শিরোনাম :
Logo জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দাবি মেনে নিয়েছে সরকার  Logo শেরপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ শাহ্ কামাল উদ্দীনের পিআরএল গমনে বিদায় সংবর্ধনা Logo বোতল কান্ডে আটক জবি শিক্ষার্থী, ডিবি অফিস ঘেরাও এর হুঁশিয়ারী  Logo নামাজ শেষে জবি শিক্ষার্থীদের সমাবেশ শুরু Logo ভুল হলে শিক্ষা নিয়ে এগুতে চাই, বললেন মাহফুজ আলম Logo আগামীকাল জুম্মার পর জবি শিক্ষার্থীদের গন অনশন Logo সাম্য হত্যায় বৈবিছাআ নেতারা চুপ কেন প্রশ্ন ইবি ছাত্রদলের Logo ইবিতে তারুণ্যের তত্ত্বাবধানে নেতৃত্ব বিষয়ক কর্মশালা Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার এসআই মো. মাসুদ রানা জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। Logo রক্ত লাগলে রক্ত নে,জগন্নাথে হল দে’ রাজপথে লিখল শিক্ষার্থীরা

ঝনাইদহের বিষয়খালী বাজারের ‘রান সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি’র নামে চলছে রমরমা সুদের ব্যবসা, ১ টাকায় ৫ টাকা সুদ!

  • আপডেট সময় : ১২:১২:২০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি॥

ঝিনাইদহ জেলার বেগবতী নদীর কোল ঘেঁসে গড়ে উঠেছে বিষয়খালী বাজার। অনেক আগে থেকেই এই বাজার বেশ প্রসিদ্ধ বিশেষ করে ধান বিক্রয়ের জন্য। গড়ে উঠেছে অনেক গুলি চাতাল। এই চালাত শ্রমিক ও এক শ্রেণীর ক্ষুদ্র ব্যবসাহিদের আর্থিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে রফিকুল নামের এক ব্যক্তি গড়ে তুলেছে রান সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি নামে একটি সমিতি। এই সমিতি ঝিনাইদহ সমবায় থেকে রেজিস্ট্রিকৃত। সে কারনে সমিতি অফিসের সাইন বোর্ডে লেখা আছে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত। এই সাইন বোর্ড ব্যবহার করে সমবায়ের নীতিমালা উপেক্ষা করে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ রমরমা সুদের মহাজনী ব্যবসা। তার এই অবৈধ সুদের ব্যবসায় অর্থের বিনিময়ে সহযোগিতা করে থাকে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল সহ পুলিশ প্রশাসন ও আইনজীবী। যার কারনে তার এই অবৈধ ব্যবসার রোষানলে পড়ে অনেকে আর্থিক হয়রানী ও নির্যাতনের স্বীকার হলে প্রতিবাদ করতে কেউ সাহস পায় না। ইতিপূর্বে দুই এক জন প্রতিবাদ করার কারনে তাদের হতে হয়েছে পুলিসী হয়রানী। তার একজন আইনজিবি আছে যার কাছে এসেই ঋণী ব্যাক্তিকে উকিল নোটিশ করে ভঁয় দেখায়। আবার অনেকের নামে প্রতারনার মামলাও করেছে রফিকুল এই সমিতির পক্ষ থেকে। জানা গেছে কেউ যদি কোন প্রকারে এই সমিতির পাতা ফাঁদে পা দেয় তাহলে তার আর নিস্তার থাকে না। কয়েক জন ভুক্ত ভোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে কাউকে কোন প্রকারে একবার ঋণ দিতে পারলে কিস্তি দিলেও সে ঋণ পরিশোধ হয় না। তাছাড়া সে ঋণের সুদের সুদ দিতে হয়। ধানের চাতালে কাজ করা হাছিনা খাতুন জানায়, বিষয়খালী বাজারের মৃত কেসমত আলী বিশ্বাসের ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে কানা রফিকুল চাতালে যেয়ে অনুনয় বিনয় করে বলে, সরকার অনুমতি দিয়েছে আমি একটি সংস্থা করেছি তাতে তুমি ডি পি এস কর। গবীব মানুস এক যোগে অনেক গুলি টাকা পাবে। তার কথা মত আমি ডিপিএস খুলি সপ্তাহে ২০০ টাকা করে দিতে থাকি। কয়েক বছর দেওয়ার পর আমি একটু অসুবিধায় পড়ার পর তাকে বলি আমার ডি পি এস থেকে ২০০০ টাকা দেওয়ার জন্য। সে তা না দিয়ে আমাকে ২০০০ টাকা ঋণ দেয়। আমি তার ঋণের কিস্তিও দিয়েছে। মাঝ খানে কিছুদিন দিতে পারি নাই এখন আমি নাকি তার নিকট থেকে ২৭ হাজার টাকা নিয়েছি ? আমার সঞ্চয়ের টাকা হিসাব নেই। আমার ঋণ দেওয়ার সময় বই নিয়ে গেছে। এখন আমার নামে মামলা। এই ভাবে আরও অনেকের নামে মামলা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এই সমিতির কার্যক্রম সম্পর্কে আর বিস্তারিত জানতে পারবেন। একে একে উন্মক্ত হবে সমাজের সেই মুখোশ পরা ভন্ডদের স্বরূপ। এপ্রসঙ্গে “রান সঞ্চয় ঋণদান সমবায় অফিসে” গেলে অফিস বন্ধ থাকায় কার সাথে কথা বলা সম্ভব হয় নি। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলার ভারপ্রাপ্ত সমবায় কর্মকর্তা জাফর ইকবাল বলেন সমবায় সমিতিতে সমিতির সদস্য না তাদের ঋণ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। সমবায় সমিতি মহাজনী সুদ খোরের বিরুদ্ধে। কেউ যদি আমাদের সমবায় হতে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সুদের কারবার করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমারা আইন গত ব্যবস্থা নেব।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দাবি মেনে নিয়েছে সরকার 

ঝনাইদহের বিষয়খালী বাজারের ‘রান সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি’র নামে চলছে রমরমা সুদের ব্যবসা, ১ টাকায় ৫ টাকা সুদ!

আপডেট সময় : ১২:১২:২০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি॥

ঝিনাইদহ জেলার বেগবতী নদীর কোল ঘেঁসে গড়ে উঠেছে বিষয়খালী বাজার। অনেক আগে থেকেই এই বাজার বেশ প্রসিদ্ধ বিশেষ করে ধান বিক্রয়ের জন্য। গড়ে উঠেছে অনেক গুলি চাতাল। এই চালাত শ্রমিক ও এক শ্রেণীর ক্ষুদ্র ব্যবসাহিদের আর্থিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে রফিকুল নামের এক ব্যক্তি গড়ে তুলেছে রান সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি নামে একটি সমিতি। এই সমিতি ঝিনাইদহ সমবায় থেকে রেজিস্ট্রিকৃত। সে কারনে সমিতি অফিসের সাইন বোর্ডে লেখা আছে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত। এই সাইন বোর্ড ব্যবহার করে সমবায়ের নীতিমালা উপেক্ষা করে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ রমরমা সুদের মহাজনী ব্যবসা। তার এই অবৈধ সুদের ব্যবসায় অর্থের বিনিময়ে সহযোগিতা করে থাকে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল সহ পুলিশ প্রশাসন ও আইনজীবী। যার কারনে তার এই অবৈধ ব্যবসার রোষানলে পড়ে অনেকে আর্থিক হয়রানী ও নির্যাতনের স্বীকার হলে প্রতিবাদ করতে কেউ সাহস পায় না। ইতিপূর্বে দুই এক জন প্রতিবাদ করার কারনে তাদের হতে হয়েছে পুলিসী হয়রানী। তার একজন আইনজিবি আছে যার কাছে এসেই ঋণী ব্যাক্তিকে উকিল নোটিশ করে ভঁয় দেখায়। আবার অনেকের নামে প্রতারনার মামলাও করেছে রফিকুল এই সমিতির পক্ষ থেকে। জানা গেছে কেউ যদি কোন প্রকারে এই সমিতির পাতা ফাঁদে পা দেয় তাহলে তার আর নিস্তার থাকে না। কয়েক জন ভুক্ত ভোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে কাউকে কোন প্রকারে একবার ঋণ দিতে পারলে কিস্তি দিলেও সে ঋণ পরিশোধ হয় না। তাছাড়া সে ঋণের সুদের সুদ দিতে হয়। ধানের চাতালে কাজ করা হাছিনা খাতুন জানায়, বিষয়খালী বাজারের মৃত কেসমত আলী বিশ্বাসের ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে কানা রফিকুল চাতালে যেয়ে অনুনয় বিনয় করে বলে, সরকার অনুমতি দিয়েছে আমি একটি সংস্থা করেছি তাতে তুমি ডি পি এস কর। গবীব মানুস এক যোগে অনেক গুলি টাকা পাবে। তার কথা মত আমি ডিপিএস খুলি সপ্তাহে ২০০ টাকা করে দিতে থাকি। কয়েক বছর দেওয়ার পর আমি একটু অসুবিধায় পড়ার পর তাকে বলি আমার ডি পি এস থেকে ২০০০ টাকা দেওয়ার জন্য। সে তা না দিয়ে আমাকে ২০০০ টাকা ঋণ দেয়। আমি তার ঋণের কিস্তিও দিয়েছে। মাঝ খানে কিছুদিন দিতে পারি নাই এখন আমি নাকি তার নিকট থেকে ২৭ হাজার টাকা নিয়েছি ? আমার সঞ্চয়ের টাকা হিসাব নেই। আমার ঋণ দেওয়ার সময় বই নিয়ে গেছে। এখন আমার নামে মামলা। এই ভাবে আরও অনেকের নামে মামলা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এই সমিতির কার্যক্রম সম্পর্কে আর বিস্তারিত জানতে পারবেন। একে একে উন্মক্ত হবে সমাজের সেই মুখোশ পরা ভন্ডদের স্বরূপ। এপ্রসঙ্গে “রান সঞ্চয় ঋণদান সমবায় অফিসে” গেলে অফিস বন্ধ থাকায় কার সাথে কথা বলা সম্ভব হয় নি। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলার ভারপ্রাপ্ত সমবায় কর্মকর্তা জাফর ইকবাল বলেন সমবায় সমিতিতে সমিতির সদস্য না তাদের ঋণ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। সমবায় সমিতি মহাজনী সুদ খোরের বিরুদ্ধে। কেউ যদি আমাদের সমবায় হতে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সুদের কারবার করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমারা আইন গত ব্যবস্থা নেব।