শিরোনাম :
Logo ২ নং কয়রার নলপাড়া শ্রী শ্রী সার্বজনীন শ্যামাকালী পূজা পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান Logo বুটেক্সে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা! Logo চাঁদপুরে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবসে আলোচনা সভা Logo বিজয়ী সংগঠন এখন শত শত নারীদের উপার্জন করার পথ তৈরি করে দিচ্ছেন- ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক খান Logo দুই মেয়ের পর আবারো মেয়ের জন্ম… কলারোয়ায় ৫ দিনের শিশু কন্যাকে খালে ফেলে হত্যা, মা গ্রেপ্তার Logo পলাশবাড়ীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও র‍্যালী। Logo গাজা চুক্তি লঙ্ঘন করলে হামাসকে ‘নির্মূল’ করা হবে : ট্রাম্প Logo এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সরকারের Logo নির্বাচনে এআই অপব্যবহার রোধে কেন্দ্রীয়ভাবে সেল গঠন হবে : সিইসি Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রীশ্রী শ্যামা পূজা ও শুভ দীপাবলি উৎসব

মুগাবের পতনের নেপথ্যে কে এই গ্রেস?

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:৩০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০১৭
  • ৭৮৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘ ৩৭ বছর ক্ষমতায় থাকার পর প্রবল জনরোষ, বিক্ষোভ আর চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। কিন্তু দেশটির রাজনীতিবিদসহ সাধারণ জনগণের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু রবার্ট মুগাবে নন, বরং তার দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রেস মুগাবে।
মুগাবের উত্তরাধিকারী ভাবা হতো ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়াকে। কিন্তু গত দু’সপ্তাহ আগে নানগাগওয়াকে বরখাস্ত করেন মুগাবে। এরপরই জানু-পিএফ পার্টি দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর, হঠাৎ করে মুগাবের উত্তরাধিকারী হিসেবে নাম উঠে আসে গ্রেস মুগাবের। নিজের অনুপস্থিতে স্ত্রীকে ক্ষমতায় বসানোর জন্যই এমারসন নানগাগওয়াকে বরখাস্ত করেন মুগাবে। এরপর দলে ভাঙন, সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণ, জনবিক্ষোভ আর প্রবল চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত ৩৭ বছরের শাসনের ইতি টানের রবার্ট মুগাবে। তাই যারা মুগাবেকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়নে সোচ্চার হয়েছেন তাদের অনেকেরও সমালোচনার পাত্র আসলে তিনি নন, তার স্ত্রী গ্রেস মুগাবে ও তাকে ঘিরে থাকা নেতারা।

কিন্তু কে এই গ্রেস মুগাবে? কি করে তিনি জিম্বাবুয়ের ক্ষমতার লড়াইয়ের অন্যতম চরিত্রে পরিণত হলেন?

বিবিসির খবর, গ্রেস মুগাবে প্রেসিডেন্ট মুগাবের চেয়ে বয়সে ৪১ বছরের ছোট। তাদের সঙ্গে প্রেম বিনিময় শুরু হয় তখন গ্রেস মূলত স্টেট হাউজের একজন টাইপিস্ট।
সে সময় মুগাবের স্ত্রী জীবিত থাকলেও তিনি অসুস্থ ছিলেন। এরপর ১৯৯২ সালে প্রথম স্ত্রী স্যালি মারা যাওয়ার পর ১৯৯৬ সালে ঝাঁকঝমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রেসকে বিয়ে করেন মুগাবে।

বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য সমালোচিত গ্রেস মুগাবে ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীন জানু পি-এফ পার্টির মহিলা শাখার প্রধান হন। ডিসেম্বরে তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করার কথা শোনা যাচ্ছিলো। তবে সেটা শেষ পর্যন্ত হয়নি। ২০১৭ সালে একজন মডেলকে নিগ্রহ করার ঘটনায় অভিযুক্ত হন তিনি। বিলাসবহুল শপিংয়ের জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত গ্রেস। জিম্বাবুয়ের ধনাঢ্য এলাকাগুলোতে তার ব্যাপক সম্পদ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

এদিকে, রবার্ট মুগাবের মতো গ্রেস মুগাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে রবার্ট মুগাবের পদত্যাগের ঘোষণার পর গ্রেস মুগাবের ভবিষ্যৎ কি হয় সেদিকেও দৃষ্টি রয়েছে অনেকের।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

২ নং কয়রার নলপাড়া শ্রী শ্রী সার্বজনীন শ্যামাকালী পূজা পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান

মুগাবের পতনের নেপথ্যে কে এই গ্রেস?

আপডেট সময় : ১২:৫৪:৩০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘ ৩৭ বছর ক্ষমতায় থাকার পর প্রবল জনরোষ, বিক্ষোভ আর চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। কিন্তু দেশটির রাজনীতিবিদসহ সাধারণ জনগণের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু রবার্ট মুগাবে নন, বরং তার দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রেস মুগাবে।
মুগাবের উত্তরাধিকারী ভাবা হতো ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়াকে। কিন্তু গত দু’সপ্তাহ আগে নানগাগওয়াকে বরখাস্ত করেন মুগাবে। এরপরই জানু-পিএফ পার্টি দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর, হঠাৎ করে মুগাবের উত্তরাধিকারী হিসেবে নাম উঠে আসে গ্রেস মুগাবের। নিজের অনুপস্থিতে স্ত্রীকে ক্ষমতায় বসানোর জন্যই এমারসন নানগাগওয়াকে বরখাস্ত করেন মুগাবে। এরপর দলে ভাঙন, সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণ, জনবিক্ষোভ আর প্রবল চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত ৩৭ বছরের শাসনের ইতি টানের রবার্ট মুগাবে। তাই যারা মুগাবেকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়নে সোচ্চার হয়েছেন তাদের অনেকেরও সমালোচনার পাত্র আসলে তিনি নন, তার স্ত্রী গ্রেস মুগাবে ও তাকে ঘিরে থাকা নেতারা।

কিন্তু কে এই গ্রেস মুগাবে? কি করে তিনি জিম্বাবুয়ের ক্ষমতার লড়াইয়ের অন্যতম চরিত্রে পরিণত হলেন?

বিবিসির খবর, গ্রেস মুগাবে প্রেসিডেন্ট মুগাবের চেয়ে বয়সে ৪১ বছরের ছোট। তাদের সঙ্গে প্রেম বিনিময় শুরু হয় তখন গ্রেস মূলত স্টেট হাউজের একজন টাইপিস্ট।
সে সময় মুগাবের স্ত্রী জীবিত থাকলেও তিনি অসুস্থ ছিলেন। এরপর ১৯৯২ সালে প্রথম স্ত্রী স্যালি মারা যাওয়ার পর ১৯৯৬ সালে ঝাঁকঝমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রেসকে বিয়ে করেন মুগাবে।

বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য সমালোচিত গ্রেস মুগাবে ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীন জানু পি-এফ পার্টির মহিলা শাখার প্রধান হন। ডিসেম্বরে তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করার কথা শোনা যাচ্ছিলো। তবে সেটা শেষ পর্যন্ত হয়নি। ২০১৭ সালে একজন মডেলকে নিগ্রহ করার ঘটনায় অভিযুক্ত হন তিনি। বিলাসবহুল শপিংয়ের জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত গ্রেস। জিম্বাবুয়ের ধনাঢ্য এলাকাগুলোতে তার ব্যাপক সম্পদ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

এদিকে, রবার্ট মুগাবের মতো গ্রেস মুগাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে রবার্ট মুগাবের পদত্যাগের ঘোষণার পর গ্রেস মুগাবের ভবিষ্যৎ কি হয় সেদিকেও দৃষ্টি রয়েছে অনেকের।