হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টেকনাফ: ফেসবুকে ছবি দেখে হারানো বাবাকে ফিরিয়ে পেলেন সন্তান। গতকাল ২৯ অক্টোবর রোববার সন্তান প্রতিদিনের মত ফেসবুক ব্যবহার করতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া বৃদ্ধ বাবাকে টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের আর্দশ গ্রামে ফিরে পেয়েছেন সন্তান।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে চট্রগ্রাম জেলার লোহাগাড় থানার বায়ার পাড়া এলাকার আবদুল আলী মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন। হারানো পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় খোজাঁ খুজিঁ করার পর অবশেষে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বৃদ্ধা বাবাকে ছেলে দেখতে পেয়ে সাবরাং ইউনিয়নের আর্দশ গ্রামে সন্ধান নিয়ে চলে আসেন। বাবা ছেলেকে দেখতে শত শত নারী,পুরুষ বোরবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে জড়ো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হারিয়ে যাওয়া বৃদ্ধার ছেলে ওসমান গনি বলেন, আমার বাবা মানসিক প্রতিবন্ধী। সে বাড়ির বাইরে খুব একটা বেরও হত না। ১৯৯৭ সালের দিকে বাড়ি থেকে বাহির হয়ে আর ফিরে আসেনি। বাবা বাড়িতে না আসলে মা আমি অনেক খোজাঁ-খুজিঁর পর কোথাও আর পাওয়া যায়নি। এর পর লোহাগাড় থানার বায়ার পাড়াসহ পাশ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামে মাইকিং করার পরও আর খোজঁ পাওয়া যায়নি। অবশেষে গতকাল ২৯ অক্টোবর বোরবার সকালে দিকে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া বাবার ছবি দেখতে পেয়ে সন্ধান নিয়ে ছোঁটে যান টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের আর্দশ গ্রামে। সেখানে গিয়ে বাবাকে দেখতে পেয়ে ছেলের কান্নায় ভারি হয়ে যায়।
তিনি আরে বলেন, রোববার ১২টার দিকে টেকনাফে যোগাযোগ করি। সন্ধ্যার দিকে আমার বাবাকে আমি ফিরে পেয়েছি। যারা আমার ছেলেকে আশ্রয় দিয়েছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ’ জানাই।
এদিকে টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের আর্দশ গ্রামের লোকজন জানান, গত কয়েক মাস আগে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আমাদের এলাকার দোকানের পাশে রাস্তায় অচেনা একটি বৃদ্ধাকে দেখতে পায়। বৃদ্ধার পরিচয় জানতে চাইলে সে তার নাম আবদুল আলী বলে জানায়। বাড়ি কোথায় জানতে চাইলে সে পরিচয় বলতে পারেনি। বৃদ্ধার নিজের নাম ছাড়া আর কিছুই বলতে পারেনি। পরে বৃদ্ধাকে আর্দশ গ্রামের একটি রোমে রাখা হয়। এর পর কয়েকদিন আগে এলাকার রিপন নামের এক ব্যক্তি বৃদ্ধা আবুল আলীর ছবি দিয়ে ফেসবুকে আপলোড করে একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাস দেখে রোববার সকালের দিকে যোগাযোগ করেন বৃদ্ধার ছেলে ওসমান গনি। পরে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে বৃদ্ধাকে ছেলের হাতে হস্তান্তর করেন।