শিরোনাম :
Logo সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন Logo বর্ষায় মসলা সংরক্ষণের ৫ উপায় Logo ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ব্যাংক Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ Logo সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দিয়ে লাপাত্তা টিসিএফ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু; শিক্ষার্থীরা রাবি মেডিকেলের নাম দিল নাপা সেন্টার Logo জাতির উন্নতির জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন – মির্জা গালিব Logo গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ’র মেয়াদ বাড়লো Logo লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সভা মাদক সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় ………….সাখাওয়াত জামিল সৈকত

ঝিনাইদহে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ সেবনে বাধ্য করার বিস্তর অভিযোগ !

  • আপডেট সময় : ০১:২০:০০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৮০৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ

ঔষধ কোম্পানি কর্তৃক বিদেশ যাওয়ার লোভনীয় প্রস্তাব ও মাসিক টাকার ব্যবস্থা থাকায় ঝিনাইদহের কতিপয় চিকিৎসক ডায়াবেটিক রোগীদের অপ্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ সেবনে বাধ্য করা হচ্ছে। ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক হাসপতালে এ ধরণের ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লেখা নিষিদ্ধ থাকায় জেলা ও ড্রাগ প্রশাসনের দারস্থ হয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানী। অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার আত্মীয় হওয়ার কারণে এ ধরণের রানার প্রডাক্ট জোর করে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে সিকো র‌্যাক্স ও ক্যাল সিকো নামে দুটি ট্যাবলেট ডায়াবেটিক রোগীদের কোন উপকার তো করেই না বরং কোন কোন সময় তা জীবনহানীর কারণ হতে পারে। অথচ এই দুটি ট্যাবলেট ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কতিপয় চিকিৎসক দেদারছে ডায়াবেটিক রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে লেখা হচ্ছে। আর এই ওষুধ লিখলে সেমিনারের নামে বিদেশ যাওয়ার লোভনীয় সুযোগ ও প্রতি মাসে ২০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মাসোয়ারা দেওয়া হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিকো র‌্যাক্স ও ক্যাল সিকোসহ বিভিন্ন নামে ক্যালশিয়াম ট্যাবলেট বাজারে আসছে। এটি মুলত ডায়াবেটিস রোগীদের টার্গেট করে বিক্রি করা হয়। আগে প্লাসটিকের কৌটায় এই ট্যাবলেট বিক্রি হতো। এখন বিলিষ্টার স্টিবে পাওয়া যাচ্ছে। ঝিনাইদহ ডায়াবেটক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, রোগীদের তেমন কোন উপকারে না আসায় তাদের প্রতিষ্ঠানে এ সব প্রডাক্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তার ভাষ্যমতে এই ট্যবলেট সেবন করে রোগীদের হাতপায়ে পচন ধরে। ফলে তারা মুমুর্ষ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের ড্রাগ সুপার নাজমুল হাসান জানান, এ সব ওষুধের টেষ্টিং রিপোর্ট মান সম্মত বলে জানতে পেরেছি। তবে লেখা না লেখা চিতিৎসকদের ব্যাপার। তবে ঝিনাইদহের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, এটা কোন ক্রমেই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারে আসে না। যে সব চিকিৎসকরা লেখেন তারা রোগীদের সাথে প্রতারণা করছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন

ঝিনাইদহে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ সেবনে বাধ্য করার বিস্তর অভিযোগ !

আপডেট সময় : ০১:২০:০০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ

ঔষধ কোম্পানি কর্তৃক বিদেশ যাওয়ার লোভনীয় প্রস্তাব ও মাসিক টাকার ব্যবস্থা থাকায় ঝিনাইদহের কতিপয় চিকিৎসক ডায়াবেটিক রোগীদের অপ্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ সেবনে বাধ্য করা হচ্ছে। ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক হাসপতালে এ ধরণের ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লেখা নিষিদ্ধ থাকায় জেলা ও ড্রাগ প্রশাসনের দারস্থ হয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানী। অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার আত্মীয় হওয়ার কারণে এ ধরণের রানার প্রডাক্ট জোর করে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে সিকো র‌্যাক্স ও ক্যাল সিকো নামে দুটি ট্যাবলেট ডায়াবেটিক রোগীদের কোন উপকার তো করেই না বরং কোন কোন সময় তা জীবনহানীর কারণ হতে পারে। অথচ এই দুটি ট্যাবলেট ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কতিপয় চিকিৎসক দেদারছে ডায়াবেটিক রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে লেখা হচ্ছে। আর এই ওষুধ লিখলে সেমিনারের নামে বিদেশ যাওয়ার লোভনীয় সুযোগ ও প্রতি মাসে ২০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মাসোয়ারা দেওয়া হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিকো র‌্যাক্স ও ক্যাল সিকোসহ বিভিন্ন নামে ক্যালশিয়াম ট্যাবলেট বাজারে আসছে। এটি মুলত ডায়াবেটিস রোগীদের টার্গেট করে বিক্রি করা হয়। আগে প্লাসটিকের কৌটায় এই ট্যাবলেট বিক্রি হতো। এখন বিলিষ্টার স্টিবে পাওয়া যাচ্ছে। ঝিনাইদহ ডায়াবেটক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, রোগীদের তেমন কোন উপকারে না আসায় তাদের প্রতিষ্ঠানে এ সব প্রডাক্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তার ভাষ্যমতে এই ট্যবলেট সেবন করে রোগীদের হাতপায়ে পচন ধরে। ফলে তারা মুমুর্ষ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের ড্রাগ সুপার নাজমুল হাসান জানান, এ সব ওষুধের টেষ্টিং রিপোর্ট মান সম্মত বলে জানতে পেরেছি। তবে লেখা না লেখা চিতিৎসকদের ব্যাপার। তবে ঝিনাইদহের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, এটা কোন ক্রমেই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারে আসে না। যে সব চিকিৎসকরা লেখেন তারা রোগীদের সাথে প্রতারণা করছেন।