নিউজ ডেস্ক:
প্রতিদিনই বেড়েই চলছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বা চিকিৎসার জন্য নির্ভর রাসায়নিক বা সিন্থেটিক ওষুধের উপর নির্ভর করা হচ্ছে। কিন্তু এ ওষুধের মাধ্যমে কোনো মানুষের ডায়াবেটিস পুরোপুরি সেরে গেছে এরকমটা না শুনা গেলেও প্রতিদিনই বাড়ছে এদের উপর নির্ভশীলতা।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণ
একটি হরমোনের বিপর্যয় থেকে ডায়াবেটিস রোগ হয়। একজন ডায়াবেটিস রোগী তার শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। তাই রক্তে সব সময় প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজ জমা থেকেই যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী গাছ-ফুল
লিচু
লিচুর বিচি চূর্ণের জলীয় নির্যাস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর একটি ভেষজ। ১৯৯৭ সালে বিজ্ঞানী কুয়াং লিচু বিচির কার্যকারিতা গ্লিবেনক্লামেইড ও ফেনোফরমিন এর সমতুল্য বলে প্রমাণ করেন। বর্তমানে চীন দেশের ক্লিনিকগুলোতে গর্ভবতী ডায়াবেটিক মায়েদের লিচুর বিচি থেকে তৈরি ট্যাবলেট দেয়া হচ্ছে।
যব
গবেষণায় দেখা গেছে, যব ইনসুলিন এর সক্রিয়তা বাড়ায়। যবের ছাতু ডায়াবেটিস রোগীরদের জন্য একটা চমৎকার নিয়ামক।
পেঁয়াজ
সাধারনত সবজি ও মসলা হিসাবে পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। এর আছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণকারী বৈশিষ্ট্য। শর্করা বিপাক বাড়িযে রক্তের শর্করা মাত্রা কমায়। রক্তের কোলেস্টেরল কমায়।
তুঁত
তুঁত গাছের ফল, পাতা ও শিকড়ের পলি স্যাকারাইড রক্তে শর্করা কমিয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় আনতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। বিজ্ঞানী হিকিনো ও তার সহযোগী গবেষকরা ১৯৮৫ সালে কিছু সংখ্যক ডায়াবেটিস ইঁদুরের উপর তুঁত পাতা প্রয়োগ করেন এবং দেখতে পান সেই ইঁদুর গুলোর রক্তশর্করার মাত্রা কমে গেছে।
মাশরুম
এতে বিদ্যমান পলিস্যাকারাইড উপাদানটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
ভুট্টা
অনেক আগে থেকেই ভুট্টার ডাঁটা (পুষ্পদণ্ড) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হয়ে আসছে। ফার্মাকোলজিক্যাল পরীক্ষায় রক্তের শর্করা বিপাকে কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।
ডালিম
দেশে ডালিমের ছাল ডায়াবেটিসের ওষুধ হিসাবে পরিচিত। ভারতের ইউনানী চিকিৎসকরা ডালিম ফুল ব্যবহার করেন।
নয়নতারা
নয়নতারা পাতার নির্যাস খেলে সরাসরি রক্তশর্করা কমে যায়। সম্প্রতি পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশসমূহের হাসপাতালগুলোতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিনের পরিবর্তে এ গাছ থেকে তৈরি ট্যাবলেট খাওয়ানো হচ্ছে।
পদ্মফুল
চীন দেশে ডায়াবেটিসের লোকজ চিকিৎসায় পদ্মের শেকড় ব্যবহার হয়। আধুনিক ফার্মাকোলজিক্যাল রিসার্চ এই বিষয়ে সত্যতা খুঁজে পেয়েছে। গ্লুকোজ খাওয়ানো ইঁদুরের উপর পদ্ম শেকড়ের গবেষণা চালিয়ে ইঁদুরের রক্তশর্করা বেশ কমে যায় বলে প্রত্যক্ষ করা হয়।
মেথী
হাজার বছর ধরে মেথিকে মানুষ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রক ওষুধ হিসেবে জেনে আসছে। এটি শরীরের বাড়তি কোলেস্টরল কমায়।