শিরোনাম :
Logo শেখ হাসিনা তরুনদের শরীরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ভ্যাকসিন দিয়ে গেছেন: ফারুক ওয়াসিফ Logo বিশ্ব বাণিজ্যে রূপান্তর ঘটাবে এআই: ডাব্লিউটিও Logo আফগানিস্তানকে টপকে নবম স্থানে বাংলাদেশ Logo বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে Logo ইউএনজিএ-তে যোগ দিতে ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধান উপদেষ্টা: রোহিঙ্গা, সংস্কার ও গণতন্ত্র ইস্যু প্রাধান্য পাবে এজেন্ডায় Logo কয়রায় মিথ্যা মানববন্ধনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন Logo পলাশবাড়ীতে ভেঙ্গেপড়া ব্রীজ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল। Logo সিরাজগঞ্জে রেলওয়ে প্রকল্প থেকে রেলের শীট ও ভ্যান জব্দ, চুরি আতঙ্কে এলাকাবাসী Logo সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন Logo চাঁদপুরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম এন জামিউল হিকমা

কারাগারে আদালত বসানো যাবে না সংবিধানের কোথাও লেখা নেই : ওবায়দুল কাদের

  • আপডেট সময় : ১০:২৬:১৩ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধানের কোথাও লেখা নেই যে কারাগারে আদালত বসানো যাবে না।
তিনি বলেন, বিএনপির আইনজীবীরা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার কাজ শেষ করতে ১০ বছর সময় পার করেছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার বিচার কার্যক্রমকে বিলম্বিত করতেই তারা কারাগারে আদালত বসানোকে সংবিধান লংঘন হিসেবে দাবী করছে।
এ ধরনের দাবিকে ছলনা ও কৌশল হিসেবে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী কাদের আরো বলেন, বিএনপির নেতারাই এ ধরনের কথা বলে সংবিধান লংঘন করছেন।
ওবায়দুল কাদের আজ বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে যৌথসভার সূচনা বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ , ডা. দীপুমণি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞাণ ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছার, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, কৃষক লীগের সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন মোল্লা এবং যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কারাগারে আদালত বসানো সংবিধানের সুস্পষ্ট লংঘন। কিন্তু আদালত বসানো যাবে না সে কথা সংবিধানের কোথাও লেখা নেই।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কারাগারের ভেতর কর্ণেল (অব.) তাহেরের বিচার কিভাবে করেছিলেন তা দেশের মানুষ জানে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যে বয়স তাতে তার চলাফেরা করা কষ্ঠকর। আদালতে তার হাজিরার সুবিধার জন্যই সাবেক কারাগারে এ মামলার বিচারের জন্য আদালত বসানো হয়েছে।
তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার কাজ আরো অনেক আগে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপির আইনজীবীরা এ মামলার বিচার কার্যক্রমে ১০ বছর সময় পার করেছেন।
কাদের বলেন, ওই মামলার মত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার কার্যক্রমকে বিলমম্বিত করতেই কারাগারে বিশেষ আদালত স্থাপনে সংবিধান লংঘনের দাবি তুলছে। এটা তাদের রাজনৈতিক ছলনা ও কৌশল।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আদালতে কে হাজিরা দিতে গেল, আর না গেল তা দেখার বিষয় আদালতের। সেটা দেখার বিষয় সরকারের নয়।
তিনি বলেন, সংবিধান, আইন, নিয়ম ও আদালত না মানাই হলো বিএনপির বৈশিষ্ট্য ও চরিত্র। তারা আদালত না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আদালত ব্যবস্থা নেবে। এটা আমাদের বিষয় নয়। আদালতের বিষয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরো জোরদার করতে দলের সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের এই যৌথসভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, সাংগঠনিক ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে সহযোগী সংগঠনগুলো আওয়ামী লীগের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্যই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনা তরুনদের শরীরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ভ্যাকসিন দিয়ে গেছেন: ফারুক ওয়াসিফ

কারাগারে আদালত বসানো যাবে না সংবিধানের কোথাও লেখা নেই : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ১০:২৬:১৩ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধানের কোথাও লেখা নেই যে কারাগারে আদালত বসানো যাবে না।
তিনি বলেন, বিএনপির আইনজীবীরা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার কাজ শেষ করতে ১০ বছর সময় পার করেছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার বিচার কার্যক্রমকে বিলম্বিত করতেই তারা কারাগারে আদালত বসানোকে সংবিধান লংঘন হিসেবে দাবী করছে।
এ ধরনের দাবিকে ছলনা ও কৌশল হিসেবে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী কাদের আরো বলেন, বিএনপির নেতারাই এ ধরনের কথা বলে সংবিধান লংঘন করছেন।
ওবায়দুল কাদের আজ বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে যৌথসভার সূচনা বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ , ডা. দীপুমণি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞাণ ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছার, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, কৃষক লীগের সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন মোল্লা এবং যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কারাগারে আদালত বসানো সংবিধানের সুস্পষ্ট লংঘন। কিন্তু আদালত বসানো যাবে না সে কথা সংবিধানের কোথাও লেখা নেই।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কারাগারের ভেতর কর্ণেল (অব.) তাহেরের বিচার কিভাবে করেছিলেন তা দেশের মানুষ জানে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যে বয়স তাতে তার চলাফেরা করা কষ্ঠকর। আদালতে তার হাজিরার সুবিধার জন্যই সাবেক কারাগারে এ মামলার বিচারের জন্য আদালত বসানো হয়েছে।
তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার কাজ আরো অনেক আগে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপির আইনজীবীরা এ মামলার বিচার কার্যক্রমে ১০ বছর সময় পার করেছেন।
কাদের বলেন, ওই মামলার মত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার কার্যক্রমকে বিলমম্বিত করতেই কারাগারে বিশেষ আদালত স্থাপনে সংবিধান লংঘনের দাবি তুলছে। এটা তাদের রাজনৈতিক ছলনা ও কৌশল।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আদালতে কে হাজিরা দিতে গেল, আর না গেল তা দেখার বিষয় আদালতের। সেটা দেখার বিষয় সরকারের নয়।
তিনি বলেন, সংবিধান, আইন, নিয়ম ও আদালত না মানাই হলো বিএনপির বৈশিষ্ট্য ও চরিত্র। তারা আদালত না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আদালত ব্যবস্থা নেবে। এটা আমাদের বিষয় নয়। আদালতের বিষয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরো জোরদার করতে দলের সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের এই যৌথসভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, সাংগঠনিক ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে সহযোগী সংগঠনগুলো আওয়ামী লীগের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্যই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।