিদার অনুপাতে সরবরাহ অনেক কম থাকায় জেলার গ্রামগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের মারাত্মক লোডশেডিং চলছে। সময়মতো সেচ দিতে না পারায় পানির অভাবে শুকিয়ে ফেঁটে যাচ্ছে অনেক কৃষকের জমি। এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক।

নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার দশ উপজেলায় বিদ্যুতের দৈনন্দিন চাহিদা ৫২ মেগাওয়াট। কিন্তু উৎপাদন কেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত। সরবরাহে ঘাটতির কারণে জেলায় এক তৃতীয়াংশ চাহিদাও পূরণ হচ্ছে না। দিন-রাত সবসময়ই লোডশেডিং হচ্ছে।

জেলায় পল্লী বিদ্যুতের আওতায় সাড়ে ৮ হাজার সেচযন্ত্র রয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে কোনটিই নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে পারছে না। কোনটি রাতে দু-চার ঘন্টা চললেও দিনের বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকছে। জমিতে পানি সেচ দেওয়ার জন্য কৃষকদের রীতিমতো লাইন ধরতে হচ্ছে। আবার সময়মতো সেচ দিতে না পারায় অনেকের জমি শুকিয়ে চৌচিরও হয়ে যাচ্ছে।

বারহাট্টা উপজেলার চৌচির হয়ে যাওয়া বোরো ফসলের মাঠ
জানা গেছে, জেলার বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ, আটপাড়া, কলমাকান্দা, পূর্বধলা, কেন্দুয়া, দুর্গাপুরসহ সব কটি উপজেলায় চলতি ইরি বোরো মওসুমে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। এতে করে জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জমিতে পানি সেচ দেওয়া ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে জেলার ইরি বোরো আবাদ।

সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের ৬নং ফিডারের আওতাভূক্ত বাঘরুয়া গ্রামের একাধিক কৃষক জানান, দিনে এক ঘন্টারও কম সময় বিদ্যুৎ থাকে। তাও আবার কখন বিদ্যুৎ দেওয়া হবে তা ঠিক করে জানার কেন উপায় নেই। এতে করে জমিতে পানি সেচ দেওয়া ব্যাহত হচ্ছে।
সদর উপজেলার দুধকুড়া গ্রামের শুক্লয় সেন এবং কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া গ্রামের সোহাগ মিয়া জানান, দিন-রাত সব সময়ই লোডশেডিং হচ্ছে। সারাদিনে দু-তিন ঘন্টাও বিদ্যুতের দেখা মিলছে না। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় কর্মচারীরা কোন সদুত্তর দিতে পারছেন না। ওদিকে সেচের চাহিদা মেটাতে না পারায় সেচযন্ত্রের মালিকরাও চরম বেকায়দায় আছেন। চরম লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারাও।

নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ ও জামালপুরের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে। কিন্তু কেন্দ্র দু’টির জ্বালানি হিসেবে পর্যাপ্ত গ্যাস ও ফার্নেস ওয়েল সরবরাহে ঘাটতির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। আর এ কারণেই চাহিদামত সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টির সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’