মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি সরকারী কোষাগার হতে প্রাপ্তির দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী । গতকাল সোমবার সকাল ১০ টার দিকে পৌরসভা কার্যালয়ে এ অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। কর্মবিরতি চলাকালে আলোচনা সভায় পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের জেলা শাখার সভাপতি পৌর সচিব তফিকুল আলম বলেন, দেশের ৩২৭ টি পৌরসভার অনেক পৌরসভাতে বেতন ভাতাদি অনিশ্চিত এবং ২ থেকে ৫৫ মাস পর্যন্ত বেতন বকেয়া রয়েছে এবং বহু কর্মকর্তা ও কর্মচারী অবসর পরবর্তী আনুতোষিক থেকে বঞ্চিত হয়ে অবসরের পর পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ফলে পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রজাতন্ত্রের অন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তুলনায় বেতন ও অন্যান্য আর্থিক সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন।তিনি আরও বলেন- মিয়ানমারের নাগরিক রোগিঙ্গাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন, তাদের ৩ বেলা খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। এজন্য তিনি গড়ঃযবৎ ড়ভ ঐঁসধহরঃু “মানবতার মা” উপাধিতে ভূষিত হয়ে ইতিমধ্যে বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষের প্রসংশায় সিক্ত হয়েছেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমাদের সমস্যা সমাধানে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মেহেরপুর পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সানোয়ার হাসান দিপু বলেন, আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমাদের দুঃখের কথা জানাচ্ছি। আমার সময়মত বেতন ভাতাদি না পাওয়ার কারনে আমাদের সন্তানেরা, বৃদ্ধ মা-বাবার অনেক কষ্ট ভোগ করে থাকেন। আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়েও ৩ বেলা খাবারের নিশ্চয়তা পাচ্ছি না। একটাই দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের শিশুদের ও বৃদ্ধ মা-বাবাদের দুর্দশার কথা ভেবে সকল পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি সরকারের রাজস্ব তহবিল হতে দেওয়ার নির্দেশ দিবেন।
পৌর সহকারী কর আদায়কারী শফিউদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিম খাঁন, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, পৌর প্রশাসনিক কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন, ষ্টোর কিপার জহিরুল ইসলাম ,রকিবুল ইসলাম প্রমূখ। সকলেই বেতন-ভাতা সরকারী তহবিল থেকে প্রদানের দাবী জানান।আগামী ১৩ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকাল ৯.০০ ঘটিকা হতে বিকেল ৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত দেশের ৩২৭টি পৌরসভায় একযোগে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।