শিরোনাম :
Logo জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo শ্রীরাধার প্রেম ও প্রার্থনায় মুখর ইবির টিএসএসসি প্রাঙ্গণ Logo চবি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ Logo রাকসু নিয়ে উত্তেজনা ; বক্তব্য দেওয়ার সময় শিবির সভাপতির বুকে বোতল নিক্ষেপ Logo মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পানির ফিল্টার দিলেন স্বেচ্ছাসেবী নারী উদ্যোক্তা সংগঠন বিজয়ী Logo চাঁদপুরে মাদক নির্মূলে সাহসিকতার সাথে কাজ করছে সহকারী পরিচালক মুহাঃ মিজানুর রহমান Logo পশ্চিম ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে সংবর্ধনা – ঐক্যবদ্ধভাবে মিলনকে এমপি করার অঙ্গীকার Logo ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি Logo খুবিতে প্রথম আলো বন্ধুসভা ও খুবিসাস আয়োজিত কর্মশালা Logo কচুয়ার পূর্ব বিতারা জামালিয়া নূরানী হাফেজিয়া মাদরাসায় ছাত্রদের সবক প্রদান ও দোয়া মাহফিল

ঝনাইদহের বিষয়খালী বাজারের ‘রান সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি’র নামে চলছে রমরমা সুদের ব্যবসা, ১ টাকায় ৫ টাকা সুদ!

  • আপডেট সময় : ১২:১২:২০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৭৯১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি॥

ঝিনাইদহ জেলার বেগবতী নদীর কোল ঘেঁসে গড়ে উঠেছে বিষয়খালী বাজার। অনেক আগে থেকেই এই বাজার বেশ প্রসিদ্ধ বিশেষ করে ধান বিক্রয়ের জন্য। গড়ে উঠেছে অনেক গুলি চাতাল। এই চালাত শ্রমিক ও এক শ্রেণীর ক্ষুদ্র ব্যবসাহিদের আর্থিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে রফিকুল নামের এক ব্যক্তি গড়ে তুলেছে রান সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি নামে একটি সমিতি। এই সমিতি ঝিনাইদহ সমবায় থেকে রেজিস্ট্রিকৃত। সে কারনে সমিতি অফিসের সাইন বোর্ডে লেখা আছে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত। এই সাইন বোর্ড ব্যবহার করে সমবায়ের নীতিমালা উপেক্ষা করে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ রমরমা সুদের মহাজনী ব্যবসা। তার এই অবৈধ সুদের ব্যবসায় অর্থের বিনিময়ে সহযোগিতা করে থাকে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল সহ পুলিশ প্রশাসন ও আইনজীবী। যার কারনে তার এই অবৈধ ব্যবসার রোষানলে পড়ে অনেকে আর্থিক হয়রানী ও নির্যাতনের স্বীকার হলে প্রতিবাদ করতে কেউ সাহস পায় না। ইতিপূর্বে দুই এক জন প্রতিবাদ করার কারনে তাদের হতে হয়েছে পুলিসী হয়রানী। তার একজন আইনজিবি আছে যার কাছে এসেই ঋণী ব্যাক্তিকে উকিল নোটিশ করে ভঁয় দেখায়। আবার অনেকের নামে প্রতারনার মামলাও করেছে রফিকুল এই সমিতির পক্ষ থেকে। জানা গেছে কেউ যদি কোন প্রকারে এই সমিতির পাতা ফাঁদে পা দেয় তাহলে তার আর নিস্তার থাকে না। কয়েক জন ভুক্ত ভোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে কাউকে কোন প্রকারে একবার ঋণ দিতে পারলে কিস্তি দিলেও সে ঋণ পরিশোধ হয় না। তাছাড়া সে ঋণের সুদের সুদ দিতে হয়। ধানের চাতালে কাজ করা হাছিনা খাতুন জানায়, বিষয়খালী বাজারের মৃত কেসমত আলী বিশ্বাসের ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে কানা রফিকুল চাতালে যেয়ে অনুনয় বিনয় করে বলে, সরকার অনুমতি দিয়েছে আমি একটি সংস্থা করেছি তাতে তুমি ডি পি এস কর। গবীব মানুস এক যোগে অনেক গুলি টাকা পাবে। তার কথা মত আমি ডিপিএস খুলি সপ্তাহে ২০০ টাকা করে দিতে থাকি। কয়েক বছর দেওয়ার পর আমি একটু অসুবিধায় পড়ার পর তাকে বলি আমার ডি পি এস থেকে ২০০০ টাকা দেওয়ার জন্য। সে তা না দিয়ে আমাকে ২০০০ টাকা ঋণ দেয়। আমি তার ঋণের কিস্তিও দিয়েছে। মাঝ খানে কিছুদিন দিতে পারি নাই এখন আমি নাকি তার নিকট থেকে ২৭ হাজার টাকা নিয়েছি ? আমার সঞ্চয়ের টাকা হিসাব নেই। আমার ঋণ দেওয়ার সময় বই নিয়ে গেছে। এখন আমার নামে মামলা। এই ভাবে আরও অনেকের নামে মামলা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এই সমিতির কার্যক্রম সম্পর্কে আর বিস্তারিত জানতে পারবেন। একে একে উন্মক্ত হবে সমাজের সেই মুখোশ পরা ভন্ডদের স্বরূপ। এপ্রসঙ্গে “রান সঞ্চয় ঋণদান সমবায় অফিসে” গেলে অফিস বন্ধ থাকায় কার সাথে কথা বলা সম্ভব হয় নি। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলার ভারপ্রাপ্ত সমবায় কর্মকর্তা জাফর ইকবাল বলেন সমবায় সমিতিতে সমিতির সদস্য না তাদের ঋণ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। সমবায় সমিতি মহাজনী সুদ খোরের বিরুদ্ধে। কেউ যদি আমাদের সমবায় হতে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সুদের কারবার করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমারা আইন গত ব্যবস্থা নেব।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

ঝনাইদহের বিষয়খালী বাজারের ‘রান সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি’র নামে চলছে রমরমা সুদের ব্যবসা, ১ টাকায় ৫ টাকা সুদ!

আপডেট সময় : ১২:১২:২০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি॥

ঝিনাইদহ জেলার বেগবতী নদীর কোল ঘেঁসে গড়ে উঠেছে বিষয়খালী বাজার। অনেক আগে থেকেই এই বাজার বেশ প্রসিদ্ধ বিশেষ করে ধান বিক্রয়ের জন্য। গড়ে উঠেছে অনেক গুলি চাতাল। এই চালাত শ্রমিক ও এক শ্রেণীর ক্ষুদ্র ব্যবসাহিদের আর্থিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে রফিকুল নামের এক ব্যক্তি গড়ে তুলেছে রান সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি নামে একটি সমিতি। এই সমিতি ঝিনাইদহ সমবায় থেকে রেজিস্ট্রিকৃত। সে কারনে সমিতি অফিসের সাইন বোর্ডে লেখা আছে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত। এই সাইন বোর্ড ব্যবহার করে সমবায়ের নীতিমালা উপেক্ষা করে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ রমরমা সুদের মহাজনী ব্যবসা। তার এই অবৈধ সুদের ব্যবসায় অর্থের বিনিময়ে সহযোগিতা করে থাকে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল সহ পুলিশ প্রশাসন ও আইনজীবী। যার কারনে তার এই অবৈধ ব্যবসার রোষানলে পড়ে অনেকে আর্থিক হয়রানী ও নির্যাতনের স্বীকার হলে প্রতিবাদ করতে কেউ সাহস পায় না। ইতিপূর্বে দুই এক জন প্রতিবাদ করার কারনে তাদের হতে হয়েছে পুলিসী হয়রানী। তার একজন আইনজিবি আছে যার কাছে এসেই ঋণী ব্যাক্তিকে উকিল নোটিশ করে ভঁয় দেখায়। আবার অনেকের নামে প্রতারনার মামলাও করেছে রফিকুল এই সমিতির পক্ষ থেকে। জানা গেছে কেউ যদি কোন প্রকারে এই সমিতির পাতা ফাঁদে পা দেয় তাহলে তার আর নিস্তার থাকে না। কয়েক জন ভুক্ত ভোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে কাউকে কোন প্রকারে একবার ঋণ দিতে পারলে কিস্তি দিলেও সে ঋণ পরিশোধ হয় না। তাছাড়া সে ঋণের সুদের সুদ দিতে হয়। ধানের চাতালে কাজ করা হাছিনা খাতুন জানায়, বিষয়খালী বাজারের মৃত কেসমত আলী বিশ্বাসের ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে কানা রফিকুল চাতালে যেয়ে অনুনয় বিনয় করে বলে, সরকার অনুমতি দিয়েছে আমি একটি সংস্থা করেছি তাতে তুমি ডি পি এস কর। গবীব মানুস এক যোগে অনেক গুলি টাকা পাবে। তার কথা মত আমি ডিপিএস খুলি সপ্তাহে ২০০ টাকা করে দিতে থাকি। কয়েক বছর দেওয়ার পর আমি একটু অসুবিধায় পড়ার পর তাকে বলি আমার ডি পি এস থেকে ২০০০ টাকা দেওয়ার জন্য। সে তা না দিয়ে আমাকে ২০০০ টাকা ঋণ দেয়। আমি তার ঋণের কিস্তিও দিয়েছে। মাঝ খানে কিছুদিন দিতে পারি নাই এখন আমি নাকি তার নিকট থেকে ২৭ হাজার টাকা নিয়েছি ? আমার সঞ্চয়ের টাকা হিসাব নেই। আমার ঋণ দেওয়ার সময় বই নিয়ে গেছে। এখন আমার নামে মামলা। এই ভাবে আরও অনেকের নামে মামলা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এই সমিতির কার্যক্রম সম্পর্কে আর বিস্তারিত জানতে পারবেন। একে একে উন্মক্ত হবে সমাজের সেই মুখোশ পরা ভন্ডদের স্বরূপ। এপ্রসঙ্গে “রান সঞ্চয় ঋণদান সমবায় অফিসে” গেলে অফিস বন্ধ থাকায় কার সাথে কথা বলা সম্ভব হয় নি। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলার ভারপ্রাপ্ত সমবায় কর্মকর্তা জাফর ইকবাল বলেন সমবায় সমিতিতে সমিতির সদস্য না তাদের ঋণ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। সমবায় সমিতি মহাজনী সুদ খোরের বিরুদ্ধে। কেউ যদি আমাদের সমবায় হতে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সুদের কারবার করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমারা আইন গত ব্যবস্থা নেব।