নিউজ ডেস্ক:
প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের পরাজয়ের কারণ ওই মার্টিন গাপটিল। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে সিরিজটিই নিজেদের করে নিলেন তিনি। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এতে করে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে কিউইরা। ক্রাইস্টচার্চের উইকেট ছিল ব্যাটিংবান্ধব। রান উঠবে এমন সম্ভাবনায় টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়েও তার সদ্ব্যবহার করতে পারেনি বাংলাদেশ। কিউই পেস আক্রমণে সেই চিরচেনা নখদন্তহীন অবস্থাতেই দেখা গেছে ব্যাটসম্যানদের। টপঅর্ডার আগের ম্যাচের মতো ব্যর্থ। কিউই পেসারদের সামনে তারা আত্মসমর্পণ করায় ৪৮ রানে বিদায় নেন ৩ জন। তামিম ৫, লিটন ১ রান করে ফেরেন শুরুতে। প্রতিকূল অবস্থায় সৌম্য ২২ ও মুশফিকুর ২৪ রান করে হালকা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাদের প্রতিরোধ বড় হতে দেননি স্বাগতিক বোলাররা। মিডল অর্ডারে সেই মিঠুন দায়িত্বশীল হাফসেঞ্চুরিতে দলকে ফের উদ্ধার করে সম্মানজনক অবস্থাতে পৌঁছাতে ভূমিকা রেখেছেন। ৬৯ বলে ৫৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
সাব্বির আজকেও ৪৩ রানের দায়িত্বশীল ও কার্যকর ইনিংস খেলে পুঁজি বাড়িয়েছেন শেষ দিকে। কিন্তু সার্বিকভাবে দায়িত্বশীলতার অভাবে এই ম্যাচেও লড়াই করার মতো রসদ যোগান দিতে পারলো না ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশ অলআউট হয় ৪৯.৪ ওভারে।নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪৩ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার লকি ফার্গুসন। দুটি নেন আরেক পেসার জেমস নিশাম ও লেগ স্পিনার টড অ্যাস্টল। জবাবে নিউজিল্যান্ডের সূচনা ছিল দারুণ। অষ্টম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান উদ্বোধনী জুটি ভেঙে দিলেও সেই ধাক্কা সামলে ঝড় তুলে খেলতে থাকে স্বাগতিকরা। বিশেষ করে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর আধিপত্য বজায় রেখে খেলেন গাপটিল। ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। সিরিজে যা তার টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। বরং গত ম্যাচের তুলনায় এই ম্যাচে আগ্রাসী ছিলেন বেশি। রীতিমত চার-ছক্কায় ভরপুর ছিলো তার ইনিংস। ৮৮ বলে বিদায় নেওয়ার আগে করেন ১১৮ রান। ঝড় তুলতে ১৪টি চার ও ৪টি ছয় হাঁকান তিনি। ভয়ঙ্কর এই ব্যাটসম্যানকেও ফিরিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। গাপটিল যখন বিদায় নেন ততক্ষণে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ১৮৮ রান। পরে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসসনের ৬৫ আর রস টেলরের ২১ রানে ৩৬.১ ওভারে জয় নিশ্চত করে নিউজিল্যান্ড।বাংলাদেশের পক্ষে ৪২ রানে ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচসেরা হয়েছেন সেঞ্চুরি হাঁকানো মার্টিন গাপটিল।